ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হওয়া ‘বিচক্ষণতার’ প্রকাশ: মার্কো রুবিও
Published: 10th, May 2025 GMT
ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক প্রাণঘাতী হামলার পর যখন আরও বড় ধরনের সংঘাতের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তখনই উভয় দেশ যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। এটাকে ‘বিচক্ষণতার’ প্রকাশ বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। পাকিস্তান-ভারত উভয়ে যুদ্ধবিরতির কথা নিশ্চিত করেছে।
আজ শনিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে রুবিও লেখেন, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ঘোষণা করছি, ভারত ও পাকিস্তান সরকার তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে। তারা একটি নিরপেক্ষ স্থানে বহুমুখী বিষয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে।’
এর কয়েক মিনিট আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁর মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছে বলে ঘোষণা দেন।
রুবিও ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের ‘প্রজ্ঞা, বিচক্ষণতা এবং শান্তির পথ বেছে নেওয়ার রাষ্ট্রনায়কসুলভ মানসিকতার’ প্রশংসা করেন।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, শনিবার রুবিও দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অসুস্থ ছেলেকে দেখতে বাসা থেকে বের হয়েছিলেন বাবা, দুই বাসের পাল্লাপাল্লিতে নিহত
রাজধানীর বকশীবাজারে দুটি বাসের পাল্লাপাল্লির সময় মাঝে চাপা পড়ে জহুরুল হক সেলিম (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।
সেলিম তার ক্যানসারে আক্রান্ত ছেলেকে দেখতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যাওয়ার পথে দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হন বলে জানা গেছে।
জানা গেছে, নিহত সেলিম পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাসিন্দা। তার দুই ছেলের মধ্যে জুবায়ের ব্ল্যাড ক্যানসারে আক্রান্ত।
জানা গেছে, আট থেকে নয় মাস আগে জুবায়েরের ক্যানসার ধরা পড়ে। সে এখন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি। ছেলের চিকিৎসার জন্য সেলিম ঢাকা মেডিকেলের পাশে বকশীবাজার এলাকায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছিলেন।
এ সব তথ্য নিশ্চিত করেছেন সেলিমের স্ত্রীর বোন সিনথিয়া বেগম। তিনি বলেন, সেলিম মঙ্গলবার রাতে ছেলেকে দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন। রাত ১০টার দিকে তিনি বকশীবাজার মোড় ও বুয়েটের মাঝামাঝি সড়ক পার হচ্ছিলেন। সে সময় দুটি বাসের পাল্লাপাল্লির মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন তিনি। তাঁর ডান হাত ভেঙে যায়। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তাঁর ডান হাতে প্লাস্টার করে দেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি বাসায় ফিরছিলেন। পথিমধ্যে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে আবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
চকবাজার থানার ওসি সৈয়দ আখতারুজ্জামান সমকালকে বলেন, মৌমিতা পরিবহনের দুই বাসের পাল্লাপাল্লির সময় মাঝে চাপা পড়ে এক পথচারী মৃত্যু হয়েছে। ওই ঘটনায় দুই বাসের চালককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে তোলা হয়েছে।
তিনি আর বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষ পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়েছে। ওই ঘটনায় নিহতের ছেলে একটি মামলা দায়ের করেছেন। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করা হচ্ছে।