ফুটবলারদের সাধারণত অবসরের পর বা অবসরের আগেই ফুটবল ক্লাবের মালিকানা কিনতে দেখা যায়। কিন্তু কেউ উটের দৌড়ের দল কিনেছেন, এটা শুনেছেন কি? হ্যাঁ, সেটাই করেছেন পল পগবা। বিশ্বের প্রথম পেশাদার উটের দৌড়ের দলের অংশীদারত্ব নিয়েছেন ফরাসি এই ফুটবলার।

ফ্রান্সের বিশ্বকাপজয়ী ৩২ বছর বয়সী এই মিডফিল্ডার জুভেন্টাস আর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ঘুরে এখন মোনাকোয় নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন। ফুটবলের বাইরেও নিজের আগ্রহের জগৎ নিয়ে কাজ শুরু করেছেন পগবা। তারই অংশ হিসেবে সৌদি আরবের দল আল হাবুবের দূত হয়েছেন। শুধু তা–ই নয়, দলটির মালিকানায়ও নিয়েছেন অংশীদারত্ব।

সংবাদমাধ্যম ‘দ্য অ্যাথলেটিক’ জানিয়েছে, আল হাবুব বিশ্বের প্রথম পেশাদার উটের দৌড় প্রতিযোগিতা আয়োজনের চেষ্টা করছে। এই দলটি উপসাগরীয় সহযোগিতা পরিষদ বা জিসিসিভুক্ত বিভিন্ন দেশে উটের দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। জিসিসিভুক্ত দেশগুলো হলো বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও আরব আমিরাত।

আরব উপদ্বীপে উটের দৌড় কয়েক শ বছর ধরে চলে আসা একটি ঐতিহ্যবাহী খেলা। অর্থনৈতিক দিক থেকেও এটি বেশ লাভজনক। ভালো জাতের এবং চ্যাম্পিয়ন উটগুলো ৫০ লাখ ডলারের বেশি দামে বিক্রি হতে পারে। শুধু পগবাই নন, আরও কয়েকজন আল হাবুব দলে বিনিয়োগ করেছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।

পগবা বলেছেন, আল হাবুবের এই ‘উটের দৌড়কে বিশ্বমঞ্চে পৌঁছে দেওয়ার আকাঙ্ক্ষা’ তাঁর দারুণ লেগেছে। এই দলে যোগ দেওয়াটা তাঁর কাছে ‘নতুন পরিবারে আমন্ত্রণ পাওয়ার মতো।’

উটদৌড় নিয়ে পগবার আগ্রহ কেন বাড়ল? তিনি জানিয়েছেন, ‘গত কয়েক বছর মধ্যপ্রাচ্যে আরও বেশি সময় কাটানোর পর এই খেলাটি নিয়ে আমি আগ্রহী হয়ে পড়ি। উটের দৌড় বারবার চোখে পড়েছে আমার—বিভিন্ন আলোচনায়, স্থানীয় অনুষ্ঠানে। যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই এ নিয়ে কথা হয়েছে। এরপর আমি এটা নিয়ে খোঁজখবর নিতে শুরু করি। যত বেশি জেনেছি, ততই আগ্রহী হয়ে উঠেছি।’

আরও পড়ুনএমবাপ্পে-হলান্ড লড়াই আজ: বিশ্বকাপের মহড়া হয়ে যাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে ৬ ঘণ্টা আগে

ইউটিউবে উটের দৌড় দেখেও খেলাটি নিয়ে আগ্রহ বাড়ার কথা বিবিসিকে বলেছেন পগবা, ‘ইউটিউবে অনেক উটের দৌড় দেখেছি, অবসরে এটা নিয়ে গবেষণা করেছি এবং কৌশলগুলো বোঝার চেষ্টা করেছি।’

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার জন্য আল হাবুব বিশ্বের প্রথম আধুনিক উটের দৌড় দল। একসময় বিশ্বের সবচেয়ে দামি ফুটবলার ছিলেন পগবা। এখন তাঁর স্বপ্ন বিশ্বের সবচেয়ে দামি উটের মালিক হওয়া। তাঁর কথায়, ‘একদিন যদি বিশ্বের সবচেয়ে দামি উটের মালিক হতে পারি, তবে সুন্দর একটি চক্র পূর্ণ হবে.

