2025-12-10@15:58:50 GMT
إجمالي نتائج البحث: 341
«ল দ শ র ব স তবত য়»:
গত ১৩ নভেম্বর পাকিস্তানের দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ সংবিধানের ২৭তম সংশোধন অনুমোদন করেছে। পাঁচ দিনের উত্তপ্ত বিতর্ক, বিরোধী দলের বিরোধিতা এবং শেষ মুহূর্তের কিছু সংশোধনীর পর এটি নিম্ন ও উচ্চ উভয় কক্ষেই পাস হয়। এর মাধ্যমে ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানে প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতা পৃথক্করণ (যার মাধ্যমে স্বাধীন বিচারব্যবস্থার অধীন সশস্ত্র বাহিনী দায়বদ্ধ ছিল) রহিত হলো। একই সঙ্গে পাকিস্তানের বিচার বিভাগকে শাসন বিভাগের অধীন বিভাগে পরিণত করা হলো।এ ঘটনাকে পাকিস্তানের গণমাধ্যমে ‘কালো অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। বিস্তারিতভাবে বললে, সাংবিধানিক এই সংশোধনের মাধ্যমে নিম্নোক্ত পরিবর্তনগুলো সূচিত হলো—(ক) একটি ফেডারেল সাংবিধানিক আদালত প্রতিষ্ঠা করা হবে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্ট বা সর্বোচ্চ আদালত একটি অ্যাপিলেট কোর্ট বা আপিল আদালতের আকার ধারণ করবে, যা শুধু দেওয়ানি ও ফৌজদারি বিষয়াদি বিচারের জন্য কাজ করবে। এর ফলে সংবিধানসংক্রান্ত, জনস্বার্থ এবং মানবাধিকার–সম্পর্কিত...
দেশের মানুষ অনেক ধরনের সরকারই দেখেছে। সব সরকারের মধ্যেই ছিল দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির প্রবণতা। সহজাত দুর্নীতি তো ছিলই। দলীয় নেতাদের প্রতি পক্ষপাতিত্ব এবং স্বজনপ্রীতির হাত ধরেও দুর্নীতিকে আসতে দেখা গেছে। সরকারের চরিত্রের বদল না হওয়ায় এ অপবাদ থেকে মুক্ত নয় এমনকি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও।অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যেহেতু দলীয় নয়, আমরা আশা করেছিলাম নানা ধরনের সংস্কারের কাজ তারা করবে এবং উপদেষ্টারা জোরালো ভূমিকা রাখতে পারবেন। কিন্তু তা হয়নি। আগের সরকারগুলোর চরিত্র বর্তমান সরকারেও গেড়ে বসেছে। পরিবর্তন দেখছি না, শুধু হাতবদল ও মুখবদল হয়েছে। তাঁদের অনেকের কর্মকাণ্ডে জনগণ হতাশ হয়েছেন।আমি মনে করি, বাংলাদেশের বর্তমান আর্থসামাজিক বিষয়ের ওপরে প্রথম আলোর জরিপটিকে একটি বাস্তবতার নিরিখে দেখা প্রয়োজন। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং নির্বাচন-পরবর্তী সময়ে আর্থসামাজিক বিষয়ে সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা অনেক। তাঁরা মনে করছেন, নির্বাচনের...
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বিভাজন, ঘৃণা ও সহিংসতার রাজনীতি উসকে দিচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি এনসিপি। দলটি বলছে, ৫ আগস্ট-পরবর্তী নতুন রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে গ্রহণ করার পরিবর্তে জামায়াত পুরনো সহিংস ও আধিপত্যবাদী রাজনীতির পথে ‘নতুন খেলোয়াড়’ হিসেবে আবির্ভূত হতে চাচ্ছে, যা দেশের জন্য অশুভ সংকেত। আরো পড়ুন: কোটালীপাড়া জামায়াতের হিন্দু শাখার ৯ নেতাকর্মীর পদত্যাগ জামায়াত দায়িত্ব পেলে ইসলামের ভিত্তিতে রাষ্ট্র চালাবে: এটিএম আজহারুল সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এনসিপির যুগ্ম সদস্য সচিব ও মিডিয়া সেল সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে। বিবৃতিতে এনসিপি জানায়, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য সচিব আখতার হোসেনকে উদ্দেশ্য করে ৭ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যে অসত্য, মনগড়া ও বিভ্রান্তিকর বিবৃতি দিয়েছে, এনসিপি...
এবারের বিজয়ের মাস শুরু হয়েছে রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা নিয়ে। এ মাসের মধ্যে তা বাড়ার আশঙ্কা বেশি, কমার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। তথা মানুষের ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কা ও উদ্বেগ কেবল বাড়ছে। এ অবস্থায় বিজয় দিবস নিয়ে উচ্ছ্বাসের প্রকাশ ঘটতে দেখা যাচ্ছে না। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি, তারেক রহমানের দেশে ফেরার অনিশ্চয়তা পরিস্থিতিকে জটিল করে তুলছে। এর মধ্যে বিজয়ের মাসের আলোচনায় দেশে পালাবদলের পরে দক্ষিণপন্থার উত্থান ও শক্তি বৃদ্ধির বিষয়টি গুরুত্ব পেতে পারে।বাম প্রগতিশীল শক্তির দুঃসময় অবশ্য আজকের নয়, চব্বিশ জুলাই অভ্যুত্থানের পরে সৃষ্ট। নব্বই দশকের গোড়ায় সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পরে বামপন্থার তখনকার বড় দলের বিপর্যয়ে দুঃসময় আরও ঘনীভূত হয়েছে। তবে ভাষা আন্দোলনের সূচনা থেকেই এ দেশের শিল্পী-সাহিত্যিক-বুদ্ধিজীবী এবং পেশাজীবীদের অগ্রসর প্রভাবশালী অংশ এবং ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক সংগঠনের মধ্যে বাম-প্রগতি চেতনা বেশ জোরদার ছিল।...
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের কারা হেফাজতে মৃত্যুর গুজব দেখিয়ে দেয়, দেশটির রাজনৈতিক পরিবেশে কতটা গভীর অবিশ্বাস বিরাজ করছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাঁর মৃত্যুর দাবিকে বাতিল করেছেন এবং বলেছেন, এগুলো গুজবের অংশ। তবু যে দ্রুততার সঙ্গে এসব গুজব ছড়ায়, তা আরও বড় এক বাস্তবতার কথা বলে।ফিল্ড মার্শাল জেনারেল আসিম মুনির ভালোভাবেই বোঝেন, ইমরান খানকে সরিয়ে দেওয়া এমন এক আত্মঘাতী ভুল, যা বর্তমান ক্ষমতাকাঠামো মোটেও বহন করতে পারবে না। দীর্ঘ সামরিক জীবনে মুনির দেখেছেন, তাঁর আগের কিছু সেনাপ্রধানের হঠকারী সিদ্ধান্ত কত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে এনেছিল। এর মধ্যে অন্যতম ছিল জেনারেল পারভেজ মোশাররফের কিছু বেপরোয়া পদক্ষেপ। যেমন ২০০৬ সালে নবাব আকবর বুগতিকে হত্যা ও ২০০৭ সালের লাল মসজিদ অভিযান। যার পরিণতি পাকিস্তান আজও বয়ে বেড়াচ্ছে।এ ছাড়া দেশটির সেনাবাহিনী কখনোই পাঞ্জাবের কোনো নেতাকে কারা...
‘পৃথিবীর সবকিছু এখন একহাতে চলে যাচ্ছে। যার জাহাজের ব্যবসা সে–ই ইন্টারনেট চালায়, তার হাতে বড় বড় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম; সিনেমাও সে–ই নিয়ন্ত্রণ করে। সামনে হয়তো আরও খারাপ সময় আসছে, যখন নির্মাতাদের সে গল্পই বলতে হবে, যা তাঁকে বলতে বলা হবে।’ চলতি বছর ধর্মশালা চলচ্চিত্র উৎসবে ভারতীয় গণমাধ্যম মানিকন্ট্রোলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে চলচ্চিত্র বিশেষ করে ওটিটির ভবিষ্যৎ নিয়ে এভাবেই শঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন দিবাকর ব্যানার্জি। দিবাকরের নতুন সিনেমা ‘টিস’ যা নেটফ্লিক্স প্রযোজনা করেছে। কিন্তু ‘অতি সংবেদনশীল রাজনীতিক বিষয়’ থাকায় তিন বছর ধরে মুক্তি দিচ্ছে না। দিবাকর মনে করেন, বড় তারকা আর অ্যালগরিদমের পেছনে ছুটে প্ল্যাটফর্মগুলো কার্যত সিনেমার কফিনে শেষ পেরেক ঠুকছে। সিনেমা দুনিয়ার খোঁজখবর রাখলে দিবাকরের এই বক্তব্য কতটা প্রাসঙ্গিক, সেটা এতক্ষণে আপনার বুঝে যাওয়ার কথা। নেটফ্লিক্স ওয়ার্নার ব্রাদার্স কিনে নিচ্ছে—এই খবর আনুষ্ঠিক...
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন দুই দিনের সফরে আজ ভারতে এসেছেন। এই সফরের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের পাশাপাশি অর্থনৈতিক গুরুত্বও আছে।বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক বিরোধ তুঙ্গে, সেই সময় ভারতের পরীক্ষিত মিত্র রাশিয়া তার পাশে কতটা দাঁড়াতে পারে, বিশ্লেষকেরা তা দেখার অপেক্ষায় আছেন। এই সফরে অর্থনীতির ক্ষেত্রে নতুন কিছু চুক্তি হতে পারে।কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে পার্থক্য হলো, যুক্তরাষ্ট্রে ভারতের রপ্তানি যেখানে বছরে প্রায় ৮০ বিলিয়ন বা ৮ হাজার কোটি ডলার, সেখানে রাশিয়ায় তার রপ্তানি মাত্র ৪ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন বা ৪৮৮ কোটি ডলার। গত পাঁচ বছরে ভারত-রাশিয়ার দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়লেও সেই বাণিজ্য মূলত রাশিয়ার দিকেই হেলে আছে। সেই সঙ্গে ভারত সম্প্রতি রাশিয়ার তেল কেনা কমিয়েছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আজ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারতে আসছেন। খবর ইকোনমিক টাইমস ও দ্য...
স্বল্পোন্নত দেশের (এলডিসি) শ্রেণিবিভাগের বয়স পাঁচ দশকের বেশি হয়ে গেল। ১৯৭১ সালে জাতিসংঘ এই শ্রেণিবিভাগ তৈরি করে। টেকসই উন্নয়নের পথে যেসব দেশ বড় ধরনের বাধার সম্মুখীন, তাদের জন্য এই এলডিসি। এলডিসি মর্যাদা পেলে দেশগুলোর জন্য বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধার দ্বার খুলে যায়। যেমন বাণিজ্যসুবিধা, স্বল্প সুদে অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তাসহ নানা সহায়তা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার।বিনিয়োগ ও বাণিজ্যের দুয়ার খোলার সঙ্গে প্রতিষ্ঠান সংহতকরণের সুযোগ সৃষ্টি করে এই এলডিসি মর্যাদা। সেই সঙ্গে ঝড়ঝাপটার মুখে সুরক্ষাও পায় দেশগুলো। জলবায়ুজনিত, ভৌগোলিক অবস্থান, দ্বন্দ্ব-সংঘাত ও নানা ভঙ্গুরতার কারণে যেসব দেশ অরক্ষিত, তাদের জন্য এসব সুবিধা প্রাণশক্তির মতো কাজ করেছে।তবে চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে এই এলডিসির কাতার থেকে বেরিয়ে আসা বা যাকে বলে ‘উত্তরণ ঘটানো’। তার আবার উত্তরণকাল আছে, যে সময়ের মধ্যে দেশগুলো এ উত্তরণের জন্য প্রস্তুতি নেয়। এ...
সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের বেতন-ভাতা যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে গত ২৭ জুলাই ২০২৫ অন্তবর্তীকালীন সরকার নবম জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়নে কমিশন গঠন করে গেজেট প্রকাশ করে। ঠিক তখন থেকেই বড় সুখবরের প্রত্যাশায় সময় অতিবাহিত করছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীরা। কেননা, সরকার কর্তৃক গঠিত প্রতিটি বেতন কমিশন সাধারণত মুদ্রাস্ফীতি, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি এবং দেশের অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিত বিবেচনা করে সরকারি কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা বৃদ্ধির জন্য সুপারিশ করে থাকে। দেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত আটটি পে-স্কেল বাস্তবায়িত হয়েছে। পর্যালোচনায় দেখা যায়, সর্বোচ্চ আট বছরের ব্যবধানে নতুন পে-স্কেল ঘোষণা হয়েছে। ফলে এক দশক পরে নবম জাতীয় পে-স্কেল বাস্তবায়ন হলে প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের অর্থনৈতিক সমস্যার সমাধান হবে ও জীবনের অত্যাবশ্যকীয় প্রয়োজন সহজেই মেটাতে পারবে। জীবনের মৌলিক অধিকারকে অস্বীকার করে পালিয়ে বাঁচা যায় না। জীবনের মৌলিক প্রয়োজন...
হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রাথমিক মনোনয়ন পাওয়া মুখলিছুর রহমান নির্বাচনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। আজ মঙ্গলবার তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে একই আসনে দলের প্রার্থী সাংবাদিক অলিউল্লাহ নোমানকে সমর্থন জানান।আজ নিজের ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে জেলা জামায়াতের আমির মুখলিছুর রহমান লেখেন, মনোনয়ন পাওয়ার পর তিনি নিয়মিত গণসংযোগ করেছেন এবং স্থানীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছেন। তাঁর ভাষায়, ‘সাধারণ মানুষের এই ভালোবাসা আমার রাজনৈতিক জীবনের বড় সম্পদ।’মুখলিছুর রহমান আরও লেখেন, রাজনৈতিক বাস্তবতা ও সংগঠনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত বিবেচনায় কেন্দ্রীয় সংগঠন তাঁর সঙ্গে আলোচনা করে অলিউল্লাহ নোমানকে চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। সংগঠনের প্রতি সম্মান ও আনুগত্য থেকে তিনি সে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।অলিউল্লাহ নোমান দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সাংবাদিক। সাংবাদিকতা পেশায় যুক্ত থাকলেও তিনি দীর্ঘ সময়...
আজকাল ইনস্টাগ্রাম, ফেসবুকের রিলসে একটা কথা ঘুরে বেড়ায়, ‘ইউ বিকাম হোয়াট ইউ মক!’ কোনো প্রবাদ বা বাক্য তো আমাদের বিশেষ কোনো ঘটনা, স্মৃতি, দুঃসহ অতীত মনে করিয়ে দিতেই পারে। আমার মনে পড়ে ২০১৯ সালের একটি ঘটনা।২০১৯ সালে গাজীপুরের শ্রীপুরে জামাল উদ্দিনের মর্মান্তিক আত্মহত্যা বাংলাদেশের পুরুষতান্ত্রিক কাঠামো কীভাবে পুরুষদের বিরুদ্ধেও যেতে পারে, তার এক নির্মম উদাহরণ। তার অভিজ্ঞতা কেবল একটি অপরাধ বা ব্যক্তিগত ট্র্যাজেডি নয়, এটি এমন একটি সমাজব্যবস্থারও প্রতিফলন, যেখানে ‘পুরুষ সম্মান’ নামের বিমূর্ত ও অমানবিক একটি ধারণা অগ্রাধিকার পায়।যে সংস্কৃতিতে মনের অনুভূতির প্রকাশকে পুরুষত্বের বিপরীত গুণ হিসেবে গণ্য করা হয়, সেই সমাজে যৌন সহিংসতার শিকার একজন পুরুষের মানসিক চাপ কতটা অসহনীয় হতে পারে, জামালের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে সেই বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে।অভিযোগ অনুযায়ী, সিয়াম, সাদেক মিয়া, রনি, পিন্টু, সজল ও...
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বে কেনাকাটার সবচেয়ে বড় দিন হচ্ছে ‘ব্ল্যাক ফ্রাইডে’। নভেম্বর মাসের শেষ শুক্রবার এই দিনটি তাঁদের জীবনে বিশেষ ক্ষণ হয়ে আসে। এবারের ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে মার্কিন ক্রেতারা গত বছরের চেয়ে ৪ দশমিক ১ শতাংশ বেশি কেনাকাটা করেছেন।মাস্টারকার্ড স্পেন্ডিং পালসের তথ্যানুসারে, এ বছর মার্কিন ক্রেতারা এই ব্ল্যাক ফ্রাইডেতে অনলাইনে ১১ দশমিক ৮ বিলিয়ন বা ১ হাজার ১৮০ কোটি ডলার ব্যয় করেছেন। ২০২৪ সালের তুলনায় যা ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি। অ্যাডোবি অ্যানালিটিকসের তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে এই পরিসংখ্যান দিয়েছে তারা।আদতে এই প্রবৃদ্ধি ভালো মনে হলেও বাস্তবতা সে রকম নয় বলে মনে করেন অর্থনৈতিক বিশ্লেষকেরা। দেশটির অর্থনীতিবিষয়ক লেখক রিক নিউম্যান সিএনএনকে বলেন, এ বছর মূল্যস্ফীতির পরিমাণ ৩ শতাংশ। ফলে কেনাকাটা ৪ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধির অর্থ হলো, কার্যত তা বেড়েছে ১ শতাংশের কিছু...
