ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার মধ্যেই ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর সমর্থনে ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সমর্থন জানালেও সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র কটাক্ষের শিকার হতে হয় বলিউড অভিনেত্রী হিনা খানকে। সেই সঙ্গে গালিসহ তাকে দেওয়া হয় হুমকি। এবার সে বিষয় নিয়ে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করলেন হিনা।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, “আমার জীবনে আমি সবসময় সীমান্তের ওপার থেকে স্নেহ পেয়েছি। কিন্তু যখন আমি ‘অপারেশন সিঁদুর’-এর আগে ও পরে আমার দেশকে সমর্থন জানালাম, তখন অনেকেই আমাকে গালি দিল, অভিশাপ দিল এবং আনফলো করল। আরও অনেকে আনফলো করার হুমকি দিচ্ছে। শুধু আমাকেই নয়, এই ঘৃণা আমার শারীরিক অসুস্থতা, আমার পরিবার এবং আমার ধর্মকেও লক্ষ্য করে ছোঁড়া হয়েছে।”

তিনি আরও লেখেন, “আমি তোমাদের আমার দেশকে সমর্থন করতে বলছি না। তোমরা তোমাদের দেশকে ভালোবাসো, সেটাই স্বাভাবিক। আমি শুধু আশা করেছিলাম, তোমরা মানুষ হিসেবে অন্তত আমার মতো আচরণ করবে। কিন্তু মনে হয়, এটাই পার্থক্য।”

সোজাসাপ্টা ভাষায় তিনি বলেন, ‘আমি যদি ভারতীয় না হই, তাহলে আমি কিছুই না। আমি প্রথমে এবং সর্বদা একজন ভারতীয়। তাই, এগিয়ে যাও— আমাকে আনফলো করো, আমি চিন্তিত নই। আমি কাউকে গালি দিইনি বা অভিশাপ দিইনি। আমি শুধু আমার দেশকে সমর্থন করেছি।’

হিনার ভাষ্য, ‘তোমরা কী বল- সেটা তোমাদের পরিচয় দেয়। তোমরা কী বেছে নাও- সেটাও তোমাদের মতাদর্শের পরিচয় দেয়। এর সঙ্গে আমার কিছুই করার নেই। যাই হোক না কেন, আমি আমার দেশকেই সমর্থন করব। জয় হিন্দ।” সূত্র: এনডিটিভি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অভ ন ত র

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