..হয়তো সেটা হবে একদিন।’

জুভেন্টাসের হয়ে একাধিকবার সিরি আ জিতেছেন পগবা। ২০১৬ সালে ক্লাবটি ছেড়ে বিশ্বের সবচেয়ে দামি খেলোয়াড় হিসেবে যোগ দেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ইউরোপা লিগ ও লিগ কাপ জেতেন তিনি। ২০২২ সালে ফেরেন জুভেন্টাসে।

২০২৩ সালের আগস্টে ডোপ নিয়ে নিষিদ্ধ হন। শুরুতে চার বছরের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পরে তা কমিয়ে ১৮ মাসে নামিয়ে আনা হয়। চলতি বছরের জুনে মোনাকোয় যোগ দিয়ে গত মাসে ক্লাবটির হয়ে প্রথম মাঠে নামেন পগবা। গত দুই বছরের মধ্যে এটা ছিল তাঁর প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ।

আরও পড়ুনদুঃসময়ে লিভারপুলের একটু স্বস্তি, ইয়ামালের রেকর্ডের দিনে হাসল বার্সাও১১ ঘণ্টা আগে

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব শ ব র সবচ য় উট র দ ড় আল হ ব ব র প রথম ফ টবল র কর ছ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেবেন সাকিব

ঘরের মাঠে টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টির পূর্ণাঙ্গ একটি সিরিজ খেলে অবসর নেওয়ার ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। সাকিব ঘোষণা দিয়েছেন, আনুষ্ঠানিকভাবে তিনি এখনও কোনো ফরম‌্যাট থেকে অবসর নেননি।

২০২৪ সালের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকেই দেশের বাইরে থাকতে বাধ্য হয়েছেন বাংলাদেশের সাবেক এই অধিনায়ক। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট খেলে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় নেওয়ার কথা বলেছিলেন তিনি। দেশে ফিরে আবার দেশের বাইরে যাওয়ার শর্ত দিয়েছিলেন সাকিব। কিন্তু নীতিনির্ধারকদের থেকে সাড়া পাননি। ‘হুমকি’ থাকায় তাকে নিয়ে ঝুঁকিও নেননি তারা।

কানপুরে সাকিব টি-টোয়েন্টি থেকে সরে যাওয়ার এবং ভবিষ‌্যতে প্রয়োজন হলে ফেরার কথা বলেছিলেন। ২০২৫ সালে চ‌্যাম্পিয়নস ট্রফি খেলে ওয়ানডে ছাড়ার ইচ্ছা ছিল তার। সেটাও হয়নি। আর টেস্টেও সুযোগ হয়নি। ফলে মাঠ থেকে অবসর নেওয়ার বাসনা পূরণ হয়নি বিশ্বের অন‌্যতম সেরা অলরাউন্ডার সাকিবের।

তবে এখনও সেই ইচ্ছাটা পুষে রেখেছেন তিনি। । রোববার প্রকাশিত ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্ট-এ নিজের ইচ্ছা কথা বলেছেন বাঁহাতি অলরাউন্ডার, “আনুষ্ঠানিকভাবে সব সংস্করণ থেকে অবসর নেইনি আমি। এই প্রথম এটি প্রকাশ করছি। আমার পরিকল্পনা হলো বাংলাদেশে ফিরে গিয়ে ওয়ানডে, টেস্ট ও টি-টোয়েন্টির একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেওয়া।”

“আমি বলতে চাই, একটি সিরিজে সব সংস্করণ থেকে অবসর নিতে পারি। এটি টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু করে ওয়ানডে ও টেস্ট, অথবা টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-এভাবে হতে পারে। এর যেভাবেই হোক, আমি খুশি; কিন্তু আমি একটি পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নিতে চাই। এটাই আমি চাই।” - যোগ করেন তিনি। 

২০২৪ সালে ভারত সফরের পর থেকেই জাতীয় দলের বাইরে সাকিব। তবে বিভিন্ন দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিয়মিতই খেলে বেড়াচ্ছেন সাকিব। এখন যেমন খেলছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের ইন্টারন্যাশনাল লিগ টি-টোয়েন্টিতে (আইএল টি-টোয়েন্টি)। দেশের হয়ে একটি সিরিজ খেলার অপেক্ষাতেই নিজেকে প্রস্তুত রাখছেন সাকিব, এমনটাই বুঝিয়েছেন, ‘‘আমি আশাবাদী। এজন্যই আমি (টি-টোয়েন্টি লিগ) খেলছি। আমার মনে হয় এটা হবে। আমার মনে হয়, যখন একজন খেলোয়াড় কিছু বলে, তার কথায় অটল থাকার চেষ্টা করে। তারা সাধারণত হঠাৎ করে তা পরিবর্তন করে না। আমি ভালো খেলি কি-না, তা বিবেচ্য নয়। এরপর, আমি একটা খারাপ সিরিজও খেলতে পারি।”

ঘরের মাঠে ভক্ত-সমর্থকদের সামনে বিদায় নিতে চান সাকিব,“আমার মনে হয় এটাই যথেষ্ট। এটা ভক্তদের বিদায় জানানোর একটা ভালো উপায় যে, তারা সবসময় আমাকে সমর্থন করেছে, ঘরের মাঠে সিরিজ খেলে তাদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়া।”

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • চলতি সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল: সিইসি
  • সরকারি কর্মকর্তা–কর্মচারীদের গৃহঋণ পরিশোধে অযাচিত চাপ
  • দেশের মাটিতে পূর্ণাঙ্গ সিরিজ খেলে অবসর নেবেন সাকিব