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ (আইইউবি) ও কোলোকাল প্রকল্পের যৌথ উদ্যোগে দুই দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন ‘এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড চেঞ্জিং ক্লাইমেট ২০২৫’ গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) শেষ হয়েছে। ‘জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বৈশ্বিক কৌশল ও স্থানীয় বাস্তবতার সমন্বয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আলোচনায় অংশ নেন দেশি–বিদেশি গবেষক, উন্নয়নকর্মী, শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন অঞ্চলের স্থানীয় প্রতিনিধিরা। ২০ নভেম্বর সম্মেলন শুরু হয়েছিল। প্রথম দিনের মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন এ আতিক রহমান, শাহপার সেলিম ও ফয়সাল কবীর। তাঁরা জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক গবেষণা, সক্ষমতা বৃদ্ধি ও নীতিনির্ধারণে স্থানীয় জ্ঞান ব্যবহারের গুরুত্ব তুলে ধরেন। উদ্বোধনী পর্বে আরও বক্তব্য দেন আইইউবির উপাচার্য ম. তামিম, সহ–উপাচার্য ড্যানিয়েল ডব্লিউ লুন্ড ও স্কুল অব এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড লাইফ সায়েন্সেসের ডিন কে আয়াজ রাব্বানী।পরিবেশ ও জলবায়ু ন্যায়বিচার নিয়ে পটগান পরিবেশন করে খুলনার ‘রূপান্তর থিয়েটার’। মুয়ীজ মাহফুজ ব্যান্ড পরিবেশদূষণ, বিশেষ...
শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০০৬ হালনাগাদ করে শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫-এর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। সোমবার (২৪ নভেম্বর) প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে জানিয়ে পরিবেশ মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, আগের বিধিমালায় একাধিক সীমাবদ্ধতা থাকায় এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা না থাকায় শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে নানা প্রতিবন্ধকতা ছিল। সেসব সীমাবদ্ধতা দূর করে নতুন চাহিদা, বাস্তবতা এবং প্রযুক্তিগত বিবেচনা যুক্ত করে হালনাগাদ শব্দদূষণ (নিয়ন্ত্রণ) বিধিমালা, ২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগের বিধিমালায় কেবল ম্যাজিস্ট্রেটদের ক্ষমতা প্রদান করার বিষয়টি উল্লেখ থাকায় সীমিত জনবল দিয়ে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়নি। এজন্য নতুন বিধিমালায় ম্যাজিস্ট্রেটদের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য হিসেবে ট্রাফিক পুলিশের ক্ষমতা নির্ধারণ করা হয়েছে (ট্রাফিক সার্জেন্টের...
বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টারের (পিপিআরসি) চেয়ারম্যান ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হোসেন জিল্লুর রহমান বলেছেন, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের গত ১৫ বছরের প্রবৃদ্ধির মডেল ছিল অবকাঠামোকেন্দ্রিক, যা অন্তর্ভুক্তিমূলক ছিল না; বরং অর্থনৈতিক গণতন্ত্রকে ক্ষয় করেছে। দুর্নীতিকেও প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। তাই প্রবৃদ্ধির ধারণাটি নতুন করে ভাবতে হবে। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আজ সোমবার বে অব বেঙ্গল কনভারসেশন সম্মেলনের তৃতীয় দিনে স্পিড টক বা একক বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। বর্তমানে হোসেন জিল্লুর রহমান বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকের চেয়ারম্যান হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।হোসেন জিল্লুর রহমান বলেন, প্রবৃদ্ধি এখন আর শুধু অর্থনীতিবিদদের বিষয় নয়, এটিকে কিছু সংখ্যা বা অবকাঠামো প্রকল্পের মধ্যে সীমাবদ্ধ করা দুঃখজনক হবে। তিনি বলেন, ‘প্রবৃদ্ধির প্রক্রিয়াটিকেই আমি একধরনের গণতান্ত্রিক যুদ্ধক্ষেত্র হিসেবে দেখি। তার কারণ এখানে বহু কণ্ঠস্বর প্রবেশ করতে...
বিশ্বের নানান প্রান্তের যেসব শুভাকাঙ্ক্ষী দেশের বাউলসমাজের খোঁজখবর রাখেন কিংবা নানান উৎসবে বাউলদের দেখা পান এ দেশে বাস করা যেসব বিদেশি, তাঁরা হয়তো ভাবতে পারেন দেশের বাউলসমাজ খুবই সম্মানের সঙ্গে দিন কাটাচ্ছে। তাঁদের এ ভাবনার পেছনে রাষ্ট্রের বিজ্ঞাপনের ভূমিকা অস্বীকার করা যায় না। পয়লা বৈশাখে আনন্দ শোভাযাত্রার প্রথম সারিতে শত শত বাউলের উপস্থিতি কিংবা লালনের তিরোধানে দেশ-বিদেশ থেকে সাব-অল্টার্ন তাত্ত্বিকদের ডেকে এনে উদ্যাপন তো এ দেশে বাউলদের সম্মানের বার্তাই বহন করে।কিন্তু বিজ্ঞাপন আর বাস্তবতা তো খুবই আলাদা বিষয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রে বিজ্ঞাপনের সঙ্গে বাস্তবতার মিল কমই থাকে। বাংলাদেশের বাউল-ফকির, সন্ন্যাসীদের নিয়ে রাষ্ট্রের যে বিজ্ঞাপন, বাস্তবতা তার চেয়ে কেবল ভিন্ন নয়, বরং পুরোপুরি উল্টো। নয়তো নিরাপত্তা দেওয়ার অজুহাতে পালাগানের আসর থেকে তুলে নিয়ে আবুল সরকারকে মামলা দিয়ে কারাগারে নেওয়া হলো কেন?আরও...
ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়তে আগামী নির্বাচনে আলেম-ওলামাদের দোয়া ও সমর্থন চেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেছেন, রাষ্ট্র ও সরকার পরিচালনায় বিএনপির মূলমন্ত্র হবে ন্যায়পরায়ণতা। মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)–এর ন্যায়পরায়ণতার আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে একটি ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আগামী নির্বাচনে বিএনপি দেশের সব ইমাম, খতিব, মুয়াজ্জিন, আলেম-ওলামা মাশায়েখের দোয়া ও সমর্থন চায়। আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে সম্মিলিত ইমাম খতিব পরিষদ আয়োজিত জাতীয় সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান এ কথা বলেন।তারেক রহমান বলেন, দীর্ঘ দেড় দশকের তাঁবেদারি শাসন-শোষণের মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণিত হয়েছে, ইমান, ইসলাম এবং দেশের স্বাধীনতা–সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে হলে ঐক্যের বিকল্প নেই। তাই দেশ ও জনগণের স্বাধীনতা সুসংহত করার জন্য আগামী জাতীয় নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।তারেক রহমান বলেন, বিএনপি এমন...
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জকসু) নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন স্বেচ্ছায় রক্তদাতাদের সংগঠন ‘বাঁধন’ এর সভাপতি মোসা. উম্মে মাবুদা। শনিবার (২২ নভেম্বর) তিনি রাইজিংবিডিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি সমাজকর্ম বিভাগের ২০২০–২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। আরো পড়ুন: জকসু: ছাত্রদলের প্যানেল থেকে লড়বেন জুলাইয়ে গুলিবিদ্ধ অনিক তারেক রহমানের জন্মদিনে ছাত্রদলের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে উম্মে মাবুদা বলেন, “প্যানেলভিত্তিক রাজনীতি আমার পছন্দ নয়। প্যানেলে ব্যক্তিগত মত ও স্বাধীন অবস্থান হারিয়ে যায়, সেখানে দলীয় স্বার্থই প্রাধান্য পায়। ছাত্র সংসদ হওয়া উচিৎ স্বাধীন মত প্রকাশের জায়গা, রাজনৈতিক এজেন্ডার বাহক নয়। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে স্বাধীনভাবে কাজ করতে চাই, তাই স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছি।” জকসু নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অনুপ্রেরণা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংসদ...
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার নামে কার্যত ঘৃণা, বিভ্রান্তি ও মিথ্যাকে অর্থায়ন করা হয় বলেছেন ডেইলি স্টারের সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম।পরিবর্তিত বাস্তবতায় একে ‘মিথ্যার বিপদ’ আখ্যা দিয়ে রক্ষা পেতে দেশের নীতিনির্ধারক ও নেতৃত্বস্থানীয়দের প্রতি আহ্বান তিনি।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রসঙ্গ তুলে মাহ্ফুজ আনাম বলেছেন, ‘যত বেশি ঘৃণাপূর্ণ মন্তব্য, যত বেশি তথ্য-বিচ্যুতি, যত বেশি মিথ্যা, যত বেশি কারও বিরুদ্ধে উসকানিমূলক লেখা—তত বেশি ক্লিক, আর তত বেশি আয়।’‘বে অব বেঙ্গল কনভারসেশনে’র একটি পর্বে দেওয়া একক বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাহফুজ আনাম। আজ শনিবার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজ (সিজিএস)। আলোচনায় অংশ নিয়ে ‘যুদ্ধ, ভঙ্গুর রাষ্ট্র ও বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার সমাপ্তি’ এবং ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ভুয়া তথ্যের হুমকি’ প্রসঙ্গে নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন ডেইলি স্টার সম্পাদক।মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘সোশ্যাল মিডিয়া...
জুলাই অভ্যুত্থানের মতো বড় ঘটনা ঘটে গেল দেশে। অথচ গত দেড় বছরে এর তীব্র অভিঘাত শিল্প-সাহিত্যের অঙ্গনে খুবই কম। সমকালের বড় একটা ঢেউ লেখক, কবি-সাহিত্যিকদের কি আসলেই স্পর্শ করেনি? এমন জিজ্ঞাসা নিয়ে গিয়েছিলাম পাঁচ শিল্পীর প্রদর্শনী ‘রেজোনেন্স অব টাইম’ দেখতে। মনে আশা জাগল নামটা দেখে, ‘সময়ের অনুরণনের’ কথা আছে, নিশ্চয় সমকালকেও খুঁজে পাওয়া যাবে।চট্টগ্রামের আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তনে ২৪টি ছবি নিয়ে পাঁচ দিনের এই প্রদর্শনী শুরু হয় ১৫ নভেম্বর, শনিবার। শেষ হয় ২০ নভেম্বর। পাঁচ শিল্পীর কেউ অ্যাক্রিলিক, কেউ কালি-কলম, কেউ চারকোল-কাগজ আর কেউবা ধাতুর পাতকে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করেছেন।প্রদর্শনীতে বিশেষভাবে নজর কেড়েছে শিল্পী সঞ্জীব বড়ুয়ার শিল্পকর্ম ‘টাইম অ্যান্ড রিয়েলাইজেশন’ সিরিজের ছবিগুলো। ক্যানভাসে অ্যাক্রিলিকে আঁকা একটি ছবির বিবরণ দেওয়া যাক। নানা তলে সন্নিবেশিত ছবিটি প্রথম দেখায় মনে হবে জলরঙের ওয়াশে আঁকা।...
শৈশব থেকেই মানুষ রং, রেখা আর ছবির প্রতি স্বভাবগতভাবে আকৃষ্ট থাকে। তাই ছোটদের গল্পনির্ভর চিত্রকাহিনি বা কমিকসের প্রতি আলাদা টান তৈরি হয়। এই আকর্ষণ থেকেই ধীরে ধীরে কমিকস ধারার বিকাশ ঘটেছে। বাংলাদেশে আধুনিক কমিকসের আগে শিশু-কিশোর পত্রিকার ইলাস্ট্রেটেড গল্প, চিত্রকাহিনি ও স্টোরিবোর্ড-ধর্মী ধারাই ছিল কমিকসের প্রথম রূপ। স্বাধীনতার পর শিশু-কিশোর সংস্কৃতিতে নতুন ধারার সৃষ্টি হয়। সেই ধারারই আধুনিক রূপ তৈরি করে ২০১৩ সালে একদল তরুণ শিল্পীর উদ্যোগে গড়ে ওঠে ঢাকা কমিকস, যা আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়।ঢাকা কমিকসের নিজস্বতা রয়েছে যেমন: দেশীয় বাস্তবতা, আধুনিকতা ও শক্তিশালী গল্প—এসব মিলিয়ে তাদের কাজ পাঠকের মন জয় করে নিয়েছে। এই জনপ্রিয়তারই ধারাবাহিকতায় এবার প্রকাশ পেল দেবী দুর্গার গল্পভিত্তিক অসাধারণ একটি কমিকস।ঢাকা কমিকসের নিজস্বতা রয়েছে যেমন: দেশীয় বাস্তবতা, আধুনিকতা ও শক্তিশালী গল্প—এসব মিলিয়ে...
বিশ্বরাজনীতিতে ‘ডায়াস্পোরা’ অর্থাৎ প্রবাসী জনগোষ্ঠী এখন একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক শক্তি। শব্দটির উৎপত্তি প্রাচীন গ্রিক ‘ডিএসপাইরেইন’ থেকে, যার অর্থ ছড়িয়ে যাওয়া বা বিচ্ছুরণ; কিন্তু এই ছড়িয়ে যাওয়া শুধু ভৌগোলিক নয়; এর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে স্মৃতি, আবেগ, পরিচয় এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ—রাজনৈতিক প্রভাব।সমাজবিজ্ঞানী উইলিয়াম সাফরান তাঁর বিখ্যাত প্রবন্ধ ‘ডিএসপোরাস ইন মডার্ন সোসাইটিস’–এ বলেন, ডায়াস্পোরা হলো এমন জনগোষ্ঠী, যারা দেশের বাইরে থাকলেও ‘হোমল্যান্ড’ বা মাতৃভূমিকে মন থেকে কখনো আলাদা করতে পারে না। তাদের অনুভূতি, ভয়–আশঙ্কা, রাজনৈতিক মূল্যবোধ—সবই দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে প্রভাবিত করতে পারে।এই ধারণা সবচেয়ে স্পষ্টভাবে বোঝা যায় ইহুদি ডায়াস্পোরার ইতিহাসে। হাজার বছরের যাত্রায় ইহুদিরা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ে; কিন্তু বিংশ শতকে ইউরোপের বহু ইহুদি, যাদের বলা হয় ‘আশকেনাজি’—আধুনিক প্যালেস্টাইনে এসে বসতি স্থাপন করলে নতুন এক রাজনৈতিক বাস্তবতা তৈরি হয়।আরও পড়ুনপ্রবাসীদের মেধা...
দেশে এখন দুটি বাস্তবতা বিরাজ করছে। একদিকে রয়েছে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের কর্মসূচি কেন্দ্র করে জ্বালাও-পোড়াও আতঙ্ক, অন্যদিকে আছে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন কেন্দ্র করে মানুষের উৎসাহ ও উদ্দীপনা। তবে এ দুই বাস্তবতার ভেতর নির্বাচন নিয়ে জনমনে উৎসবের পাল্লাটা ভারী। বেশ বড় ব্যবধানে ভারী। কারণ, গত বছর জুলাই–আগস্টে ক্ষমতাসীনদের রেখে যাওয়া ক্ষত এ দেশের বুকে এখনো দগদগে তাজা। নতুন করে কোনো নাশকতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার আগ্রহ জনগণের নেই। বিশেষ করে মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচার কেন্দ্র করে তো নয়ই।এ ছাড়া বহু বছরের ডামি নির্বাচন আর ‘রাতের ভোটের’ অধ্যায় পেরিয়ে বাংলাদেশ এবার সত্যিই একটা বহুদলীয় নির্বাচনের সন্ধিক্ষণে এসে দাঁড়িয়েছে। বিচার, সংস্কার ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ঘিরে নির্বাচন নিয়ে অনেক ‘যদি কিন্তু’ ছিল। তবে সে ধোঁয়াশা কেটেছে। ১৩ নভেম্বর প্রধান উপদেষ্টার...
পিঠে থুরুং (ঝুড়ি) বাঁধা এক জুমিয়া নারী। মাথায় পাগড়ির বা শিরস্ত্রাণের মতো একটা ট্যাংক। ছবির পরিসরজুড়ে বিশালাকৃতির সেই নারীর চারপাশে বন্দুকধারী অসংখ্য ছায়ামূর্তি। তাদের আকৃতি নারীর তুলনায় বহুগুণ খর্বকায়। ট্যাংকের নল দিয়ে সেসব ছায়ামূর্তির ওপর পড়ছে পাতা আর ফুল।শিল্পী জয়দেব রোয়াজা কালি ও কলমে এই ছবি এঁকেছিলেন ২০২৩ সালে। তাঁর অন্য সব ছবির মতোই এটিও পাহাড়ের সমকালীন অবস্থাই কেবল তুলে ধরে না; বরং তাকে ভীষণভাবে ছাপিয়ে যায়। বাস্তবতা পেরিয়ে জাদুবাস্তবতার সীমায় এসে দাঁড়ায়। মানুষের জীবন, সংগ্রাম আর প্রকৃতি সব ভেঙেচুরে কবিতার একটি পঙ্ক্তির ভেতরে যেন প্রবেশ করে।১৯৭৩ সালে খাগড়াছড়ির খামারপাড়ার একটি ত্রিপুরা পরিবারে জন্ম জয়দেব রোয়াজার। মা নীহারিকা ত্রিপুরা আর বাবা হিরণ্ময় রোয়াজা। হিরণ্ময় মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট পদে একটি হাসপাতালে চাকরি করতেন। শান্ত নিরিবিলি পাড়ার বাসিন্দা তাঁরা। পাহাড়, ঝিরি, ঝরনা আর...
