সাইনাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ থাকলে কী করবেন
Published: 10th, December 2025 GMT
ক্রনিক সাইনুসাইটিস একটি দীর্ঘমেয়াদি রোগ বা প্রদাহ। নাকের চারপাশে অস্থিগুলোতে বাতাসপূর্ণ কুঠুরি থাকে, যেগুলোকে বলা হয় সাইনাস। সাইনুসাইটিস হলো এসব সাইনাসের ব্যাকটেরিয়াজনিত সংক্রমণ বা ইনফেকশন।
সাইনাসের প্রদাহের কারণসাইনাসগুলোর প্রদাহের মধ্যে ম্যাক্সিলারি সাইনাসের প্রদাহ হয় সবচেয়ে বেশি। ম্যাক্সিলারি সাইনাস হলো মুখমণ্ডলের দুই পাশে গালের হাড়ের ভেতরে থাকা বায়ুভর্তি একটি বড় সাইনাস বা গহ্বর। এটি প্যারানাজাল সাইনাসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বড়।
অ্যাকিউট সাইনুসাইটিস ও শ্বাসনালির ওপরের অংশের ইনফেকশন থেকে, অ্যালার্জি, অপুষ্টি, স্যাঁতসেঁতে পরিবেশ থেকে, দীর্ঘদিন ধরে দাঁতের রোগ থাকলে এটি হতে পারে। বেশির ভাগ সাইনাসের প্রদাহ নাকের ইনফেকশন থেকে হয়।
লক্ষণ ও চিকিৎসানাকের পাশে অনবরত ব্যথা, সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর মাথাব্যথা হতে পারে। সব সময় নাক বন্ধ থাকে। এ ছাড়া কোনো স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝতে না পারা। সাধারণত বিমর্ষতা, অস্থিরতা ও অনীহা তৈরি হয়। মাঝেমধ্যে জ্বর আসতে পারে। মিউকোসার আবরণ পাতলা হয়ে যায়।
সাইনাসের দীর্ঘমেয়াদি প্রদাহ বা ইনফেকশনের জন্য প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করতে হবে। এ ছাড়া ধুলাবালু থেকে দূরে, ধূমপান থেকে বিরত থাকতে হবে। দাঁতের ক্ষয় ও অন্যান্য পচনশীল পদার্থ থেকে দাঁতকে রক্ষা করতে হবে। ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়া যেতে পারে। যেহেতু ক্রনিক সাইনুসাইটিস একটি ব্যাকটেরিয়াজনিত অসুখ, তাই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হয়।
আরও পড়ুনশীতে ত্বকের ৭টি কমন সমস্যা ও সমাধান০৯ ডিসেম্বর ২০২৫ওষুধের মাধ্যমে ভালো না হলে সাইনাস ওয়াশ করতে হবে। অনেকের মধ্যে ভুল ধারণা রয়েছে যে একবার সাইনাস ওয়াশ করলে বারবার করতে হয়। ধারণাটা সঠিক নয়। ব্যাকটেরিয়াজনিত সাইনুসাইটিস ওয়াশ করে উপযুক্ত মাত্রা ও নিয়মে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করলে রোগী সম্পূর্ণ আরোগ্য লাভ করে।
বর্তমানে সাইনাস রোগের চিকিৎসায় এন্ডোসকোপিক সাইনাস সার্জারি করা হয়। এর মাধ্যমে এন্ডোসকোপ ও মনিটরে দেখে সাইনাসের সব ধরনের সার্জারি করা যায়। এটি সাইনাসের সব রোগের আধুনিক ও উন্নত চিকিৎসা। এ ধরনের অপারেশনে বেশি কাটাছেঁড়া করতে হয় না। এর ফল খুব ভালো। বাংলাদেশের বড় বড় হাসপাতাল এবং মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়মিত এন্ডোসকোপিক সাইনাস সার্জারি হচ্ছে।
ডা.
এম আলমগীর চৌধুরী, অধ্যাপক, নাক-কান-গলা বিভাগ, আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজ, ধানমন্ডি, ঢাকা
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ইনফ কশন স ইন স র ক স ইন স
এছাড়াও পড়ুন:
ধামগড় ইউনিয়ন ৪টি ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন
বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন ৩, ৪, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন এবং ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার যৌথভাবে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এই চারটি ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেন।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন বলেন, আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পক্ষে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার লক্ষ্যে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১৫দিনের মধ্যে সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
আর ধামগড় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকায় আমি ও বন্দর উপজেলার সভাপতি এবং ধামগড় ইউনিয়নের সভাপতি যৌথভাবে স্বাক্ষর করে এই কমিটি অনুমোদন করে দিয়েছি