আগামীকাল বৃহস্পতিবার উদ্বোধন হতে যাচ্ছে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের। এদিন বেলা আড়াইটায় দেশের প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় উদ্বোধন করবেন।

আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আপাতত দুটি কক্ষ নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রশাসনিক ভবন–৪ (সুপ্রিম কোর্ট জামে মসজিদসংলগ্ন) দ্বিতীয় তলার দুটি কক্ষে আপাতত সচিবালয়ের কার্যক্রম চলবে।

এদিকে আজ সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, প্রধান বিচারপতি আট সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন’ কমিটি গঠন করেছেন। এর আগে গত ৩০ নভেম্বর সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ (সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশ, ২০২৫) জারি করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় প্রতিষ্ঠিত হলে অধস্তন আদালত ও প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের তত্ত্বাবধান ও নিয়ন্ত্রণসংক্রান্ত সব প্রশাসনিক ও সাচিবিক দায়িত্ব পালন করবে এই সচিবালয়।

অধ্যাদেশ অনুযায়ী, বিচারকাজে নিয়োজিত বিচারকদের পদায়ন, পদোন্নতি, বদলি, শৃঙ্খলা ও ছুটিবিষয়ক সব সিদ্ধান্ত ও অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় এই সচিবালয়ের হাতে থাকবে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সার্বিক নিয়ন্ত্রণ প্রধান বিচারপতির ওপর ন্যস্ত থাকবে এবং সচিবালয়ের সচিব প্রশাসনিক প্রধান হবেন।

‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন’ কমিটি ও সদস্য যাঁরা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশের ৮ (১) ধারা অনুযায়ী অধস্তন আদালত, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রি ও সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় সংশ্লিষ্ট দপ্তর ও প্রতিষ্ঠানসংক্রান্ত উন্নয়ন বা কারিগরি প্রকল্প চূড়ান্ত নিরীক্ষা ও সুপারিশ করার উদ্দশ্যে প্রধান বিচারপতি আট সদস্যবিশিষ্ট একটি ‘পরিকল্পনা ও উন্নয়ন’ কমিটি গঠন করেন। আপিল বিভাগের বিচারপতি রেজাউল হককে সভাপতি করে আজ এই কমিটি গঠন করা হয়।

আট সদস্যের কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো.

যাবিদ হোসেন, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সচিব এবং পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা বিভাগের সচিব।

এর আগে অধ্যাদেশ জারির পর ১ ডিসেম্বর এক স্মারকে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কার্যক্রম অবিলম্বে শুরু করার লক্ষ্যে অধ্যাদেশের ৪ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী দেশের প্রধান বিচারপতির অভিপ্রায়ে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মুহাম্মদ হাবিবুর রহমান সিদ্দিকীকে সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সচিব হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব প্রদান করা হলো।

‘পদ সৃজন’ কমিটি ও সভা

সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সুপ্রিম কোর্ট রেজিস্ট্রি, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ও অধস্তন আদালতের সাংগঠনিক কাঠামো পরিবর্তনসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদ সৃষ্টি, বিলোপ বা বিন্যাসে ‘পদ সৃজন’ কমিটি গঠন করা হয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয় অধ্যাদেশের ১৭ ধারা অনুসারে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামকে সভাপতি করে ১ ডিসেম্বর ওই কমিটি গঠন করা হয়।

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ‘পদ সৃজন’ কমিটির প্রথম সভা ৭ ডিসেম্বর বিকেলে সুপ্রিম কোর্টের সম্মেলনকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সেদিন সভায় পদ সৃজন কমিটির আট সদস্যের মধ্যে সাত সদস্য (অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব বাদে) উপস্থিত ছিলেন।

সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলামের ৭ ডিসেম্বর দেওয়া ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সভায় সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে নিয়োগের জন্য ৪৮৯টি পদ সৃজনের সিদ্ধান্ত সভায় উপস্থিত সব সদস্যের সর্বসম্মত মতামতের ভিত্তিতে গৃহীত হয়েছে। ৪৮৯টি পদের মধ্যে কর্মকর্তা পদে ১০৭টি এবং সহায়ক কর্মচারী পদে ৩৮২টি পদে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ১০৭টি কর্মকর্তা পদের মধ্যে জুডিশিয়াল সার্ভিসের প্রশাসনিক পদ ১০৫টি, মুখ্য হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা পদ ১টি এবং সিস্টেম অ্যানালিস্টের পদ ১টিতে নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, আট সদস্যের কমিটির অপর সদস্যরা হলেন আপিল বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান, হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহ, বিচারপতি মো. বজলুর রহমান, সুপ্রিম কোর্ট সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগের সিনিয়র সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ব ভ গ র ব চ রপত কর মকর ত আট সদস য ড স ম বর সদস য র গঠন কর অন য য় কম ট র গঠন ক

এছাড়াও পড়ুন:

ধামগড় ইউনিয়ন ৪টি ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন

বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন ৩, ৪, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। ‎‎

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন এবং ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার যৌথভাবে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এই চারটি ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেন।

‎‎বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন বলেন, আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পক্ষে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার লক্ষ্যে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।

‎‎তিনি আরও বলেন, মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১৫দিনের মধ্যে সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে দিয়েছি।

আর ধামগড় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকায় আমি ও বন্দর উপজেলার সভাপতি এবং ধামগড় ইউনিয়নের সভাপতি যৌথভাবে স্বাক্ষর করে এই কমিটি অনুমোদন করে দিয়েছি
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