শার্ল বোদলেয়ারের ‘প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু’ কবিতাটির প্রথম প্রকাশ ৯ এপ্রিল ১৮৫১, ‘ল্য মেসাজে দ্য লাসঁব্লে’ পত্রিকায়। কবি বুদ্ধদেব বসু ১৯৫৩ সালে ‘প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু’ শিরোনামে কবিতাটি অনুবাদ করেন এবং ‘বোদলেয়ার: তাঁর কবিতা’ গ্রন্থে স্থান দেন।কবিতাটি বোদলেয়ারের ‘লে ফ্ল্যর দ্যু ম্যাল’-এর অন্যতম প্রতীকবাদী কবিতা। এখানে প্রেম ও মৃত্যুকে পরস্পরের পরিপূরক হিসেবে দেখানো হয়েছে। এখানে প্রেমের চূড়ান্ত মিলন ঘটে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে, যেখানে দেহগত সীমা অতিক্রম করে আত্মা ও স্মৃতির অনন্ত মিলন ঘটে। মূল কবিতায় বোদলেয়ারের ভাষা একই সঙ্গে সংবেদনশীল ও গূঢ় প্রতীকধর্মী; ‘যমজ আয়না’, ‘জ্বলন্ত মশাল’, ‘অদ্ভুত ফুল’ প্রভৃতি চিত্রকল্পে প্রেমের রহস্যময় রূপ ও মৃত্যুর সৌন্দর্য যেন একাকার হয়ে গেছে।বুদ্ধদেব বসুর অনুবাদে ‘প্রেমিক-প্রেমিকার মৃত্যু’‘কবরের মতো গভীর ডিভানে লুটিয়েমৃদু বাসে ভরা রবে আমাদের শয্যা,সুন্দরতর দূর আকাশেরে ফুটিয়েদেয়ালের তাকে অদ্ভুত ফুলসজ্জা।যুগল হৃদয়, চরম দহনে গলিত,বিশাল যুগল-মশালের...
তায়াম্মুম শব্দটি এসেছে আরবি ‘তায়াম্মা’ থেকে, যার অর্থ ‘উদ্দেশ্য করা’ বা ‘মনোনিবেশ করা’। ইসলামি পরিভাষায়, তায়াম্মুম হল, পানি না পাওয়া বা ব্যবহার করতে অক্ষম হলে, বিশুদ্ধ মাটি বা তার সমতুল্য কিছু দিয়ে প্রতীকীভাবে পবিত্রতা অর্জনের প্রক্রিয়া।আল্লাহ তায়ালা বলেন, “তোমরা যদি অসুস্থ হও, বা সফরে থাকো, অথবা তোমাদের কেউ পায়খানা থেকে আসে, কিংবা তোমরা নারীদের সঙ্গে সম্পর্ক করো এবং পানি না পাও, তবে বিশুদ্ধ মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করো; তোমাদের মুখমণ্ডল ও হাত মুছে নাও।” (সুরা নিসা, আয়াত: ৪৩)কেন তায়াম্মুম করা হয় তায়াম্মুম করার অনুমতি কেবল বিশেষ পরিস্থিতিতে দেওয়া হয়েছে, যেমন:১. পানি না পাওয়া বা খুব দূরে থাকা২. পানি থাকলেও ব্যবহার করলে অসুস্থতা বা ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা৩. খুব ঠান্ডা আবহাওয়া, যেখানে পানি ব্যবহার বিপজ্জনক৪. অসুস্থ বা অক্ষম ব্যক্তি, যিনি পানি ব্যবহার করতে...
তিন শতাধিক গ্রন্থে হুমায়ূন আহমেদ অসংখ্য চরিত্রের জন্ম দিয়েছেন। তাঁর সবচেয়ে আলোচিত ও জনপ্রিয় তিনটি চরিত্র হলো হিমু, শুভ্র ও মিসির আলি। সম্ভবত তাঁর নিজেরও অতি আপন এই তিন চরিত্র। আমাদের বিদ্বৎসমাজে অবশ্য এদের বা এদের উপজীব্য করে রচিত উপন্যাসগুলোর কদর অতি অল্প। প্রশ্ন হলো, হুমায়ূন আহমেদ কেন ১৯৭২ সালে প্রকাশিত তাঁর প্রথম উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’র ধারা অনুসরণ না করে আপাত হেঁয়ালিপূর্ণ ক্ষুদ্রায়তন এই সব উপন্যাস রচনায় নিরত হলেন? কেন মহৎ সাহিত্য রচনায় না নেমে হাস্যরস উৎপাদনকেই তাঁর সাহিত্যিক ব্রত হিসেবে গ্রহণ করলেন? এসব প্রশ্ন নিয়ে, বিশেষত তাঁর সৃষ্ট তিনটি স্বনামধন্য চরিত্র নিয়ে আলোচনার সূত্রপাত ঘটানোই এ লেখার উদ্দেশ্য।আমাদের পক্ষে এখন আর জানা সম্ভব নয় এসব চরিত্র সৃষ্টির পেছনে হুমায়ূন আহমেদের অন্তর্গত অভিপ্রায় বা বাসনা কী ছিল। যদিও অনেকে বলে...
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচারহীনতা কোনো বিচ্ছিন্ন বাস্তবতা নয়। এটি রাষ্ট্রীয় কাঠামো, প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ ও রাজনৈতিক অনীহার সমন্বিত ফল। ১৯৯৭ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি সত্ত্বেও পাহাড়ে যে সহিংসতা, ভূমি দখলের সংস্কৃতি অব্যাহত রয়েছে, তা এ বিচারহীনতাকে একটি প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিয়েছে। ‘পার্বত্য চট্টগ্রামে মানবাধিকার লঙ্ঘন ও বিচারহীনতার সংস্কৃতি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় এ কথা বলেন বক্তারা। আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীতে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে এ সভা হয়। এর আয়োজন করে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলন নামের একটি সংগঠন। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন আন্দোলনের যুগ্ম সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খায়রুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি বলেন, কাপ্তাই বাঁধ নির্মাণের ফলে পার্বত্য চট্টগ্রামে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটে পাকিস্তান আমলে। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকে স্বাধীনতার পরও।১৯৭৬ থেকে ১৯৯৭...
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির নতুন মেয়র জোহরান মামদানি ৪ নভেম্বরের নির্বাচনে এক বিশেষ অনলাইন প্রচার কৌশল গ্রহণ করেছিলেন। এটি এখন ডিজিটাল যুগের প্রার্থীদের জন্য অনুকরণীয় মডেল হয়ে উঠেছে।২০২৫ সালের প্রচার-প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে, বিভিন্ন প্রার্থী ক্যামেরার দিকে ঝুঁকে কথা বলছেন, হাত নাড়ছেন, হাঁটতে হাঁটতে ব্যস্ত রাস্তা বা দোকানের ভেতর কথা বলছেন। ভিডিওগুলোতে উষ্ণ রঙের আলো বা ‘ওয়ার্ম ফিল্টার’ ব্যবহার করা হচ্ছে, যা ছবিকে প্রাণবন্ত করে তুলছে। প্রার্থীরাও এক নিঃশ্বাসে বলছেন নানা প্রতিশ্রুতি ও নীতির কথা।নিচে দেখা যাক, কীভাবে কিছু ডেমোক্র্যাট প্রার্থী অনলাইনে জোহরান মামদানির কৌশল অনুসরণ করছেন।মামদানির নান্দনিক ধরনমামদানির ভিডিওগুলোর বৈশিষ্ট্য হলো এর উজ্জ্বল ও দীপ্তিময় রং। এটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আধেয়ের ভিড়ের মধ্যেও সহজেই চোখে পড়ে।এসব ভিডিওতে থাকে দ্রুত দৃশ্যের পরিবর্তন আর বড় বড় হাতের অঙ্গভঙ্গি। এক ভিডিওতে মামদানি নিজেই মজা করে...
এশিয়া থেকে আফ্রিকা, ইউরোপ থেকে লাতিন আমেরিকা—বিশ্বজুড়ে যখন জাতিগত ও ভূরাজনৈতিক সংঘাতের উত্তেজনা প্রবল, এমন সময়ে মানুষে মানুষে সহমর্মিতা, ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং বিভেদ দূরীকরণে চলচ্চিত্রের অন্তর্নিহিত শক্তির ওপর গুরুত্ব দিয়ে শেষ হলো ৩৮তম টোকিও আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব (টিফ ২০২৫)। এশিয়ার অন্যতম প্রভাবশালী এই আয়োজনের মূল বার্তাই ছিল—চলচ্চিত্র শুধু বিনোদন নয়, বরং বোঝাপড়ার ও ঐক্যের মাধ্যম।টোকিওর হিবিয়া, মারুনোচি, ইউরাকুচো ও গিনজা এলাকায় অনুষ্ঠিত এই উৎসবে গত ২৭ অক্টোবর পর্দা ওঠে এবং ১০ দিনব্যাপী প্রদর্শিত হয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মোট ১৮৪টি চলচ্চিত্র। লালগালিচার জাঁকজমক থেকে শুরু করে চলচ্চিত্রবিষয়ক সেমিনার, রেট্রোস্পেকটিভ প্রদর্শনী, মাস্টারক্লাস ও আন্তর্জাতিক সংলাপে মুখর ছিল গোটা উৎসব প্রাঙ্গণ।৫ নভেম্বর হিবিয়ার তোহো সিনেমায় আয়োজিত সমাপনী অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, তারকা ও সমালোচকদের উপস্থিতিতে ঘোষণা করা হয় বিজয়ীদের...
১০ বছরে প্রায় চার গুণ বেড়েছে কক্সবাজারে বিদ্যুতের চাহিদা। ২০১৪ সালে উপকূলের এই জেলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪২ মেগাওয়াট। সময়ের ব্যবধানে আজ তা ১৫০ মেগাওয়াটে পৌঁছেছে। তবে চাহিদা বাড়লেও তা মেটাতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে কোনো অগ্রগতি প্রায় নেই বললেই চলে। সৌর, বায়ু ও জলবিদ্যুতের বিপুল সম্ভাবনা থাকা সত্ত্বেও কক্সবাজার এখনো নির্ভরশীল জীবাশ্ম জ্বালানি গণ্ডিতেই।এই বাস্তবতার প্রধান দুটি কারণ হলো নীতিনির্ধারণ ও বাস্তবায়ন করা নিয়ে অদক্ষতা। সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ঘাটতি, অনিয়ম-দুর্নীতি ও তদারকির অভাবে অগ্রগতি থেমে গেছে অতীতে নেওয়া প্রকল্পগুলোর। কুতুবদিয়ার দুটি বায়ুবিদ্যুৎ প্রকল্পের কথাই ধরা যাক। ওই দুই প্রকল্পে খরচ হয়েছে ৩৮ কোটি টাকা। অথচ আজ পর্যন্ত সেগুলো পড়ে আছে পরিত্যক্ত অবস্থায়। টেকনাফের ২০ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌরবিদ্যুৎকেন্দ্র কিংবা খুরুশকুল-ভারুয়াখালীর ৬০ মেগাওয়াট বায়ুবিদ্যুৎকেন্দ্রও প্রত্যাশিত ফল দিচ্ছে না।জাতীয় নবায়নযোগ্য জ্বালানি নীতিমালা ২০২৫...
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, “আগামী ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা আছে। সংসদ নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হলে ডিসেম্বরে তফসিল। তফসিলের আগে গণভোট করার কোনো বাস্তবতা নাই।” তিনি বলেন, “আমরা মনে করি, জাতীয় নির্বাচনের সঙ্গে একই দিনে গণভোট হতে পারে। তবে, অবশ্যই গণভোটের মাধ্যমে জুলাই সনদকে আইনীভিত্তি দিতে হবে।” আরো পড়ুন: নির্বাচনের আকাশে কালো মেঘ দেখতে পাচ্ছি: ভিপি নুর হাসপাতাল ছেড়ে বাসায় গেলেন নুর রবিবার (৯ নভেম্বর) বিকেলে গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর বহুমুখি পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে গণঅধিকার পরিষদের সাদুল্লাপুর উপজেলা শাখা আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন। নুরুল হক নুর বলেন, “গণঅধিকার পরিষদ আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারাদেশে ৩০০ আসনে প্রার্থী দেওয়ার কাজ করছে। এখনকার এই রাজনৈতিক দলগুলো সবাই মিলেমিশে গণঅভ্যুত্থানে মাধ্যমে আজকের এই...
জীবনযাত্রার ব্যয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান বাস্তবতাকে ভিন্নভাবে তুলে ধরতে বেপরোয়া ও বিভ্রান্তিকর চেষ্টা শুরু করেছেন ট্রাম্প। যুক্তরাষ্ট্রে মূল্যস্ফীতি কিছুতেই নামছে না; বরং কিছু কিছু ক্ষেত্রে বাড়ছে। জ্বালানি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম ক্রমাগত বাড়ছে। তখন ট্রাম্প জোর করে মানুষকে বিশ্বাস করাতে চাইছেন, আসলে এমন কিছুই ঘটছে না।গত মঙ্গলবার নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে এবং নিউ জার্সি ও ভার্জিনিয়ায় গভর্নর নির্বাচনে ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থীদের পরাজয় ঘটেছে। নিউইয়র্ক শহরের মেয়র নির্বাচনে আলোচিত বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি। এই ব্যয় কমানোসহ বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি দিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জোহরান মামদানি। এ প্রসঙ্গে গত শুক্রবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছেন, জিনিসপত্রের ক্রয়ক্ষমতা নিয়ে ডেমোক্র্যাটরা যে প্রচার চালিয়েছেন, তা মিথ্যা। আসলে জিনিসপত্রের দাম কমেছে। তাঁর যুক্তি, যেসব বাড়তি খরচের কথা প্রচার করা হয়েছে, প্রকৃতপক্ষে সেগুলোর খরচ...
বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের শুরুতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর মনেই থাকে উজ্জ্বল এক স্বপ্ন। উচ্চশিক্ষা, স্বাধীনতা আর নতুন জীবনের উত্তেজনায় তারা পা রাখে নতুন পরিবেশে। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই স্বপ্নের দীপ্তি ম্লান হয়ে যায় অনেকের কাছেই। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) বহু শিক্ষার্থীর গল্পেও আছে সেই বাস্তবতার প্রতিচ্ছবি। এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলেছে রাইজিংবিডি। জানা গেছে বেশিরভাগ শিক্ষার্থীই বিভিন্ন ধরনের সমস্যার কারণে মানসিকভাবে ভীষণ চাপে আছেন। কেউ চাপ সামলাতে পারছেন, কেউ আবার চুপচাপ ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ছেন। তবে শিক্ষার্থীরা তাদের পরিচয় প্রকাশ করতে চাননি। আরো পড়ুন: বাঁচতে চান কুবি শিক্ষার্থী প্রভা ‘প্রভোস্টের ছাত্রী’র ত্রাসে কাঁপছে জবির হল যবিপ্রবির শিক্ষার্থীদের এই গল্পগুলো শুধু ব্যক্তিগত নয়, এগুলো পুরো প্রজন্মের সংগ্রামের প্রতিচ্ছবি। যেখানে একদিকে স্বপ্ন ভেঙে পড়ছে বাস্তবতার চাপে।...
১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে বাংলাদেশের বাস্তবতায় কোনো ব্যক্তির নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা ‘কঠিন’ বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “২০ কোটি টাকা না থাকলে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন না। মানে বাংলাদেশের যে বর্তমান বাস্তবতা, এই বাস্তবতায় অন্তত ১০-২০ কোটি টাকা না থাকলে কারোর আসলে নির্বাচন করা কঠিন।” আরো পড়ুন: যারা সংস্কারের বিপক্ষে, তাদের সঙ্গে এনসিপির জোট হবে না: হাসনাত যারা বিএনপির মনোনয়ন পাননি তাদের এনসিপিতে স্বাগতম: হাসনাত রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে শুক্রবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে ‘নভেম্বর থেকে জুলাই: বিপ্লব থেকে বিপ্লবে’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। উপদেষ্টা বলেন, “এমন বাস্তবতায় আসলে যাদের কাছে কালো টাকা আছে, তাদেরই সুযোগ থাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার।...
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহ। ১৯৭৫ সাল। বেশ কিছু ঘটনা কয়েক দিনের ব্যবধানেই প্রত্যক্ষ করল দেশবাসী। অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ৭ নভেম্বর সংঘটিত হলো। মেজর জেনারেল খালেদ মোশাররফের অভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে গেল। একই সঙ্গে ব্যর্থ কর্নেল তাহেরের নেতৃত্বে জাসদের নতুন রাজনৈতিক পরিকল্পনাও। রাজনীতির মঞ্চে আবির্ভূত হলেন মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম নায়ক মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। সিপাহি জনতা জিয়াউর রহমানকে বন্দিদশা থেকে মুক্ত করে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসিয়ে দিলেন।আজ ৭ নভেম্বর। দেশের ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিন। রাজনীতি গতিপথ বদলে দিয়েছিল এ দিনটি। ৩ নভেম্বর থেকে ৭ নভেম্বর পর্যন্ত ঘটনাপ্রবাহকে অভ্যুত্থান, পাল্টা অভ্যুত্থানের লড়াই বলে বিবেচনা করা যায়। কিন্তু ৭ নভেম্বরের প্রভাব সুদূরপ্রসারী ছিল। বরং বলা যায়, ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা অর্জনের পর সঠিক পথের দিশা দিয়েছিল ৭ নভেম্বর। স্বাধীনতার পরপরই রাজনৈতিক হানাহানি, দুর্নীতি, লুট, খুন—সর্বোপরি একদলীয় বাকশালের...
বাংলাদেশের ইতিহাসে ৭ নভেম্বর একটি ঐতিহাসিক দিন, যেদিন রাষ্ট্র, সেনাবাহিনী এবং রাজনীতি একইসঙ্গে এক অগ্নিপরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছিল। দিনটিকে ‘সিপাহী বিপ্লব’, ‘বিপ্লব ও সংহতি দিবস’, আবার অনেকে ‘গণতন্ত্র পুনরুত্থান দিবস’ হিসেবে উদযাপন করে। কিন্তু রাজনৈতিক ভিন্নতা অতিক্রম করে ইতিহাসের মূল প্রেক্ষাপটের ভেতর চোখ রাখলে দৃশ্যমান হয়, দিনটি ছিল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব রক্ষার এক সন্ধিক্ষণ, যখন বাংলাদেশ রাজনৈতিকভাবে এক চরম সংকট, বিশৃঙ্খলা ও অনিশ্চয়তার মুখে দাঁড়িয়ে ছিল। সেই মুহূর্তে নেতৃত্বের শূন্যতা পূরণ ছিল অপরিহার্য, তখনই দৃশ্যপটে আবির্ভূত হন মেজর জেনারেল জিয়াউর রহমান। তার সুযোগ্য নেতৃত্বে পুনর্গঠিত হয়েছিল বাংলাদেশের রাজনৈতিক মেরুকরণ, ভিত্তি, রাষ্ট্রযন্ত্রে ফিরে আসে নিয়ন্ত্রণ ও স্থিতি এবং পরবর্তীতে শুরু হয় একটি নতুন গণতান্ত্রিক ধারার অগ্রযাত্রা। ১৯৭৫ সালের আগস্ট মাস থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময় ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অস্থির অধ্যায়।...
