পেছনে ফিরে দেখেন ছেলে নেই, গর্তের ভেতর থেকে ডাকছে ‘মা, মা’ বলে
Published: 10th, December 2025 GMT
রাজশাহীর তানোরে ৩০-৩৫ ফুট গভীর গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে উদ্ধারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফায়ার সার্ভিস। খননযন্ত্র দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি শিশুটিকে বাঁচিয়ে রাখতে অক্সিজেন সরবরাহও অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বুধবার বেলা একটার দিকে তানোরে সাজিদ নামের দুই বছর বয়সী শিশুটি গভীর গর্তে পড়ে যায়। শিশুটি তার মায়ের হাত ধরে কেটে নেওয়া ধানের খেতে হাটছিল। হঠাৎ সে গর্তে পড়ে যায়। সাজিদ উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামের রাকিবের ছেলে। রাকিব ঢাকায় একটি জুট মিলের ব্যবস্থাপক হিসেবে চাকরি করেন। তিনি এখনো বাড়িতে পৌঁছাতে পারেননি।
আরও পড়ুনরাজশাহীতে দুই বছরের শিশু ৩০ ফুট গভীর গর্তে, ফায়ার সার্ভিস অক্সিজেন দিচ্ছে২ ঘণ্টা আগেশিশুটির মা রুনা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, বেলা একটার দিকে মেজ ছেলে সাজিদের হাত ধরে তিনি বাড়ির পাশে মাঠে যাচ্ছিলেন। এ সময় তাঁর ছোট একটি সন্তান কোলে ছিল। হাঁটার সময় হঠাৎ সাজিদ মা বলে ডেকে ওঠে। তিনি পেছনে তাকিয়ে দেখেন, ছেলে নেই, গর্তের ভেতর থেকে ‘মা, মা’ বলে ডাকছে। গর্তটির ওপরে খড় বিছানো ছিল। ওখানে যে গর্ত ছিল, সেটা তিনিও বুঝতে পারেননি, ছেলেও। ওই জায়গায় পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছেলে গর্তের ভেতর পড়ে গেছে। লোকজনকে ডাকতে ডাকতেই ছেলে গর্তের নিচে চলে যায়।
ফায়ার সার্ভিসের রাজশাহী বিভাগের সহকারী পরিচালক দিদারুল আলম জানান, শিশুটি গর্তে পড়ে যাওয়ার খবর তাঁরা পেয়েছেন বেলা আড়াইটার দিকে। এসে দেখেন, স্থানীয় লোকজন চেষ্টা করতে গিয়ে গর্তের ভেতরে কিছু মাটি ফেলেছেন। বিকেল চারটা পর্যন্ত শিশুটির সাড়া পাওয়া যাচ্ছিল। পরে মানুষের হট্টগোলের কারণে আর সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না।
উদ্ধারপ্রক্রিয়া নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের ওই কর্মকর্তা বলেন, ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট উদ্ধারকাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শিশুটিকে অক্ষত অবস্থায় ও নিরাপদে উদ্ধারে সব ধরনের চেষ্টা চলছে। বিকেল সাড়ে পাঁচটা থেকে ওই গর্তের পাশে এক্সকাভেটর দিয়ে আরেকটি গর্ত খোঁড়া হচ্ছে। রাত পৌনে আটটা পর্যন্ত ১০ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত খোঁড়া হয়েছে। মাটি সরানোর কাজে লাগানো হয়েছে দুটি ট্রাক্টর। খননকাজ শেষ হতে আরও কয়েক ঘণ্টা লাগতে পারে।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এই গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েলহাট গ্রামের এক ব্যক্তি তাঁর জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। সেই গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত হয়। সেই গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।
উদ্ধারকাজ দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। রাত সোয়া আটটার দিকে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উদ ধ র
এছাড়াও পড়ুন:
ধামগড় ইউনিয়ন ৪টি ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন
বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন ৩, ৪, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন এবং ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার যৌথভাবে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এই চারটি ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেন।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন বলেন, আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পক্ষে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার লক্ষ্যে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১৫দিনের মধ্যে সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
আর ধামগড় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকায় আমি ও বন্দর উপজেলার সভাপতি এবং ধামগড় ইউনিয়নের সভাপতি যৌথভাবে স্বাক্ষর করে এই কমিটি অনুমোদন করে দিয়েছি