শাহবাগ ছাড়া অন্য কোথাও ব্লকেড নয়: হাসনাত
Published: 10th, May 2025 GMT
আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সব সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালে দলগত বিচার এবং জুলাই ঘোষণাপত্র জারির তিন দফা দাবিতে গণজমায়েতের ডাক দিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। তবে শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারা দেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন এনসিপির দক্ষিণাঞ্চলীয় মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
শনিবার (১০ মে) ভোরে ফেসবুকে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ আহ্বান জানান।
হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, “ঢাকার শাহবাগ ছাড়া ঢাকা বা সারা দেশের হাইওয়েগুলোতে ব্লকেড দেবেন না। জেলাগুলোতে স্বতঃস্ফূর্ত জমায়েত করুন, সমাবেশ করুন। কিন্তু ব্লকেড না। ব্লকেড খুলে দিন।”
এর আগে শুক্রবার রাতেই শাহবাগ থেকে গণজমায়েতের ঘোষণা দেন তিনি। তিনি জানান, যারা আওয়ামী লীগের হাতে নিপীড়িত, খুন, গুমের শিকার, পিলখানা ও শাপলা হত্যাকাণ্ডের শিকার, লগিবৈঠকার হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, তাদের সবার সম্মিলিত অংশগ্রহণে এই শাহবাগে গণজমায়েত কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ফেসবুকে এক পোস্টে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “শাহবাগের অবস্থান চলমান থাকবে। দলমত নির্বিশেষে আওয়ামী লীগ ও দেশের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জুলাইয়ের সব শক্তি এক থাকবে এটাই প্রত্যাশা। সিদ্ধান্ত দ্রুত না এলে সমগ্র বাংলাদেশ আবারও ঢাকা শহরে মার্চ করবে।”
আওয়ামী লীগের বিচার ও নিষিদ্ধের দাবিতে ৮ মে রাত থেকে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন ‘যমুনা’র সামনে অবস্থান নেন এনসিপির নেতাকর্মীরা। শুক্রবার সকালে সেখান থেকে সমাবেশের ঘোষণা দেন হাসনাত। বিকেল সাড়ে ৪টায় তিনি সেই সমাবেশ স্থগিত করে শাহবাগ অবরোধের ডাক দেন। এরপর হাজারো মানুষ মিছিলসহ শাহবাগে এসে জড়ো হন এবং বিকেল পৌনে ৫টায় মূল সড়কে অবস্থান নেন।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ হব গ ব লক ড আওয় ম এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
মুরাদনগরে গ্রেপ্তার শাহ পরান কারাগারে
কুমিল্লার মুরাদনগরে ধর্ষণের শিকার নারীকে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার শাহ পরানকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। গতকাল শনিবার দুপুরে কুমিল্লার আদালতের বিচারক মমিনুল হক এ নির্দেশ দেন। শাহ পরান ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তার ফজর আলীর আপন ভাই।
পুলিশ জানায়, গত ২৬ জুন রাতে মুরাদনগরে ধর্ষণের অভিযোগে ফজর আলী ও এক নারীকে ঘরের ভেতর মারধর করা হয়। এ সময় তাদের ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। পরে এ ঘটনায় ওই নারী মুরাদনগর থানায় প্রথমে ধর্ষণ এবং দু’দিন পর পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা করেন। এরই মধ্যে ধর্ষণের মামলায় ফজর আলীকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এ ছাড়া পর্নোগ্রাফি আইনের মামলায় গ্রেপ্তার হন সুমন, রমজান, আরিফ ও অনিক। তারা তিন দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছেন।
ওই নারী পরে সাংবাদিকদের বলেন, টাকা ধার নেওয়া নিয়ে ফজর আলীর সঙ্গে তাদের পরিবারের পরিচয় হয়। এ সূত্র ধরেই ফজর আলী বাড়িতে ঢুকে তাঁকে ‘ধর্ষণ’ করে। অন্যরা তাঁকে নির্যাতন করে ভিডিও করে।
এর আগে র্যাব গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শাহ পরানকে বুড়িচং থেকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করে।
মুরাদনগর থানার ওসি বলেন, রোববার শাহ পরানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডের আবেদন করা হবে। শাহ পরান ভিডিও ভাইরাল করার পরিকল্পনাকারী।