অন্তর্বর্তী সরকারব্যবস্থার এক বছরের বেশি হয়ে গেল। এর মধ্যে আমরা অনেক কমিশন দেখলাম, দেখলাম তাদের নানা সুপারিশ। রাজনৈতিক দলগুলোর নিজেদের মধ্যে অধরা ঐক্য গড়তে গঠিত হলো ঐকমত্য কমিশন। ঐকমত্য কমিশনও সরকারের কাছে তাদের চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিয়ে তাদের দায়িত্ব শেষ করল। সংস্কারের কতটা বাস্তবায়িত হলো বা অধরা ঐক্য কতটা অর্জিত হলো, সে এক প্রশ্ন। বর্তমান রাজনৈতিক বাস্তবতার দিকে তাকালে প্রত্যাশিত ঐক্য তৈরি না হলেও সামনে এগিয়ে যাওয়ার মতো একটি পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে, সেটি বলা যায়। যদিও আমরা জানি, ভিন্নমত থাকবেই আর মতভিন্নতার মধ্য দিয়েই ঐক্য তৈরি হবে। কিন্তু যদি ঐক্য গড়ে ওঠার প্রক্রিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে দীর্ঘ হয়, তাহলে সেটি জনগণের জন্য সুখকর নয়। বিশেষত বাংলাদেশ যখন জুলাই–পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্র গঠনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে, যখন মানুষ ভাবতে শুরু করেছিল, এই দেশকে নতুন...
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যখনই কোনো আক্রমণাত্মক নীতি ঘোষণা করেন, তখনই তিনি তাঁর জন্য একটি ভয়াবহ, অযৌক্তিক গল্প তৈরি করেন। তিনি একটি বানানো ব্যাখ্যা দাঁড় করান, যা মানুষের মনে সহিংসতাকে ন্যায্য প্রমাণ করার মতো করে বসে যায়।এ মিথ্যাগুলো আমরা যত বেশি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে নতুন মিথ্যা চ্যালেঞ্জ করা আমাদের জন্য তত কঠিন হয়ে পড়ে। কারণ, তা আমাদের নিজেদের বুদ্ধিমান মানুষ হিসেবে ভাবার ধারণাকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলে। এ কৌশলকেই হিটলার তাঁর ‘মাইন কাম্ফ’ বইয়ে ‘বড় মিথ্যা’ বলে বর্ণনা করেছিলেন। এটি এমন মিথ্যা, যা এত বড় ও ভয়াবহ যে মানুষ সেটিকে মিথ্যা বলে বিশ্বাস করতে পারে না।হিটলারের সবচেয়ে বড় মিথ্যা ছিল—একটি আন্তর্জাতিক ইহুদি ষড়যন্ত্রই জার্মানির দুরবস্থার মূল কারণ। এ মিথ্যার মাধ্যমে তিনি একটি গোষ্ঠীকে বলির পাঁঠা বানিয়ে অন্যদের দায়মুক্তি দেন।আরও পড়ুনট্রাম্প কি...
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর (এআই) চ্যাটবট ব্যবহারকারীদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে নতুন এক মানসিক সমস্যা। মনোবিজ্ঞানীদের মতে, চ্যাটজিপিটি, ক্লড বা রিপ্লিকার মতো জনপ্রিয় এআই চ্যাটবটের প্রতি অতিরিক্ত নির্ভরতা মানুষকে ধীরে ধীরে মানসিক আসক্তির দিকে ঠেলে দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, অনেকেই এখন বন্ধুত্ব, প্রেম বা মানসিক সহায়তার আশ্রয় খুঁজছেন এসব চ্যাটবটের কাছে। ফলে এআইয়ের সঙ্গে অতিরিক্ত মিথস্ক্রিয়া একসময় বাস্তবতা থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলছে ব্যবহারকারীদের। এই মানসিক নির্ভরতা অনেকটা অবৈধ মাদক দিয়ে নিজেকে প্রশমিত করার মতোই বিপজ্জনক হয়ে উঠছে।আরও উদ্বেগের বিষয় হলো, মনোবিজ্ঞানীরা এখন এমন মানুষও খুঁজে পাচ্ছেন, যাঁরা এআই সাইকোসিসে ভুগছেন। অর্থাৎ এআই চ্যাটবট ব্যবহারকারীর ভ্রান্ত ধারণাকে সত্য বলে স্বীকৃতি দিয়ে সেই বিভ্রমকে আরও শক্তিশালী করে তুলছে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এআই ল অ্যান্ড ইনোভেশন ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক রবিন ফেল্ডম্যান বলেন, ‘চ্যাটবটের অতিরিক্ত ব্যবহার একধরনের নতুন ডিজিটাল...
দেশ ও সমাজ বাস্তবতার পরিবর্তিত নতুন পরিপ্রেক্ষিতের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে সাংবাদিকতা অব্যাহত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় জানালেন প্রথম আলোর সাংবাদিকেরা। আজ মঙ্গলবার প্রথম আলোর ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মী সম্মেলনে যেকোনো পরিস্থিতিতে সত্য প্রকাশে অকুতোভয় থাকার সংকল্প জানালেন তাঁরা। রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রথম আলোর প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সকাল নয়টা থেকে শুরু হয়েছিল উপস্থিতি। সারা দেশের প্রতিনিধিরা আগের দিনেই ঢাকায় এসেছিলেন। চা-কফির সঙ্গে হালকা খাবার আর পারস্পরিক কুশলাদি বিনিময়, ছবি তোলার মধ্য দিয়ে পেরিয়ে যায় প্রায় ঘণ্টা খানিক। তারপর আনুষ্ঠানিকতা। আনন্দঘন এই পুরো আয়োজন এক সুতোয় গেঁথে রেখেছিলেন সঞ্চালক প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক সুমনা শারমিন।সাফল্য, অর্জন, গান, আনন্দমিলনায়তনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছিল সকাল ১০টায়। প্রথম আলোর ২৭ কর্মীর নেতৃত্বে সকলে মিলে জাতীয় সংগীত গেয়ে সূচনা হয় ২৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠানের।...
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের সমাজ-রাজনীতির সামনে প্রধান প্রশ্নটা কে ক্ষমতায় আসবে তা নয়, বরং রাষ্ট্রের কাঠামো কেমন হবে—এই প্রশ্নই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। যে ক্ষমতার ভারসাম্য এত দিন ঢাকার কেন্দ্রভূমিতে আটকে ছিল, এখন সেটিকে নতুনভাবে কল্পনা করার সময় এসেছে। কেমন হবে সেই নতুন কাঠামো? সেখানে কেন্দ্র ও প্রান্তের সম্পর্ক কীভাবে পুনর্গঠিত হবে? এই কাঠামোয় সাধারণ মানুষ, বিশেষ করে প্রান্তিক ও গ্রামীণ জনগণ, কীভাবে নিজের অভিজ্ঞতা, প্রয়োজন ও চাহিদার জন্য জায়গা তৈরি করবে? গণতন্ত্র যদি কেবল ভোটের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে জীবনের প্রতিদিনের বাস্তবতায় প্রভাব ফেলতে চায়, তবে এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজতেই হবে। স্থানীয় সরকারব্যবস্থার মৌলিক সংস্কারের মধ্য দিয়ে এই প্রশ্নগুলোর যৌক্তিক উত্তর খুঁজে পাওয়া সম্ভব।নামেই বিকেন্দ্রীকরণবাংলাদেশের উন্নয়ন–কাহিনি প্রায়ই কেন্দ্রের সাফল্যের গল্পে আটকে থাকে। ঢাকামুখী অর্থনীতি, নীতি, প্রশাসন ও ক্ষমতার একচেটিয়া প্রবাহই এ দেশের...
১৮ মাস ধরে সবার চোখের সামনে সবকিছু ঘটে যাচ্ছে। সুদানের দারফুর অঞ্চলের আল ফাশের শহর মিলিশিয়া বাহিনী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স (আরএসএফ) অনেক দিন ঘেরাও করে রেখেছিল। গত সপ্তাহে শহরটিতে এই বাহিনী ঢুকে পড়ে এবং তারপর যা ঘটেছে, তাকে এককথায় বলা যায় মহাবিপর্যয়। সেখানে নির্বিচার গণহত্যা চলছে। একটি হাসপাতালেই প্রায় ৫০০ মানুষ হত্যা করা হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে রোগী ও তাদের পরিবারের লোকজনও আছে। যাঁরা পালাতে পেরেছেন তাঁরা জানিয়েছেন, সেখানে একেবারে সাধারণ নাগরিকদের বাছবিচার ছাড়াই হত্যা করা হয়েছে। আরএসএফ এত নৃশংসভাবে মানুষ হত্যা করছে যে কৃত্রিম উপগ্রহ থেকেও জমিতে জমে থাকা রক্ত দেখা গেছে। আল ফাশের পতনের পর প্রথম কয়েক ঘণ্টার গণহত্যার গতি ও তীব্রতাকে রুয়ান্ডার গণহত্যার প্রথম ২৪ ঘণ্টার সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে। আল ফাশের ছিল সুদানের সেনাবাহিনীর দারফুর শেষ শক্তিকেন্দ্র। আর গত...
পরিবর্তন ঘটে যাচ্ছে মানুষের মানসিকতায়। একসময় বেবি বুমার (জন্ম: ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪) প্রজন্মের মানুষেরা মনে করতেন, অফিসে বেশি সময় কাজ করা ও বাড়তি টাকা উপার্জন করা মর্যাদার প্রতীক; কিন্তু সেই দিন আর নেই। পশ্চিমা দেশে এই প্রবণতা আগেই শুরু হয়েছে। সম্প্রতি বিমা কোম্পানি মেটলাইফের এক জরিপেও দেখা গেল, দেশের মানুষের মধ্যেও এই প্রবণতা দেখা যাচ্ছে।জরিপে দেখা গেছে, বাংলাদেশের কর্মীদের বড় অংশ (৭৮ শতাংশ) বর্তমানে নিজেদের চাকরিতে সন্তুষ্ট; কিন্তু তারপরও বড় একটি ফাঁক রয়ে গেছে। সেটি হলো চাকরিতে সন্তুষ্ট হলেও নিয়োগদাতাকে অনুমোদন বা সুপারিশ করার বেলায় তারা পিছপা হচ্ছেন। মাত্র ৪২ শতাংশ কর্মী সক্রিয়ভাবে তাঁদের নিয়োগকর্তার বিষয়ে সুপারিশ করবেন। অর্থাৎ আনুগত্যের ক্ষেত্রে বড় ফাঁক আছে। বোঝা যায়, কোম্পানির বিদ্যমান সুবিধা ও আধুনিক কর্মিসমাজের পরিবর্তনশীল প্রত্যাশার মধ্যে বড় অসংগতি আছে।এই বৈপরীত্য থেকে...
‘অবিচলতা’ সংবিধানের এক পরম বৈশিষ্ট্য। এর মানে এটা নয় যে অবিচলতার বিপরীতে সংবিধান ‘স্থাণু’ হয়ে সময়ের প্রভাবমুক্ত থাকবে। অভূতপূর্ব সব পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্য সংশোধনীর ব্যবস্থা রাখা হয় সংবিধানে। তবে সংবিধানপ্রণেতারা এই আকাঙ্ক্ষা দ্বারা প্রভাবিত থাকেন—সংবিধান শাশ্বত রূপ নিয়ে সম্ভাব্য সব পরিস্থিতির দাওয়াই হিসেবে কাজ করে।পাঁচ দশকের পরিক্রমায় নানা রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বাংলাদেশ এখন সাংবিধানিক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সম্মুখীন। কেউ নতুন সংবিধান চায়, কেউ আমূল সংস্কার, আবার কেউ বাহাত্তরের সংবিধান অপরিবর্তিত থাকুক—এমনটা চায়। তবে সংবিধাননিষ্ঠতার পরীক্ষায় এই সব কোনো পক্ষই খুব যৌক্তিক আচরণ নিশ্চিত করতে পারেনি।২.হানা আরেন্ট জার্মানির প্রখ্যাত দার্শনিক, যিনি সমাজ-রাষ্ট্রের প্রথাগত চিন্তার বাইরে নানা মতবাদের জন্য নমস্য। তিনি বেশ ক্ষোভ নিয়ে লিখেছিলেন, সংবিধান প্রণয়নের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা হলেন রাষ্ট্র নামক একটি বাড়ির ডিজাইনারের মতো। আর রাষ্ট্রের নাগরিকগণ হচ্ছেন ভোক্তা...
অবচেতনের মানচিত্র ধরে এক অন্তহীন অভিযাত্রা কবি–সাহিত্যিকেরা যুগ যুগ ধরে করে আসছেন। সাহিত্যের দীর্ঘ যাত্রাপথে এমন কিছু বাঁক আসে, যা তার গতিপথকে চিরতরে বদলে দেয়। পরাবাস্তবতা বা সুররিয়ালিজম ছিল এমনই এক যুগান্তকারী আন্দোলন, যা কেবল শিল্পের আঙ্গিক নয়; বরং শিল্পীর বিশ্ববীক্ষা এবং আত্মবীক্ষণকে সম্পূর্ণ নতুন এক দর্শন দান করেছিল। এটি ছিল বিংশ শতাব্দীর ইউরোপের এক ক্ষতবিক্ষত সময়ের সন্তান। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নারকীয় ধ্বংসযজ্ঞ, ভিক্টোরীয় যুগের শুষ্ক নৈতিকতা এবং বুদ্ধিবৃত্তিক জগতের অতিনিয়ন্ত্রিত যুক্তিবাদ—এই সবকিছুর বিরুদ্ধে পরাবাস্তবতা ছিল এক শৈল্পিক ও দার্শনিক বিদ্রোহ। এর মূল লক্ষ্য ছিল মানব মনের সেই গভীরে প্রবেশ করা, যেখানে যুক্তির আলো পৌঁছায় না; সেই অবচেতনের অন্ধকার মহাসাগর থেকে তুলে আনা বিস্মৃত স্বপ্ন, অবদমিত ইচ্ছা আর আদিম প্রবৃত্তির মণি–মুক্তা। পরাবাস্তবতা তাই কেবল একটি শিল্পরীতি নয়, এটি চেতনার শৃঙ্খলমুক্তির এক...
আলোচনা কামাল আহমেদজ্যেষ্ঠ সাংবাদিক;প্রধান, গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনগণ–আন্দোলনের মাধ্যমে ১৫ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান ঘটার পর দেশ ও জাতির মধ্যে একটা বড় ধরনের প্রত্যাশা ছিল যে সত্যিই একটা বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন হবে, গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরে পাব। গণমাধ্যমের ক্ষেত্রেও সে রকমই প্রত্যাশা তৈরি হয়েছিল। দেশে একটা অত্যন্ত ভাইব্রেন্ট মিডিয়া আমরা তৈরি করতে পারব, যা গণতন্ত্রকে সাহায্য ও সমৃদ্ধ করে। আশা ছিল, আমরা সাংবাদিকেরা মন খুলে, কলম খুলে লিখব। কিন্তু এখন কী হচ্ছে, একটা ‘মব–ভীতি’। এই মবের ভীতি কেন থাকবে? কারণটা হচ্ছে, সরকারের দিক থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়নি যেমন, ঠিক তেমনি এটা ঠেকানোরও চেষ্টা নেই।গণমাধ্যম সংস্কারের জন্য যখন আমাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তখন আমরা ঠিক করেছিলাম যে আমরা একতরফাভাবে নিজেরা সিদ্ধান্ত নেব না। আমরা চেয়েছিলাম, অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে এই সংস্কারের সুপারিশমালা তৈরি করতে।...
সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এক অনুষ্ঠানে বলেছেন ‘ক্ষমতায় এলে কর্মজীবী নারীদের কর্মঘণ্টা ৮ থেকে কমিয়ে ৫ ঘণ্টা করা হবে।’ তাঁর ভাষায়, ‘একজন মা সন্তান জন্ম দিচ্ছেন, লালন–পালন করছেন এবং পেশাজীবী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। আমারও ৮ ঘণ্টা, তারও ৮ ঘণ্টা—এটা কি অবিচার নয়?’ নারীর প্রতি ‘অবিচার’-এর প্রতিকার হিসেবে তাঁর এই বক্তব্য সাম্প্রতিক সময়ে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো, নারীর প্রতি ন্যায়বিচার কি সত্যিই কর্মঘণ্টা কমিয়ে দেওয়া, নাকি কর্মক্ষেত্রে তাঁর সমান সুযোগ, মর্যাদা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা?নারীর এগিয়ে চলার লড়াই এখনো শেষ হয়নিবাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের আন্দোলন এক দীর্ঘ, সংগ্রামী ও কঠিন পথ পেরিয়ে এসেছে। স্বাধীনতার পর থেকে শিক্ষা, কর্মসংস্থান, রাজনীতি ও সামাজিক অগ্রযাত্রার প্রতিটি ক্ষেত্রেই নারীরা নিজেদের সক্ষমতা প্রমাণ করেছেন। আজ তাঁরা প্রশাসন, উদ্যোক্তা...
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে দেশি ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলোর বিস্তর অভিযোগ ছিল বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, খুন, বেআইনি আটকসহ গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের। রাষ্ট্রীয় বাহিনী ও প্রতিষ্ঠানগুলোর শৃঙ্খলা ধ্বংস করে সেগুলোকে রাজনৈতিক প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়েছিল।অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ডসহ গুম ও অন্যান্য গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগগুলোর তদন্ত ও বিচারপ্রক্রিয়া শুরু করেছে, সেটি নিশ্চিতভাবেই ন্যায়বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। কিন্তু এ সরকারের ১৪ মাসে বিচারবহির্ভূত হত্যা, কারা হেফাজতে মৃত্যু, মব সহিংসতায় মৃত্যুসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনাগুলোও সমানভাবে উদ্বেগজনক।মানবাধিকার সংগঠন ‘অধিকার’–এর সাম্প্রতিক প্রতিবেদন জানাচ্ছে, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ১৪ মাসে ৪০ জন বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে সবচেয়ে বেশি—৯টি হত্যাকাণ্ড ঘটেছিল; আর গত তিন মাসে ঘটেছে ১১টি। ৪০ জনের মধ্যে গুলিতে মারা গেছেন ১৯ জন, নির্যাতনে মারা গেছেন ১৪...
অধ্যাপক আলী রীয়াজের নতুন বই ‘অ্যা ফ্র্যাকচারড পাথ: চ্যালেঞ্জেস অব ডেমোক্রেটিক ট্রানজিশন ইন বাংলাদেশ’ প্রকাশিত হয়েছে। এ মাসেই দ্য ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেড (ইউপিএল) বইটি প্রকাশ করেছে।ইউপিএলের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বইটির বিষয়বস্তুও উল্লেখ করা হয়েছে।গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশ কোন পথে যাবে, দেশে গণতন্ত্র আর জবাবদিহি প্রতিষ্ঠিত হবে নাকি দীর্ঘমেয়াদি নৈরাজ্য গ্রাস করবে? পৃথিবীর আরও যেসব রাষ্ট্র নানা সময়ে এমন সংকটের মুখে পড়েছে, তারা কীভাবে উত্তরণ করেছে? কোন কোন রাষ্ট্র উত্তরণে আদৌ সক্ষম হয়নি? বইটিতে লেখক অধ্যাপক আলী রীয়াজ এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত অর্ধশতকে যে দেশগুলো এই রূপান্তরে সফল বা ব্যর্থ হয়েছে তাদের অভিজ্ঞতা লেখক এই বইটিতে বিশ্লেষণ করেছেন।অন্যদিকে চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের পর সংবিধান সংস্কার কমিশন এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের প্রধানের দায়িত্ব পালনের...
বিদেশে উচ্চশিক্ষা আর কেবল ধনী পরিবারের সন্তানদের স্বপ্ন নয় এখন এটি সম্ভব পরিশ্রম, আত্মবিশ্বাস ও সঠিক দিকনির্দেশনার মাধ্যমে। এমন অনুপ্রেরণামূলক বার্তা নিয়েই নারায়ণগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে “Higher Education, Possibilities and Dream” শীর্ষক শিক্ষা সেমিনার। বৃস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় নারায়ণগঞ্জ শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ সেমিনারটি যৌথভাবে আয়োজন করে IELTS World ও Smart World Consultancy। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আলমগীর হোসেন। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রেনেসাঁ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন-এর চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ প্রেসক্লাব ইউকে-এর সাংগঠনিক সম্পাদক ড. আতাউর রহমান। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর মাকসুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ, নারায়ণগঞ্জ জেলা যুবদলের সদস্য সচিব মশিউর রহমান রনি এবং ডেইলি নারায়ণগঞ্জ অনলাইন পোর্টালের সম্পাদক মনির মুন্না। এ ছাড়া জেলার বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক,...
সূর্যের আলো পৃথিবীর প্রাণ ধারণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সেই সূর্যের আলো বা রোদের তীব্রতা কমানোর জন্য বায়ুমণ্ডলের ওপর ক্ষুদ্র কণা নিক্ষেপ করার পরিকল্পনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল বিজ্ঞানী। বৈজ্ঞানিকভাবে সূর্যের আলো ঠেকানোর এই কৌশলকে স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন বা এসএআই বলা হচ্ছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, বায়ুমণ্ডলের ওপরে নিক্ষেপ করা ক্ষুদ্র কণাগুলো সূর্যের আলো প্রতিফলিত করে পৃথিবীকে ঠান্ডা করবে। যদিও বাস্তবে এমন কাজ করা মোটেও সহজ নয়। স্ট্র্যাটোস্ফেরিক অ্যারোসল ইনজেকশন পদ্ধতির কার্যকারিতা পরীক্ষা করার জন্য এরই মধ্যে শতাধিক সিমুলেশন মডেল তৈরি করেছেন বিজ্ঞানীরা। বেশির ভাগ মডেলেই নির্দিষ্ট স্থানে নির্দিষ্ট পরিমাণে ক্ষুদ্র কণা ব্যবহার করা হয়েছে। এরপর কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির বিজ্ঞানীরা এসএআইর সাফল্য বা ব্যর্থতাকে প্রভাবিত করতে পারে এমন সব কারণকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করেন। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির ক্লাইমেট স্কুলের বিজ্ঞানী ভি ফে ম্যাকনিল জানান, এসএআইয়ের...
গণমাধ্যম সংস্কার নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও এর ফলাফল খুব কম বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার আদর্শের কথা বলি। কিন্তু আদর্শের কথা না বলে আমাদের সংস্কারের ব্যবহারিক জায়গায় আসতে হবে।’ প্রথম আলো আয়োজিত ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথাগুলো বলেন দেওয়ান হানিফ। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান হানিফ বলেন, ‘আর্থিকভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা খুব কম। এ কারণে সাংবাদিকদের অনেকেই সাংবাদিকতার বাইরে আরও অনেক কিছু করেন।’ তিনি বলেন, ‘সম্পাদকেরা অনেক কিছু করেন, যেটা তাঁর পেশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আদর্শগত জায়গা থেকে আমরা চিন্তা করছি।...
গণমাধ্যমকে সরকারি বা যেকোনো অশুভ প্রভাব থেকে মুক্ত রাখতে হলে কারও কাছে করুণা চেয়ে হবে না বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, এর জন্য আলাদা করে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে মাহমুদুর রহমান মান্না এ কথাগুলো বলেন। আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়।মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘আমরা চাইছি, সংবাদমাধ্যমকে সরকারি বা যেকোনো অশুভ প্রভাবমুক্ত একটা মুক্ত সংবাদপত্র বা মিডিয়ার জগৎ হিসেবে তৈরি করা হোক। আমি মনে করি, এটা কারও কাছে কোনো করুণা চেয়ে হবে না, কারও কাছে সাপোর্ট চেয়ে হবে না। এটা একটা মুভমেন্ট, মানে সংবাদপত্র বা মিডিয়ার স্বাধীনতার আন্দোলন। সেই আন্দোলনকে কী রকম করে গড়ে তোলা...
বাংলাদেশে স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায় হিসেবে সাংবাদিক ইউনিয়নগুলোর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততাকেও দায়ী করছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্ফুজ আনাম।তিনি বলেছেন, ‘যত দিন পর্যন্ত আমার সাংবাদিক ইউনিয়নগুলো রাজনৈতিক ভিত্তির ওপরে নির্ভর করে বিভক্ত থাকবে, তত দিন পর্যন্ত স্বাধীন সাংবাদিকতা হবে না।’‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন মাহ্ফুজ আনাম। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে এ বৈঠকের আয়োজন করে প্রথম আলো। বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।মাহ্ফুজ আনাম বলেন, ‘আমি যতই স্বাধীন সাংবাদিকতার কথা বলি, কিন্তু আমি একটা বিশিষ্ট দলের আনুগত্যে আমি সাংবাদিক ইউনিয়ন করি; তো পাঠক কি আমাকে বিশ্বাস করবে? কেন বিশ্বাস করবে?’দর্শক, পাঠক, শ্রোতার কাছে গণমাধ্যমের দায়বদ্ধতার দিকটি স্মরণ করিয়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘তাঁর (পাঠক, দর্শক...
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ বিলুপ্ত করা হবে। এই বিভাগ তৈরি করা হয়েছে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করতে। এর উদ্দেশ্য ছিল এমডি নিয়োগ ও পর্ষদে পছন্দের লোক বসিয়ে লুটপাট করা। বিএনপি আগের বার ক্ষমতায় এসে এটি তুলে দিয়েছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা এটি আবার ফিরিয়ে এনেছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে আবার এটি বিলুপ্ত করবে।আর্থিক খাতে সংস্কার করা ও শৃঙ্খলা ফেরাতে হলে বাংলাদেশ ব্যাংককে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। শুধু স্বায়ত্তশাসন যথেষ্ট নয়, পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। এ ছাড়া বিনিয়োগ বাড়াতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের সংস্কার করা হবে।বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এ কথা বলেছেন। আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর গুলশানের একটি হোটেলে ইকোনমিক রিফর্ম সামিটে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।এদিকে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দুই ভাগ করে কী...
ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের সম্পর্ক দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে পুরোনো সংযোগগুলোর একটি। আধুনিক সীমানা নির্ধারণের বহু আগে থেকেই দুই দেশ বাণিজ্য, সংস্কৃতি ও ইতিহাসের মাধ্যমে যুক্ত ছিল। কিন্তু ইতিহাসের বিভিন্ন সময়ে কখনো বিভিন্ন সাম্রাজ্যের দখলদারির কারণে, কখনো ভারত-পাকিস্তান ভাগের কারণে, কখনো শীতল যুদ্ধের বৈশ্বিক ব্লক পলিটিকসের কারণে এ সম্পর্ক চাপে পড়েছে। এখন এ সম্পর্ক চ্যালেঞ্জের মুখে আছে নতুন ভূরাজনৈতিক সমীকরণের কারণে। তবে এর মধ্যেও দুই ভূখণ্ডের সম্পর্ক কখনোই পুরোপুরি ভেঙে যায়নি; বরং তা নতুন বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিজেকে নতুনভাবে সাজিয়ে নিয়েছে। চলতি অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির দিল্লি সফর তারই একটি সাম্প্রতিক উদাহরণ। এ সফর দেখাচ্ছে, পুরোনো ঐতিহাসিক সম্পর্ক হারিয়ে যায়নি; বরং অঞ্চলের অনিশ্চিত ও পরিবর্তনশীল রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যেও ভারত-আফগানিস্তান আবার সম্পর্ক পুনর্গঠন করছে এবং সেটিকে নতুন রূপে...
জুলাই সনদ বাস্তবায়নে আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দেওয়ার পক্ষে মত জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এমন কোনো পদ্ধতির মধ্যে যেন না যাওয়া হয়, যা নিয়ে ভবিষ্যতে প্রশ্ন উঠতে পারে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সাংবিধানিক আদেশ জারির দাবির প্রেক্ষাপটে আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলের ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে গণ অধিকার পরিষদের চতুর্থ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি। সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘জনগণের কনস্টিটিউয়েন্ট পাওয়ার (সাংবিধানিক ক্ষমতা) গণভোটের মাধ্যমে প্রকাশিত হবে বলেই সংসদ এর বাইরে যেতে পারবে না। এখন যদি আবেগপ্রবণ হয়ে রাজনৈতিকভাবে গণভোট করার জন্য বাক্য ব্যয় করা হয়, বিভিন্ন আদেশ কার্যকর করা হয়, তাহলে এগুলো নিয়ে সামনে প্রশ্ন উঠতে পারে। সেটা না করে সবার ঐক্যের ভিত্তিতে যাতে জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন করা হয়, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।’বিএনপিসহ...
সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ভারতের রাজনৈতিক পরিমণ্ডল যেন দুই মেরুর টানাটানিতে পরিণত হয়েছে। একদিকে রয়েছে নিউ লেফট বা নতুন বামপন্থী চিন্তাধারা। এই চিন্তাধারার প্রতিনিধিত্ব করছেন যোগেন্দ্র যাদবের মতো বুদ্ধিজীবীরা। তাঁরা দাবি করছেন, নিম্নবর্ণ ও বঞ্চিত শ্রেণির সামাজিক-অর্থনৈতিক ক্ষোভই রাজনীতির মূল ভিত্তি হওয়া উচিত।অন্যদিকে রয়েছে ডানপন্থী সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ—রাম মাধবের মতো চিন্তকদের বয়ানে যার মূল সুর হচ্ছে হিন্দুত্ব, সভ্যতার গৌরব ও সংস্কৃতিনির্ভর জাতিসত্তা।দুদিকেই রয়েছে জোরালো বয়ান, প্রবল যুক্তি। কিন্তু প্রশ্ন হলো, ভারত কি অনন্তকাল এ দুই চরমের দোলাচলে দুলতেই থাকবে? নাকি, তৃতীয় এমন কোনো পথ আছে, যা দুই দিকের চরমপন্থী শক্তিকে সংযত করে তাদের সীমা লঙ্ঘন থেকে মুক্ত একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির দিকে নিয়ে যেতে পারে?আমার মনে হয় আছে। সেই পথ হলো ‘র্যাডিক্যাল সেন্ট্রিজম’ বা ‘কট্টর মধ্যপন্থা’।র্যাডিক্যাল সেন্ট্রিজম কোনো কুসুমকোমল আপসনীতি নয়; বরং এটি সাহসী...
বিশ্বজুড়ে বিনিয়োগের জগতে ঘটছে এক বড় প্রজন্মগত পরিবর্তন। এর নেতৃত্ব দিচ্ছে জেন–জি (জন্ম ১৯৯৭ থেকে ২০১২) ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের (জন্ম ১৯৮১ থেকে ১৯৯৬) বিনিয়োগকারীরা। বিশেষত্ব হলো, তাঁরা বিনিয়োগ শুরু করছেন কম বয়সে; নিয়মিত ঘেঁটে দেখছেন পোর্টফোলিও। সেই সঙ্গে আগের যেকোনো প্রজন্মের তুলনায় তাঁরা বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়ছেন আরও দ্রুতগতিতে।এই পরিবর্তনের সবচেয়ে স্পষ্ট চিত্র দেখা যাচ্ছে এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে। সেখানে তরুণ, শিক্ষিত ও সম্পদশালী জনগোষ্ঠীর দ্রুত বিস্তারের কল্যাণে পুরো আর্থিক দৃশ্যপট নতুন রূপ নিচ্ছে।এই পরিবর্তনের মূল কারণ এই প্রজন্মের বিনিয়োগ বিষয়ক মানিসকতার ভিন্নতা। বেবি বুমার (জন্ম ১৯৪৬ থেকে ১৯৬৪ সাল) প্রজন্ম যেখানে অবসর, মূল্যস্ফীতি থেকে সুরক্ষা বা ভবিষ্যতের নিরাপত্তাকে লক্ষ্য করে বিনিয়োগ করত, সেখানে নতুন প্রজন্মের লক্ষ্য অনেক বেশি তাৎক্ষণিক ও গতিশীল।নতুন প্রজন্ম বিনিয়োগ করছে নতুন আয়ের উৎস তৈরির জন্য—ভ্রমণ, পরিবারের...
শিরোনামটি বাংলাদেশের আপামর জনগণের রাজনৈতিক চিন্তাভাবনার প্রতিফলন বললে খুব একটা ভুল হবে না। আপাতদৃষ্টে মনে হতে পারে, এ আর এমনকি! কিন্তু এই কথার মর্মার্থ অনেক গভীর। বিআইজিডির ‘দুর্দিনের ডায়েরি’ নামক গবেষণায় উঠে আসে যে করোনা মহামারির পরে যাঁরা নতুন করে দরিদ্র হয়েছেন, তাঁদের দারিদ্র্য থেকে মুক্তিলাভের একটি কৌশল ছিল রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ভাতা, অনুদান, সুলভ মূল্যে পণ্য ক্রয় ইত্যাদি সেবা নেওয়া। এই সেবা নেওয়া প্রক্রিয়ার একটি বৃহৎ অংশজুড়ে ছিল রাজনৈতিক যোগসূত্রতা। নতুন দরিদ্র কিংবা হতদরিদ্র, সবাই এই রাজনৈতিক যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেছেন দীর্ঘ সময় ধরে। এর বিপরীতে অনেকে আবার সরকারি সহায়তার রাজনৈতিক বণ্টন নিয়ে অসন্তোষও প্রকাশ করেছেন। উল্লেখ্য, এই গবেষণার সময় ছিল ২০২২ থেকে ২০২৩ সাল অর্থাৎ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের আগে।২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসে বিআইজিডি এবং...
বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া বৃদ্ধির ফলে আন্দোলনরত শিক্ষকেরা নব উদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।আজ মঙ্গলবার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে এই তথ্য জানানো হয়। এতে জানানো হয়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়িভাড়া মূল বেতনের সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। আর আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাড়িভাড়া আরও সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থাৎ আগামী জুলাই থেকে এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীরা বাড়িভাড়া মূল বেতনের ১৫ শতাংশ পাবেন। তবে কারও বাড়িভাড়া দুই হাজার টাকার কম হবে না।মূল বেতনের ২০ শতাংশ (ন্যূনতম ৩ হাজার টাকা) বাড়িভাড়া, চিকিৎসা ভাতা দেড় হাজার টাকা করা এবং কর্মচারীদের উৎসব ভাতা ৭৫ শতাংশ বাড়ানোর দাবিতে ১২ অক্টোবর থেকে ঢাকায় আন্দোলন করে আসছিলেন বেসরকারি...
এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়া বৃদ্ধি করায় আন্দোলনরত শিক্ষকরা নবউদ্যমে শ্রেণিকক্ষে ফিরবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। একইসাথে তিনি আশাবাদী যে তারা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে গড়ে তুলতে অবদান রাখবেন। মঙ্গলবার (২১ অক্টোবর) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং এক বার্তায় জানায়, চলতি বছরের ১ নভেম্বর থেকে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কর্মরত এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের বাড়ি ভাড়া মূল বেতনের সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। একইসঙ্গে, আগামী বছরের জুলাই মাস থেকে বাড়ি ভাড়া আরো সাড়ে সাত শতাংশ বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত হয়েছে। আরো পড়ুন: জুবায়েদ হত্যা: ২৫ সেপ্টেম্বর পরিকল্পনা, ১৯ অক্টোবর বাস্তবায়ন জোবায়েদ হত্যা: ছাত্রী বর্ষাসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের দাবি নিয়ে গত কয়েকদিন ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন উপদেষ্টার সাথে বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষা...
মল্লিকাদি’রূপী ফরিদা পারভীন যে আরেকটা পরিচয়ে দেশ ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিকতায় পৌঁছেছেন সেটা আমরা আবিষ্কার করলাম ধীরে ধীরে। কৈশোরে এসে আমাদের কাছে উন্মোচিত হলো―বিস্ময়, গর্ব ও গৌরবের অন্য এক অধ্যায়। কুষ্টিয়াকে বলা হয় লালনের পুণ্যভূমি। কিন্তু সেই অর্থে তিনি সর্বজনে পরিচিত ছিলেন না। আদৃত হতেন না নাগরিক জীবনের কোথাও। লালনের গানকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করে বলা হতো ‘ফকির-ফাকরার গান’। শিষ্যরা পরিচিত ছিলেন আখড়ার ফকিররূপে। সমাজের ওপরতলার মানুষের চশমায় ওদের দাগিয়ে দেওয়া হয়েছিল গঞ্জিকাসেবনকারী, নেশাখোর-অভব্য বলে। শুধু কি তাই? এমন কথাও চাউর ছিল যে, ওখানে গেলে জাত খোয়াতে হয়। ধর্ম নাশ হয়। সমাজচ্যুত হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কারণ ওটা নাকি অসামাজিক মানুষের সংঘ, আখড়া। ওরা নাস্তিক, বিধর্মী, বিপথে যাওয়া মানুষ। ওরা হঠকারী, সমাজ রাষ্ট্রের জন্য ক্ষতিকর। এক কথায় সমাজের কর্তাবাবুরা যা কিছু মন্দ, যা কিছু...
দিনাজপুর শহরের গুঞ্জাবাড়ি এলাকার দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটের বাস্তবতা একই সঙ্গে অনুপ্রেরণা এবং হতাশা তৈরি করে। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক রাবেয়া খাতুন ৩৫ বছর ধরে এই প্রতিষ্ঠানের আবাসিক শিক্ষার্থীদের খাওয়াদাওয়া, গোসল, পড়ালেখা, ঘুম—সবকিছু্ই দেখভাল করছেন। কিন্তু এর বিনিময়ে সরকারি কোনো বেতন পান না। শুধু তিনি নন, অন্য শিক্ষকদেরও একই অবস্থা। এটি রাষ্ট্রীয় অবহেলার নমুনা ছাড়া আর কী হতে পারে?প্রথম আলোর প্রতিবেদন জানাচ্ছে, দিনাজপুর বধির ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়েছিল স্থানীয় মানুষের উদ্যোগ ও বদান্যতায়। ১৯৮৯ সালে শুরু করে স্থানীয় দান ও তৎকালীন রাজনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় প্রতিষ্ঠানটি একসময় পাঁচতলা ভবন, স্কুল ভ্যান সার্ভিস, কম্পিউটার শিক্ষা ও সেলাই প্রশিক্ষণের মতো কার্যক্রম নিয়ে উত্তরাঞ্চলের বাক্ ও শ্রবণপ্রতিবন্ধী শিশুদের আশা ও ভরসার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।বর্তমানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির অবস্থা খুবই শোচনীয়। ভবনের দরজা ভাঙা, কক্ষগুলো জরাজীর্ণ, দ্বিতীয় তলার কক্ষে ১০টি কম্পিউটার...
জন্মদাগ কখনো মুছে ফেলা যায় না। মুছে ফেলতে পারেন, যদি জন্মদাগ থাকা অঙ্গটাই ফেলে দেন। সেটা কি কেউ ফেলে?মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়াম তার ‘জন্মদাগ’ নিয়েই ভুগছে। সেই দাগ কালো মাটির উইকেট। তবে কালো মাটির বলেই যে এই উইকেট নিয়ে এত নেতিবাচক আলোচনা, বিষয়টি তা নয়। সমস্যা অন্য জায়গায়। এককথায় বললে বাংলাদেশের ক্রিকেটেরই এক অপ্রিয় বাস্তবতা সেটি। সেদিকে তাকানোর আগে চলুন একটু ঘুরে আসা যাক শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্মলগ্ন থেকে।ক্রিকেট এল মিরপুরেফুটবলের সঙ্গে অনেক লড়াই-বিবাদের পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিরপুর স্টেডিয়ামকে ক্রিকেটের জন্য বরাদ্দ দেয়। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে এ মাঠে প্রথম আন্তর্জাতিক ক্রিকেট হয়েছে। তার আগে প্রায় দেড় বছর ধরে চলেছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।এক সকালে গিয়ে দেখা গেল, মাঠের একেবারে মাঝখানে বিশাল আয়তাকার গর্ত। চারদিকে বাউন্ডারি ওয়ালের মতো ইটের গাঁথুনি আউটফিল্ড থেকে...
মার্টিন হাইডেগারের মতে, ভাষা কেবল মানুষের ভাব প্রকাশের মাধ্যম নয়, একই সঙ্গে তা জগতে মানুষের অস্তিত্বের বাস্তবতা নির্মাণে জরুরি। এই প্রসঙ্গে প্রশ্ন ওঠে, মানুষের অস্তিত্ব ব্যাপারটি কেমন তাহলে, যদি তা ভাষার ভেতর দিয়েই নির্মিত হয়? মানুষের অস্তিত্ব মূলত দুই রকম—ভাবগত আর জৈবিক ও পরিপ্রেক্ষিতগত বিবেচনায় বস্তুগত। বস্তুগতভাবে মানুষের জীবন বাঁচিয়ে রাখার বিষয়টিই সর্বদা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে; কিন্তু ভাবজগতও বস্তুজগতের সঙ্গী; অর্থাৎ ভাবজগতের ধারণাসমূহও মানবকেন্দ্রিক দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতগত দিক থেকে উৎসারিত হয়। তা ছাড়া এসব ধারণা এককভাবে ভাবগত; অর্থাৎ বিমূর্ত হলেও বিচিত্র ধরনের নৈর্ব্যক্তিক বস্তুদৃঢ়তার ওপর ভিত্তি করেই তার নির্মাণ হয়। তাই ভাষা ও ভাবজগৎগত ভাব সঞ্চারণের জন্য পরিপ্রেক্ষিত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।এতগুলো কথা বলা হলো লালন শাহর গানের ভাষা ও ভাষায় বিধৃত ভাবজগতের পরিপ্রেক্ষিত অনুসন্ধানের জন্য। তাঁর গানের ভাষা নির্মাণের আলোচনায়...
সরকার সামর্থ্য অনুযায়ী বাড়ি ভাড়াসহ শিক্ষকদের দাবি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার (সি আর আবরার)। তিনি বলেন, “শিক্ষকদের দাবির প্রতি সরকার শ্রদ্ধাশীল ও সংবেদনশীল।নতুন বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আগামী বছর আরো সম্মানজনক একটি কাঠামোর দিকে এগোনোর সুযোগ তৈরি হবে।” আরো পড়ুন: ঢাকা কলেজ ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ, যান চলাচল বন্ধ রাজশাহীতে নতুন শিক্ষা কারিকুলাম বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সচিবালয়ের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে শিক্ষা সচিব রেহেনা পারভীনসহ অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অধ্যাপক সি আর আবরার বলেন, “শিক্ষকরা আমাদের শিক্ষাব্যবস্থার প্রাণ। শুরু থেকেই আমি শিক্ষকদের বেতন, প্রশিক্ষণ ও মর্যাদা...
শূন্যতা মানুষকে নতুন রূপে গঠনের সুযোগ এনে দেয়। স্বাধীনতা-উত্তর নতুন বাংলাদেশ গঠনের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল, রাজনৈতিক শূন্যতার কারণে সেটা বারবার পরাভুত হয়েছে। দেশ গঠনের স্বপ্নের সঙ্গে বাস্তবতার ফারাক আমলে নিলে বলতে হয়, রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহর কবি-জন্ম অস্থির আর পিচ্ছিল সময়ে। ফলে দেখা যাবে রাজপথ থেকে সাংস্কৃতিক আন্দোলনে কিংবা অবক্ষয়ী ক্ষমতা বদলের লড়াই থেকে কবিতার ভাষা নির্মাণে শূন্যতার বিপরীতে রুদ্রর কবি-জন্মে এক লৌকিক উচ্চকিত স্বর। অনমিত স্বরের কারণে কেউ কেউ রুদ্রকে ‘স্লোগানের কবি’ বলে বাতিল করতে চান। বস্তুত কবিতা স্বাপ্নিক আকাঙ্ক্ষার ভাষা হয়ে উঠলে স্লোগান কিংবা প্রবাদে রূপান্তরিত হয়। ফলে ‘স্লোগান হলে কবিতা ক্লিশে হয়ে যায়’—তর্কটি পুরোনো ও ক্লিশে। এমন চিন্তা কিছুটা পশ্চাৎপদ। মানুষ বাস্তবতাকে পাশ কাটিয়ে ভবিষ্যত নির্মাণ করতে পারে না। সেটা সম্ভবও নয়। কবি হিসেবে রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ...
শ্যাতো দ’ইকেম ২০১০—এই পানীয়ের এক বোতল যেন বিলাসিতার সংজ্ঞা। এতে আছে খুবানি, টোস্ট করা বাদাম, লেবুর খোসা, রসালো লেবু আর সাদা ট্রাফল—সব মিলিয়ে স্বাদ-গন্ধের নিখুঁত সমারোহ।অনেক দিন ধরেই বিশ্বের এই সেরা মিষ্টি ওয়াইনটির দাম বেড়েছে। ২০২৩ সালে এসে এর দাম ছিল ২০১০–এর দশকের মাঝামাঝি সময়ের তুলনায় প্রায় ৬০ শতাংশ বেশি। তখন কেবল ওয়াইন নয়—বিলাসিতা মানেই ছিল বাড়তি মূল্য। পুরোনো গাড়ি, পুরোনো হুইস্কি, বিশাল অট্টালিকা—সবকিছুর দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। ২০১৫ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সম্পদবিষয়ক প্রতিষ্ঠান নাইট ফ্রাঙ্কের তৈরি ‘লাক্সারি ইনভেস্টমেন্ট ইনডেক্স’ প্রায় ৭০ শতাংশ বেড়েছে।কিন্তু হঠাৎ করেই যেন দৃশ্যপট বদলে গেল। ২০২৩ সালের শীর্ষ থেকে ওই সূচক এখন ৬ শতাংশ কমেছে। বোর্দোর বিখ্যাত ওয়াইন যেমন লাফিত রথচাইল্ড ও মারগোর দাম কমেছে ২০ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রে ব্যক্তিগত জেট ও বিলাসবহুল নৌকার দাম কমেছে...
প্রপোশনাল রিপ্রেজেন্টেশন (পিআর) বা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বমূলক নির্বাচন বা পদ্ধতি বাংলাদেশে বর্তমানে আলোচনার অন্যতম কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ছোট-বড় প্রায় সব রাজনৈতিক দলের মধ্যেই পিআর পদ্ধতির পক্ষে-বিপক্ষে অবস্থান ও জনমত গঠনের প্রচেষ্টা চোখে পড়ার মতো।বলা বাহুল্য, বাংলাদেশে নির্বাচনী সংস্কার নিয়ে আলোচনা যত পুরোনো, ততই নতুন করে বারবার আলোচনার টেবিলে ফিরে আসে পিআর পদ্ধতির প্রস্তাব। তবে আসন্ন নির্বাচন সামনে রেখে এবারই সর্বোচ্চ আলোচনায় রয়েছে পিআর পদ্ধতি।দেশের একশ্রেণির রাজনীতিবিদের দাবি, পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন সংখ্যার ন্যায়বিচার নিশ্চিত করে ছোট দলগুলোকেও প্রতিনিধিত্বের সুযোগ তৈরি করে দেবে এবং নির্বাচনী রাজনীতিকে আরও যুগোপযোগী ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করে তুলবে। তাঁদের দাবি, দলীয় স্বৈরতন্ত্রের লাগাম টেনে ধরে প্রকৃত গণতান্ত্রিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অন্তর্ভুক্তিমূলক শাসনকাঠামোর বিকল্প নেই।আরও পড়ুনবাংলাদেশের জন্য পিআর পদ্ধতির নির্বাচন কতটা...
এক সংযোগের মাধ্যমে টেলিযোগাযোগের একাধিক সেবা দেওয়ার উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশনস কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল)।সেবাগুলোর মধ্যে আছে মোবাইলে ভয়েস, ডেটা, উচ্চগতির ইন্টারনেট ও স্ট্রিমিং। বিটিসিএল এই সেবাগুলোকে নাগরিকের হাতের মুঠোয় আনতে চায়।কিন্তু বিটিসিএল এমভিএনও, ট্রিপল প্লে ও কোয়াড প্লের মতো যেসব সেবা চালু করতে চাইছে, তার জন্য এখনো কোনো নির্দেশিকা (গাইডলাইন) নেই। তা ছাড়া এসব সেবা দেওয়ার জন্য বিটিসিএলের সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন আছে। প্রশ্ন আছে বিনিয়োগের বিষয়টি নিয়েও।বিটিসিএলের এসব উদ্যোগের কথা ফেসবুকে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।গত ২৭ সেপ্টেম্বর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব লেখেন, বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ট্রিপল প্লে ও কোয়াড প্লে নিয়ে আসছে বিটিসিএল। এতে মোবাইল ভার্চ্যুয়াল নেটওয়ার্ক অপারেটর (এমভিএনও), মোবাইল সিম, আলাপ ও জিপন সেবা থাকবে। পাশাপাশি...
সৃজনশীল সাহিত্য, বিশেষত ছোটগল্প দ্বিবিধ প্রক্রিয়ায় রচিত হয়, বানিয়ে ও ঘটিয়ে। বানিয়ে তোলা ছোটগল্পের আবেদন অপ্রতুল। ধ্রুপদী সাহিত্যের সঙ্গে তার সম্পর্ক সাংঘর্ষিক না হলেও প্রীতিপ্রদ ও টেকসই নয়। অপরদিকে, ঘটিয়ে তোলা ছোটগল্প পাঠককে ঘটনার সাথে একাত্ম করে নিবিড় পর্যবেক্ষক কিংবা সহযাত্রীতে রূপান্তর করে। ঘটিয়ে তোলা কৌশলের অর্থবহ প্রয়োগের মধ্য দিয়ে রক্ষিত হয়, সাহিত্যের শিল্পমান। প্রশ্ন হলো, এই বিষয়ে অবতারণা কেন? আর তার শানেনযুলই বা কী? সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের গল্প পাঠান্তে বানিয়ে তোলা ও ঘটিয়ে তোলার প্রসঙ্গ হাজির হয়েছে। তাঁর গল্প মূলত: ঘটিয়ে তোলা পদ্ধতির আশ্রয়ে রচিত। তিনি জ্ঞাত হোক কিংবা অজ্ঞাতসারে এ পদ্ধতির যথার্থ ও স্বার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। যা এই সময়ের গল্পভুবনের বাইরে স্বাতন্ত্র্য এক সত্তায় উদ্ভাসিত হয়েছে পাদপ্রদ্বীপের আলোয়। ছোটগল্পের সারাৎসার বলতে প্রচলিত ও অর্থবহ যে ধারণা, বোধ...
বাংলাদেশে সৈয়দ ওয়ালীউল্লাহ কতটা প্রাসঙ্গিক আছেন আজও? মানে একাডেমিয়ার চোখে নয়, পাঠকের চোখে, তার সমসাময়িক যেকোনো লেখকের তুলনায়। ‘লালসালু’, ‘কাঁদো নদী কাঁদো’, ‘চাঁদের আমাবস্যা’ বা ‘বহিপীর’—এসব বই যদি এখনো সাহিত্য পাঠকের আগ্রহ ধরে রাখে, তা কেন রেখেছে?ওয়ালীউল্লাহর রচনা নিয়ে অনেক রকমের আলাপ চালু আছে বাজারে। গবেষকেরা করেন সেই আলাপ। পাঠচক্রগুলোয় হয় কথাবার্তা। কয়েক প্রজন্মের শিক্ষার্থীরা তাঁর লেখা পড়ে চলেছেন পরীক্ষা পাসের জন্য। এসব সত্ত্বেও ওয়ালীউল্লাহ পাঠ্যপুস্তকের বর্ণহীন জগতে লুপ্ত হননি বোধ করি। এদিক থেকে একাডেমিয়ায় জায়গা পাওয়া আর যেকোনো লেখকের তুলনায় তিনি ভাগ্যবান। এই প্রাসঙ্গিকতার অনেক কারণ আছে। যেমন প্রথম কারণটি একই সঙ্গে ক্লিশে ও তার অ্যান্টিডোট দুইই।এ সময়ের গড় পাঠক ও তরুণদের মধ্যে একটা ধারণা আছে যে একবিংশ শতাব্দীতে লেখকের সমাজসচেতনা, সমাজের প্রতি দায়, ভাষা ও টেকনিকের নিরীক্ষা এসবের...
২০২২ সালে ক্যারিয়ারের প্রথম ওয়েব সিরিজ ‘শাটিকাপ’ বানিয়ে পাদপ্রদীপের আলোয় আসেন রাজশাহীর তরুণ নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম। অপেশাদার শিল্পী ও কলাকুশলীদের নিয়ে নির্মিত সিরিজটি দেখে দর্শকেরা নড়েচড়ে বসেছিলেন। বছর দুয়েক পর ২০২৪ সালে নির্মাণ করেন আরেক সিরিজ ‘সিনপাট’। সিরিজ বানিয়ে ওটিটিতে নিজের ভিত শক্ত করেছেন তাওকীর। বেশ কয়েকটি পুরস্কারও ঝুলিতে ভরেছেন এই তরুণ নির্মাতা।এবার ক্যারিয়ারের প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা নিয়ে আসছেন তাওকীর, নাম ‘দেলুপি’। সিনেমার দৃশ্যধারণ শেষ, এ বছরই মুক্তির পরিকল্পনার কথা রয়েছে। সিনেমার নামকরণ নিয়ে তাওকীর জানান, ‘দেলুপি’ নামটি এসেছে খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়ন থেকে। সেই অঞ্চলের মানুষের জীবন, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে কাল্পনিক বাস্তবতা হিসেবে দেলুপির গল্প লেখা। যা শুধু এই অঞ্চলের নয়; বরং একই সঙ্গে দেশের সর্বস্তরের মানুষের জীবনের সঙ্গে মেলাতে পারবে। সিনেমার শুটিং...
তীব্র গ্যাস–সংকটের কারণে সার কারখানাগুলো যখন সক্ষমতার ৬০ শতাংশ অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে, তখন এ খাতে গ্যাসের দাম এক ধাপে ১৬ টাকা থেকে প্রায় দ্বিগুণ বাড়িয়ে ৩০ টাকা করার সুপারিশ কোনো বিবেচনাতেই যৌক্তিক হতে পারে না। কারণ, এর প্রভাব শুধু গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধিতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। এতে নিশ্চিত করেই সারের দাম বাড়বে এবং কৃষিপণ্যের উৎপাদন খরচও বেড়ে যাবে। টানা মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমে যাচ্ছে এবং জীবনযাত্রায় নানা সংকট তৈরি হচ্ছে, সে সময়ে এমন সিদ্ধান্ত বাস্তবায়িত হলে সেটা ‘মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’–এর মতোই হবে।প্রথম আলোর খবর জানাচ্ছে, সোমবার সার কারখানায় গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব নিয়ে শুনানি করে বিইআরসি। পেট্রোবাংলা ও ছয়টি গ্যাস বিতরণ কোম্পানি গ্যাসের দাম ইউনিটপ্রতি ৪০ টাকা করার প্রস্তাব দেয়। শুনানিতে বেশির ভাগ আমন্ত্রিত সংগঠন অনুপস্থিত ছিল না। সারের দাম...
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাম্প্রতিক তিয়ানজিন সফর ছিল সাত বছর পর তাঁর প্রথম চীন সফর/। তিনি সেখানে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সম্মেলনে অংশ নেন। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে মোদির উপস্থিতি একধরনের বহুরৈখিক সংহতির ছবি তুলে ধরে। এই ছবি দেখে মনে হতে পারে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনকে অস্বস্তিতে ফেলতে পরিকল্পিতভাবে সব সাজানো হয়েছিল।কিন্তু এই রাজনৈতিক প্রদর্শনীর আড়ালে লুকিয়ে আছে আরও জটিল বাস্তবতা। আর সেই বাস্তবতাকে ভারতের অত্যন্ত সতর্কতা ও সুস্পষ্ট কৌশলের সঙ্গে মোকাবিলা করা জরুরি।আসলে মোদির এই সফর ছিল একধরনের কূটনৈতিক পুনর্মিলনের ইঙ্গিতবাহী বার্তা। প্রায় এক ঘণ্টার সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠকে মোদি ও সি দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান যোগাযোগ পুনরায় চালু করতে এবং হিন্দুধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী দেবতা শিবের তীর্থস্থান কৈলাস–মানস সরোবরে যাত্রা আবারও চালু...
বর্তমান বিশ্বে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট’ শব্দটি এমনভাবে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, যেন এটি জীবনের সব সমস্যার একমাত্র সমাধান। বিজ্ঞাপন, স্বাস্থ্যপণ্য, এমনকি অনেকে চিকিৎসা পরামর্শেও একে ক্যানসার প্রতিরোধের মূল হাতিয়ার হিসেবে উপস্থাপন করেন। কিন্তু বিজ্ঞানের কঠোর পরীক্ষায় এ ধারণা টিকে নেই। বাস্তবে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট একটি সাধারণ রাসায়নিক ধারণা। এটি এমন উপাদানকে বোঝায়, যা শরীরের ফ্রি র্যাডিকাল বা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে পারে। কিন্তু এই প্রক্রিয়া ক্যানসার প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করার সমার্থক নয়। আরো পড়ুন: কত বছর বয়সের পরে মেরুদণ্ডের হাড় দুর্বল হয়ে পড়ে? গোপালগঞ্জে ৬ দফা দাবিতে স্বাস্থ্য সহকারীদের কর্মবিরতি মানবদেহের প্রতিটি কোষে শ্বাস-প্রশ্বাস, শক্তি উৎপাদন ও অন্যান্য বিপাকীয় কার্যক্রমের ফলেই কিছু ফ্রি র্যাডিকাল তৈরি হয়, যা অতিরিক্ত হলে কোষের ক্ষতি করতে পারে। এই ক্ষতি প্রতিরোধের জন্য দেহে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ ব্যবস্থা আছে।...
সপ্তাহে কত দিন কাজ করা কর্মী ও প্রতিষ্ঠান উভয়ের জন্য ভালো—চার দিন, পাঁচ দিন নাকি ছয় দিন? এটা নিয়ে নানা মত রয়েছে। বিশ্বের অনেক প্রতিষ্ঠান পাইলট প্রকল্প আকারে, আবার কেউ কেউ স্থায়ীভাবে চার দিনের কর্মসপ্তাহ শুরু করেছে। কেউ এর পক্ষে, কেউ এর বিপক্ষে। চার দিনের কর্মসপ্তাহ আসলে স্বপ্ন, বাস্তবতা নাকি অর্থনীতির জন্য ঝুঁকি—এটা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক চলছে অস্ট্রেলিয়ায়। দেশটির অস্ট্রেলিয়ান কাউন্সিল অব ট্রেড ইউনিয়নস (এসিটিইউ) চার দিনের কর্মসপ্তাহ চালুর প্রস্তাব করার পর শুরু হয়েছে এই বিতর্ক। সাপ্তাহিক কর্মঘণ্টা কমিয়েও উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করা যায়, এমন ধারণা বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়ে উঠলেও দ্বিমত রয়েছে দেশটির ব্যবসায়ীদের মধ্যে। চারদিনের অফিসে কর্মী। ইংল্যান্ডের ছবিটি সম্প্রতি তোলা।
বাংলাদেশের সমাজে একটি দীর্ঘমেয়াদি অথচ পরিচিত সমস্যা হলো- প্রবীণ সমস্যা। প্রবীণ বা বার্ধক্য একটি জটিল ও বহুমাত্রিক সামাজিক সমস্যা, যা ব্যক্তিজীবন, পরিবার, গ্রাম, শহর, উন্নত, উন্নয়নশীল ও অনুন্নত সব অঞ্চলে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল থেকে উন্নত রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করার লক্ষ্যে প্রবীণ জনগোষ্ঠীকে কাজে লাগানো ও তাদের কল্যাণ নিশ্চিত করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্যিকার অর্থে একটি জাতির উন্নয়নের প্রকৃত মাপকাঠি শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে নয়, বরং তা নির্ধারিত হয় সমাজের সবচেয়ে দুর্বল ও অবহেলিত জনগোষ্ঠীর প্রতি তার দায়িত্ববোধ থেকে। আরো পড়ুন: আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সম্ভাবনা নেই: আসিফ নজরুল টিসিবির পণ্য তালিকায় যোগ হবে চা, লবণ, ডিটারজেন্ট ও সাবান জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিলের তথ্য (২০২৪) অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ৬৫ বছরের ঊর্ধ্ব বয়সী মানুষের সংখ্যা মোট জনসংখ্যার...
খাগড়াছড়ির সহিংস ঘটনার পেছনে পার্বত্য চট্টগ্রামভিত্তিক আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) হাত রয়েছে— এমন ইঙ্গিত করে পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘‘খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র জনতার ব্যানারে যারা আন্দোলন করেছেন, তাদের ৬ নেতার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা প্রত্যেকে ইউপিডিএফের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাদের অপরিপক্ক আন্দোলনের কারণে খাগড়াছড়িতে এমন সহিংস ঘটনা ঘটেছে। ফলে আন্দোলনে তৃতীয় পক্ষ সুযোগ নিয়েছে। আন্দোলন একটি ইস্যুতেই থাকা উচিৎ।’’ সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাঙামাটি শহরের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মন্দির পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। আরো পড়ুন: গোপালগঞ্জের ঘটনায় সরকার বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি করবে: সেতু উপদেষ্টা পশ্চিমবঙ্গের সহিংসতার বিষয়ে বাংলাদেশের মন্তব্য নাকচ ভারতের পার্বত্য উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেন, ‘‘পাহাড়িরা সব সময় একটি স্লোগান দেয় পাহাড় থেকে ‘সেনা হঠাও’।...
খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণসহ সারা দেশে অব্যাহত ধর্ষণ-নিপীড়নের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। দলটির নেতারা বলেছেন, সরকারের চরম উদাসীনতায় পার্বত্য অঞ্চল থেকে সমতল পর্যন্ত গোটা দেশ নারী, এমনকি শিশুদের জন্যও আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে। আজ শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সিপিবি এসব কথা বলেছে। বিবৃতিতে সিপিবি সভাপতি কাজী সাজ্জাদ জহির ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ ক্বাফী রতন অবিলম্বে পাহাড়ি কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এ ঘটনায় প্রতিবাদকারীদের আটক ও নির্যাতনের প্রতিবাদও জানিয়েছেন তাঁরা।সিপিবি নেতারা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো তাদের শপথ রক্ষা করবে ও পেশাদারত্ব বজায় রাখবে—এটাই দেশের মানুষ প্রত্যাশা করে। তাই প্রতিবাদ দমনের পরিবর্তে অপরাধীকে আইনের আওতায় আনতে সব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাকে সর্বাত্মক ভূমিকা রাখতে হবে। আর এটি নিশ্চিত করার...
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, “বাংলাদেশে কাজ করা খুবই ডিফিকাল্ট (কঠিন)। পার্টিকুলারলি যেই অবস্থার মধ্য দিয়ে দেশ যাচ্ছে, তাতে কাজ আদায় করে নেওয়া কঠিন। কিছু কিছু পক্ষের লোকের জন্য খুব সুবিধা, আর বেশিরভাগ পক্ষের লোকের জন্য ডিফিকাল্ট। এই সিচুয়েশনে আমরা এখন এই অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছি।” শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কর্মকর্তা সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠানে নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে এসব কথা বলেন এ এম এম নাসির উদ্দিন। আরো পড়ুন: কোনো দলের পক্ষে কাজ করা যাবে না: সিইসি প্রবাসী ভোটারদের আস্থা ফিরিয়ে আনা হবে: সিইসি নির্বাচন কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন আরো বলেন, “আপনারা ওয়াদা করেছিলেন নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং প্রফেশনালি কাজ করবেন। আইন মেনে কাজ করবেন।” ...
‘বয়স বাড়ছেআমাকে ফিরিয়ে দাও শৈশবের তারাগুলোযেন আমি বাড়ির ঠিকানা খুঁজে পাইতোমার কাছে ফিরে আসি পরিযায়ী পাখিদের সঙ্গে উড়ে... ’(‘আমার মায়ের প্রতি’, মাহমুদ দারবিশ, জোসেফ মাসেদের ইংরেজি অনুবাদ থেকে বাংলায় তর্জমা: মাজহার সরকার)একজন নির্বাসিত লেখকের যন্ত্রণা এবং মা ও মাতৃভূমির কাছে ফেরার আকুতি ওপরের পঙ্ক্তিগুলোয় গভীরভাবে টের পাওয়া যায়। ফিলিস্তিনের আল-বিরওয়া গ্রামে ১৯৪১ সালে জন্ম নেওয়া বিশ্বখ্যাত কবি মাহমুদ দারবিশ অন্য ফিলিস্তিনিদের মতোই ইসরায়েলি দখলদারত্বের ত্রাসে বাস্তুচ্যুত হন। ১৯৪৮ সালে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পর ইসরায়েলি সৈন্যদের নির্মম বর্বরতা নেমে আসে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর। জোর করে দখল করে নেওয়া হয় তাদের নিজস্ব ভূমি, জায়গা-জমি; ধ্বংস করে দেওয়া হয় ঘরবাড়ি ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। খোদ জাতিসংঘের হিসাবেই প্রায় ৯ লাখ ফিলিস্তিনি মাতৃভূমি ছাড়তে বাধ্য হয়।মাহমুদ দারবিশের শৈশবের স্মৃতিবিজড়িত প্রিয় গ্রামও এ আক্রমণ থেকে রেহাই...
দেশের আর্থিক খাতের পরিসর ছোট—এই নিয়ে অর্থনীতিবিদদের ওজর-আপত্তি অনেক দিনের। আর্থিক খাত বলতে আছে কেবল ব্যাংক। শেয়ারবাজারের অবস্থা এতটা করুণ, অনেক মানুষ সেখানে যাওয়ার সাহসই পান না। বন্ডের বাজার মূলত সরকারি। বিশেষ করে সঞ্চয়পত্র। বেসরকারি বন্ডের পরিসর আরও ছোট।এ পরিস্থিতিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেন, সঞ্চয়পত্র ট্রেডেবল বা লেনদেনযোগ্য করা দরকার। সন্দেহ নেই, আর্থিক খাতের পরিসর বড় করার লক্ষ্যে এ কথা বলেছেন তিনি।সঞ্চয়পত্রও একধরনের বন্ড। বন্ড হলো দীর্ঘমেয়াদি ঋণ গ্রহণের প্রতিশ্রুতিপত্র; কিন্তু এই শর্তের নিরাপত্তার ধরন বিভিন্ন। অনুন্নত দেশে যেখানে বন্ড বাজার চালু নয় কিংবা এখনো অতটা বিকশিত হয়নি, সেখানে মূলত সরকার বন্ড ইস্যু করে থাকে। তাকে সরকারি বন্ড বলে। যুক্তরাষ্ট্রে একে বলে ট্রেজারি বন্ড। সরকারি বন্ডের নিরাপত্তা সবচেয়ে বেশি বলে এতে প্রদেয় সুদহার বা কুপন রেট সাধারণত...
চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে। জনগণের মধ্যে প্রত্যাশা তৈরি হয়, দীর্ঘদিনের কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থা ভেঙে রাষ্ট্র গণতন্ত্রের পথে হাঁটবে। কিন্তু সেই প্রত্যাশার প্রতিফলন কতটা ঘটছে? আজও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দৃশ্যমান হচ্ছে না। যুক্তরাজ্যভিত্তিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিনের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ বাস্তবতারই প্রতিফলন ঘটেছে।জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ৬০তম অধিবেশনে উপস্থাপিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে এখনো মতপ্রকাশ ও তথ্যের স্বাধীনতার অধিকার সুরক্ষিত নয়। বিশেষ করে নির্বাচন সামনে রেখে গণমাধ্যমকর্মী ও সুশীল সমাজের সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে দেখা যাচ্ছে, কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ, যেমন সাইবার সিকিউরিটি আইন বাতিল করা হলেও নতুন খসড়া আইনগুলোর মাধ্যমে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরিসর আবারও সংকুচিত হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।এসব আইন প্রণয়নের ফলে সাধারণ নাগরিকের বাক্স্বাধীনতা...
শিরোনাম পড়ার সাথে সাথে পাঠকের উল্টোও মনে হতে পারে— কেন এলিয়ট পড়ব না? একবিংশ শতাব্দীতে তিনি কি অপ্রাসঙ্গিক? আমাদের বর্তমান বৈশ্বিক প্রেক্ষাপটে তিনি কি সাহিত্য সমাজের কাছে অপাংক্তেয় হয়ে পড়েছেন? T S Eliot at 101 প্রবন্ধে আমেরিকার কথাসাহিত্যিক সিনথিয়া ওজিক যখন বলেন, ‘প্রতিক্রিয়াশীল এলিয়টকে অস্বীকার করা এখন আমাদের আবশ্যিক কর্তব্য‘, তখন কি আমাদের সবার মতামত ওজিকের অনুগামী হয়? এই আহ্বানের পর ৩৫ বছর পার হয়ে গেছে। এলিয়টকে সেভাবে বর্জনের সুনির্দিষ্ট কোনো আলামত লক্ষ্য করা গেছে কি? অ্যান্থনি জুলিয়াস কিংবা হ্যারল্ড ব্লুমরাও এলিয়টের তীব্র সমালোচক ছিলেন। ব্লুমতো ওয়ালেস স্টিভেন্সকে এলিয়টের বিকল্প হিসেবে দাঁড় করাতে চেয়েছেন। কিন্তু শিল্প-সাহিত্যের ক্ষেত্রে কখনোই একজন আরেকজনের বিকল্প হয়ে ওঠেন না। এলিয়টকেও তাই অন্য কোনো সাহিত্যিক দ্বারা প্রতিস্থাপন করা যায়নি; সম্ভব ছিল না। শতবর্ষ আগে...
নাওমি শিহাব নাই (জন্ম: ১২ মার্চ ১৯৫২) সমকালীন আমেরিকান কবিতার উল্লেখযোগ্য নাম। একই সঙ্গে নাওমি শিশুদের জন্য সাহিত্য রচনা করেন এবং কবিতার বই সম্পাদনার সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। পিতা ফিলিস্তিনের আর মা আমেরিকার। পিতার সূত্রে জীবনের একটি অংশ তিনি জেরুজালেমে কাটিয়েছেন। আর মায়ের সূত্রে কাটিয়েছেন টেক্সাসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি থিতু হয়েছেন আমেরিকায়।নাওমির কবিতার বৈশিষ্ট্য তাঁর ঘটনাবহুল জীবনের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। পিতা-মাতার সূত্রে নির্বাসন ও অভিবাসন—এই দুই বিষয় নাওমির জীবনের ক্রূর বাস্তবতা। এই বাস্তবতায় শুরু থেকেই তিনি দুই ভিন্ন সংস্কৃতির ভেতর বড় হয়েছেন। এ কারণে দুই দিক থেকে প্রাপ্ত জীবনবাস্তবতা, বহুসাংস্কৃতিক অভিজ্ঞতা ও অভিজ্ঞতা নির্মিত বোধ, নির্বাসন আর অভিবাসনের বেদনা এবং মানবতার এক সর্বজনীন অভিব্যক্তি তাঁর কবিতায় লক্ষ করা যায়। এ ছাড়া প্রাণী ও মানুষের বৈশিষ্ট্য এবং সম্পর্ক—এই দুইয়ের সমন্বয়ের বাস্তবতা কেমন...
বাংলাদেশে রাজনীতির আলোচনায় ‘হাইপ’ (অতি উচ্ছ্বাস) তৈরি হওয়া নতুন কিছু নয়। যখন কোনো বিষয় হঠাৎ আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে ওঠে, তখন আমরা সবাই এ ধরনের উচ্ছ্বাসে ভেসে যাই। কিন্তু উত্তেজনা কমে গেলে আমরা কয়জনই–বা ফিরে তাকাই, বাস্তবতার আলোকে বিষয়গুলো নিয়ে গভীর বিশ্লেষণ করি?মনে পড়ে, গত বছর কিছু মানুষের মধ্যে এক অদ্ভুত হাইপ তৈরি হয়েছিল—‘ড. ইউনূসকে আমরা পাঁচ বছর চাই।’ সে সময়কার উত্তেজনা, বিতর্ক আর রাজনৈতিক দলগুলোর বিভাজন কী ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করেছিল, সেটা এখন অনেকেই নতুন করে বুঝতে পারছেন। অথচ তখন আমরা কেউই সেটাকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখিনি। এখন ফিরে তাকালে বোঝা যায়, হাইপের ঢেউ যত বড় হয়, বাস্তবতার ভিত ততটা মজবুত হয় না।সম্প্রতি হয়ে যাওয়া ডাকসু ও জাকসু নির্বাচনকে শুধু হাইপ দিয়ে দেখলে ভুল হবে। এই নির্বাচন সত্যিই কি ভবিষ্যতের জাতীয়...
এলাকার ডাকসাইটে সুন্দরী ও করিতকর্মা নারী আম্বিয়ার বিবাহ। এই নিয়ে বচসা। পরীরদিঘির লোকজন চান, তরুণ মন্তু মিয়াই বিয়ে করুক। কিন্তু পাড়ার মোড়ল তিন স্ত্রীর স্বামী মকবুলের চাওয়া, বিবাহটা তিনিই করবেন।এই নিয়ে গন্ডগোল। একপর্যায়ে বিয়েই ভেঙে যাওয়ার উপক্রম। শুধু যার বিয়ে সেই আম্বিয়া কাকে বিয়ে করতে চায়, সেই মতামতটাই নেওয়া হলো না।জহির রায়হানের যাঁরা পাঠক, তাঁরা নিশ্চয়ই ধরে ফেলেছেন, কালজয়ী এই কাহিনি 'হাজার বছর ধরে' উপন্যাসের। বাস্তবে এই কাহিনি শুধু পরীরদিঘিরই নয়, এ দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রেই এটা পুরোপুরি মিলে যায়। এখন যেমন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সংগীত না ধর্মীয়--কোন শিক্ষক বেশি দরকার, এই নিয়ে বেশ ভালোই বচসা চলছে, শুধু শিক্ষকদেরই বোধহয় মতামত নেওয়ার প্রয়োজন পড়েনি।দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন। এই মন্ত্রণালয়ের তথ্য বলছে, বর্তমানে দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষকের...
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) কর্মক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনবে বলে মনে করেন ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী স্যাম অল্টম্যান। তাঁর মতে, এ পরিবর্তনের প্রথম ধাক্কা আসবে গ্রাহকসেবা খাতে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন অনুষ্ঠান ‘দ্য টুকার কার্লসন শো’তে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অল্টম্যান বলেন, ‘আমি নিশ্চিত, বর্তমানে ফোন বা কম্পিউটারের মাধ্যমে যে বিপুল গ্রাহকসেবা দেওয়া হয়, তার একটি বড় অংশ শিগগিরই এআই আরও ভালোভাবে সম্পন্ন করবে। ফলে এ খাতের অনেক কর্মী চাকরি হারাবেন।’অল্টম্যান মনে করেন, গ্রাহকসেবার পর প্রোগ্রামাররাও এআইয়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন। তিনি বলেন, ‘ইতিহাস বলছে, গড়ে প্রতি ৭৫ বছরে চাকরির ধরনে বড় ধরনের পরিবর্তন ঘটে, প্রায় অর্ধেক চাকরি নতুনভাবে রূপান্তরিত হয়। তবে আমার ধারণা, এবার পরিবর্তনটা অনেক দ্রুত ঘটবে। একধরনের আকস্মিক ভারসাম্য বদলের মতো।’ তবে এই পরিবর্তন মানে মানুষের সম্পূর্ণ অনুপস্থিতি নয়। অল্টম্যানের মতে,...
‘বদ নজর’ ইসলামে একটি বাস্তব সত্য, যা মানুষের ঈর্ষা, হিংসা বা অতিরিক্ত প্রশংসার মাধ্যমে অন্যের ক্ষতি করতে পারে। কোরআন ও হাদিসে বদ নজরের বাস্তবতা এবং এর থেকে সুরক্ষা লাভের উপায় উল্লেখ করা হয়েছে।তাই মুসলমানদের জন্য বদ নজর থেকে রক্ষার দোয়া ও আমল জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।বদ নজরের বাস্তবতাআল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর নিশ্চয় যারা অবিশ্বাস করেছে, তারা যখন কোরআন শোনে তখন প্রায় তাদের দৃষ্টির দ্বারা তোমাকে পতিত করবে। আর তারা বলে: ‘সে তো অবশ্যই পাগল।’” (সুরা কলাম, আয়াত: ৫১)রাসুল (সা.) বলেছেন: “চোখ লাগা (বদ নজর) সত্য।” (সহিহ মুসলিম, হাদিস: ২১৮৮)আরও পড়ুনশিশুদের বদ নজর থেকে বাঁচাতে১৫ আগস্ট ২০২৫বদ নজর থেকে বাঁচার দোয়ারাসুল (সা.) বদ নজর থেকে বাঁচার জন্য বিভিন্ন দোয়া শিখিয়েছেন। এর মধ্যে কয়েকটি প্রসিদ্ধ দোয়া হলো:১. বদ নজর থেকে শিশুদের রক্ষার দোয়ারাসুল...
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) এবারের নির্বাচন এতটা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ও উত্তেজনাপূর্ণ হবে, তা ছিল অভাবনীয়। মূলত চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানই সেটি সম্ভব করেছে। একইভাবে নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির–সমর্থিত প্যানেলের যে ভূমিধস বিজয়, সেটিও ছিল অভাবনীয়, অনেকের কাছে অপ্রত্যাশিতও। নির্বাচনের দিন ও আগের দিন রাত পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে দীর্ঘ সময় কাটিয়ে এবং ফলাফল ঘোষণার পর অনেকের প্রতিক্রিয়া দেখে, তেমনটিই মনে হলো।ডাকসু নির্বাচনে এবার রেকর্ডসংখ্যক ভোট গ্রহণও ছিল অভাবনীয়। শিবির–সমর্থিত প্যানেলের বিপক্ষে ছাত্রদল, বামপন্থী ও এনসিপি–সমর্থিত সংগঠনের প্যানেলের প্রার্থীদের প্রচারণায় একটি বিষয় লক্ষণীয় ছিল, বেশিসংখ্যক ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আসতে উদ্বুদ্ধ করা। তাঁদের ধারণা ছিল, শিবির–সমর্থিত প্যানেলের ভোট ‘ফিক্সড’, মানে তাদের ভোটব্যাংক নির্দিষ্ট। সেটাকে ছাপিয়ে যেতে পারে বেশিসংখ্যক ভোট গ্রহণের মধ্য দিয়েই।অবাক করা বিষয় হচ্ছে, শিবিরই বরং এটির সবচেয়ে বেশি সুফলভোগী হয়েছে। প্রাপ্ত ভোটে কয়েকটি...
অংশগ্রহণকারীবদিউল আলম মজুমদারজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য;সম্পাদক, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)সুকোমল বড়ুয়াঅধ্যাপক,পালি এন্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মেঘনা গুহঠাকুরতাগবেষক ও সাবেক অধ্যাপক,আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়রফিকুল ইসলামসাবেক পরিচালক,ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশবিশপ ফিলিপ অধিকারীসভাপতি, ন্যাশনাল ক্রিশ্চিয়ান ফেলোশিপ অব বাংলাদেশপ্রশান্ত ত্রিপুরাকান্ট্রি ডিরেক্টর, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্টশুভ্র দেব করপরিচালক, সাউথ এশিয়ান ফোরাম ফর ফ্রিডম অব রিলিজিয়ন অর বিলিফ, বাংলাদেশরুমানা আমিনডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর, ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন ফর ইলেকটোরাল সিস্টেমজো ডিভাইনঅধ্যাপক, ইউনিভার্সিটি অব বাথ, যুক্তরাজ্য ও গবেষকমাথিল্ডা মেট্রটগবেষক ও সিনিয়র লেকচারার, ইউনিভার্সিটি অব বাথ, যুক্তরাজ্যইলিরা দেওয়ানমানবাধিকার কর্মী মোর্শেদ হোসেনকোঅর্ডিনেটর, শান্তি সহায়ক দল (পিএফজি), ফেনীনাজমুন নাহার নূপুরসদস্য, শান্তি সহায়ক দল (পিএফজি), লাকসামএস কে এ হাসিবকোঅর্ডিনেটর, শান্তি সহায়ক দল (পিএফজি) বাগেরহাটনরেন পাহানসদস্য, শান্তি সহায়ক দল (পিএফজি), নওগাঁজারিন মুনতাহাসদস্য, তরুণ শান্তিদূতদের দল (ওয়াইপিএজি), ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়াফিরোজ চৌধুরীসহকারী সম্পাদক, প্রথম আলোআলোচনাবদিউল আলম মজুমদারজাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য;সম্পাদক,...
মার্কিন রাজনৈতিক পরিসরে যখন কেউ ফিলিস্তিনের মানবিক বিপর্যয়ের কথা তোলে, তখনই প্রশ্ন আসে, ‘৭ অক্টোবরের হামাসের বিষয়টা কী হবে?’ এ প্রশ্ন যেন একটি অস্ত্র, যা দিয়ে ফিলিস্তিনপন্থী বা মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে কথা বলা মানুষদের চুপ করিয়ে দেওয়া হয়, বিশেষত মার্কিন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। অথচ এর পাল্টা জবাব হতে পারে, ‘৬ আগস্টের বিষয়টা তাহলে কী হবে?’১৯৪৫ সালের ৬ আগস্ট জাপানের হিরোশিমায় প্রথম পারমাণবিক বোমা ব্যবহার করা হয়েছিল। তিন দিন পর ৯ আগস্ট নাগাসাকিতে দ্বিতীয় বোমা ফেলা হয়। এই দুই হামলায় আনুমানিক দুই লাখ মানুষ নিহত হয়েছিল। এর আগেই ১৯৪৫ সালের মার্চে ‘অপারেশন মিটিংহাউস’ নামে পরিচিত ভয়াবহ অগ্নিবোমা হামলায় টোকিওতে কয়েক হাজার মানুষ মারা যান এবং এক মিলিয়নের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েন।আজ গাজার গণহত্যার সময় যে ‘সংখ্যার রাজনীতি’ আমরা দেখছি, তা এক...
ক্ষমতা বিষয়টি নিছকই এক রাজনৈতিক বা সামাজিক কাঠামো নয়; এটি তীব্রভাবে শাসকের মনস্তত্ত্বের সঙ্গেও যুক্ত, যা শাসকের ব্যক্তিত্বের গভীরতম স্তরকে উন্মোচিত ও বিবর্ধিত করে। যখন একজন নেতার মনস্তত্ত্ব—তাঁর অন্তর্নিহিত আঘাত, তাঁর আত্মমগ্নতা এবং নিরাপত্তাহীনতা একটি রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণ করতে শুরু করে, তখন রাষ্ট্র আর জনগণের থাকে না, হয়ে ওঠে সেই নেতার ব্যক্তিগত মনস্তাত্ত্বিক নাটকের মঞ্চ। ২০০৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশে শেখ হাসিনার শাসনকালকে এই ভয়ংকর রূপান্তরের এক ‘পাঠ্যপুস্তকীয়’ উদাহরণ বললে ভুল বলা হবে না। রাজনৈতিক মনস্তত্ত্ব এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের বিভিন্ন উদাহরণের আলোকে দেখা যাক, কীভাবে একজন নেতার মনস্তত্ত্ব একটি জাতিকে প্রাতিষ্ঠানিক অবক্ষয়, সামাজিক বিভাজন ও চূড়ান্ত নৃশংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারে।আরও পড়ুনফ্যাসিবাদী শাসকের পতন হলেও ফ্যাসিবাদ যেভাবে থেকে যায়৩১ অক্টোবর ২০২৪‘লার্জার দ্যান লাইফ’ সিনড্রোমকর্তৃত্ববাদী শাসনের মনস্তাত্ত্বিক ভিত্তি হলো একটি ‘কাল্ট অব...
জীবনের প্রতিটি পর্যায়ে অর্থ ব্যবস্থাপনার চাহিদা ভিন্ন। শৈশব থেকে বার্ধক্য পর্যন্ত আমাদের আর্থিক বাস্তবতা, দায়বদ্ধতা ও আকাঙ্ক্ষা বদলায়। বাংলাদেশে যেখানে অর্থনীতি দ্রুত বিকশিত হচ্ছে, সঞ্চয় ও বিনিয়োগের সুযোগও বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনা ও অর্থ ব্যবস্থাপনার বিষয়টি দিন দিন আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।ব্যক্তিগত আর্থিক পরিকল্পনাকে একটি গাছের সঙ্গে তুলনা করা যায়, যা বয়সের সঙ্গে সঙ্গে শিকড় গড়ে, ডালপালা ছড়িয়ে পূর্ণতা লাভ করে। বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবং বাংলাদেশের সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে খাপ খাইয়ে যদি সঠিকভাবে পরিকল্পনা করা যায়, তবে সারা জীবন আর্থিক নিরাপত্তা এবং মানসিক শান্তি নিশ্চিত করা সম্ভব। চলমান বাস্তবতায় এটিকে সাতটি ধাপে ভাগ করে পরিকল্পনা করা যেতে পারে।আরও পড়ুনআর্থিক সাক্ষরতায় বাংলাদেশ কতদূর এগোল০৩ মার্চ ২০২৫প্রথম ধাপ (০-১৮ বছর): আর্থিক সাক্ষরতার ভিত্তিজীবনের শুরুতেই আর্থিক...
সময়টা এখন পুরোপুরি ডিজিটাল। হাতের মুঠোয় স্মার্টফোন, ২৪ ঘণ্টা ইন্টারনেট—এই বাস্তবতা ছাড়া জীবন কল্পনাই করা যায় না। দূরের মানুষকে কাছে টেনে আনা, কাজের গতি বাড়ানো, জ্ঞান আহরণের সহজ পথ তৈরি করা—এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তির কল্যাণে। তবে এই একই জীবন আমাদের সম্পর্কের ভেতর অদ্ভুত এক ফাঁকও তৈরি করছে। প্রশ্ন উঠছে—আমরা কি আসলেই কাছের মানুষকে কাছে পাচ্ছি, নাকি কেবল পর্দার ভেতরে হারিয়ে ফেলছি?সংযোগের নতুন দিকডিজিটাল জীবনের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো সহজ সংযোগ। প্রবাসে থাকা সন্তান প্রতিদিন মায়ের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অনলাইনে হার্ভার্ডের লেকচার শুনছে, কিংবা চট্টগ্রামের উদ্যোক্তা ফেসবুক পেজ থেকে পুরো ব্যবসা দাঁড় করিয়ে ফেলছে—এসব চিত্র এখন আমাদের কাছে সাধারণ।বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) তথ্যমতে, ২০২৫ সালের শুরুতে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ১৩...
রাজনৈতিক পদক্ষেপের তাৎক্ষণিক প্রভাবের চেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রভাবটাই বেশি। খুব কমসংখ্যক দল কিংবা রাজনীতিবিদ এ বাস্তবতাকে মাথায় নিয়ে তাঁদের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেন। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলে যাঁরা থাকেন, তাঁরা কখনোই দূরবর্তী ভবিষ্যতের কথা ভাবেন না। নগদ পাওনার কারবার করতে গিয়ে তাঁরা নিজের ও দলের পতন ডেকে আনেন, সমর্থক গোষ্ঠীকেও সংকটের মধ্যে ফেলে দেন। অতীত থেকে যে কেউ শিক্ষা নেন না—এ আপ্তবাক্য বাংলাদেশের রাজনীতিতে ব্যতিক্রমহীনভাবে সত্য।সাম্প্রতিক ইতিহাস প্রমাণ দেয়, বাংলাদেশ গণ–অভ্যুত্থানের দেশ। প্রতিটি অভ্যুত্থানই এখানে বড় পরিবর্তনের সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে। কিন্তু উদ্দীপনা ও উচ্ছ্বাস মিইয়ে যেতেও খুব বেশি দেরি হয় না। দেখা যায়, জনগণের ঘাড়ে সিন্দাবাদের ভূতের মতো গেড়ে বসা প্রবল কোনো প্রতিপক্ষকে সরাতে পরস্পরবিরোধী রাজনৈতিক শক্তি ও জনগণের বিভিন্ন অংশের মধ্যে অনন্য ঐক্য তৈরি হয়। কিন্তু যে মুহূর্তে সেই প্রবল...
