কারওয়ান বাজার মোড়ে মোবাইল ব্যবসায়ীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। 

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে তারা সার্ক ফোয়ারার সামনে টায়ার পুড়িয়ে সড়ক অবরোধ করেন। এ কারণে ওই এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে।

ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) সংস্কার, একচেটিয়া সিন্ডিকেট প্রথা বিলোপ এবং মুঠোফোনের উন্মুক্ত আমদানির সুযোগ সৃষ্টির দাবিতে তারা বিক্ষোভ করছেন বলে জানা গেছে। 

এ দিকে সড়ক থেকে আন্দোলনকারীদের সরিয়ে দিতে পুলিশসহ গোয়েন্দা সংস্থার কর্মকর্তারা প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুল পরিমাণ পুলিশ।

উল্লেখ্য একই দাবিতে মোবাইল ব্যবসায়ীরা গত রবিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ভবনের সামনে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।  

সে সময় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা বলেছিলেন, ​সরকার আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেনটিটি রেজিস্ট্রার (এনইআইআর) কার্যকর করার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে, মূলত তার প্রতিবাদে এই বিক্ষোভ। ​এনইআইআর চালু হলে অননুমোদিত মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধ হয়ে যাবে। এর প্রতিবাদে তারা রাস্তায় নেমেছেন।

এর আগেও দাবি আদায়ে গত ৩০ নভেম্বর সারাদেশে মোবাইল ফোনের দোকান বন্ধ রাখেন তারা।  

ঢাকা/এমআর 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক অবর ধ ব যবস

এছাড়াও পড়ুন:

মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২ দাবি

দেশের উৎপাদিত মোবাইল কারখানাগুলোর মালিকরা ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন। এনইআইআর বাস্তবায়ন হলে মোবাইল ফোন খাতে নিরাপত্তা ও বৈধতা নিশ্চিত হবে, সরকার প্রতি বছর হাজার কোটি টাকা অতিরিক্ত রাজস্ব পাবে, দেশে বাড়বে বিদেশি বিনিয়োগ, তৈরি হবে নতুন কর্মসংস্থান।একই সঙ্গে সংগঠনটি মোবাইল হ্যান্ডসেট খাতের সুস্থ বিকাশের জন্য কারখানা ও আমদানিকারক পর্যায়ের ভারসাম্যপূর্ণ কর কাঠামো প্রণয়নেরও দাবি জানান।

সোমবার (৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর সেগুনবাগিচা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সস্মেলনে এসব দাবি জানায় মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ।

এ সময় সংগঠনের সভাপতি জাকারিয়া শহীদ, সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম বিপ্লব, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইমাম উদ্দিন, রেজওয়ানুল হকসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জাকারিয়া শহীদ বলেন, “এনইআইআর আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত একটি নিরাপত্তা ব্যবস্থা।বহু দেশেই এটি কার্যকর রয়েছে। বাংলাদেশে এ সিস্টেম চালু হলে অবৈধ, চোরাই, কপি বা রিফারবিশড ফোন বাজার পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসবে।একই সঙ্গে বন্ধ হবে একই আইএমইআই নম্বর ব্যবহার করে ডজনখানেক ফোন চলার মতো নিরাপত্তাজনিত ঝুঁকি।”

তিনি বলেন, “বিটিআরসি জানিয়েছে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে এনইআইআর কার্যকর হবে। তার আগে নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব মোবাইল (বৈধ–অবৈধ) স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে এবং সচল থাকবে। এরপর নতুনভাবে অনুমোদনহীন ফোন নেটওয়ার্কে কাজ করবে না।”

মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশন লিখিত বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশের মোবাইল শিল্প বর্তমানে ১৮টি উৎপাদনকারী কারখানার সমন্বয়ে শক্তিশালী একটি খাত হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে ৩ হাজার কোটি টাকারও বেশি-বিদেশি ও দেশি বিনিয়োগ রয়েছে। এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে ৫০ হাজার জনের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে।

দেশের মাসিক উৎপাদন সক্ষমতা ১৫ লাখ স্মার্টফোন ও ২৫ লাখ ফিচার ফোন। যদিও গ্রে মার্কেটের চাপের কারণে এখনও ৩০-৪০ শতাংশ সক্ষমতা অব্যবহৃত রয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ফোন বাজারের আকার প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা। এই শিল্প দেশের ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, প্রযুক্তিগত দক্ষতা বৃদ্ধি, নারী কর্মসংস্থান এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে।

সিন্ডিকেট নয়, এটি একটি প্রতিযোগিতামূলক বাজারের কথা উল্লেখ  করে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশনের নেতারা জানান, মোবাইল উৎপাদন শিল্পে সিন্ডিকেট থাকার অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। বর্তমানে ১৮টি কোম্পানি উৎপাদন লাইসেন্সধারী। যারা মুক্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে বাজারে কাজ করছে। তাই একচেটিয়া নিয়ন্ত্রণ বা সিন্ডিকেশন এর অভিযোগ বাস্তবতার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।

এনইআইআর সিস্টেম না থাকা অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও শিল্পের জন্য বড় হুমকি বলে জানিয়েছেন মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনটি ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/নাজমুল/এসবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • প্রায় তিন ঘণ্টা পর সার্ক ফোয়ারা মোড় ছাড়লেন মুঠোফোন ব্যবসায়ীরা, যান চলাচল শুরু
  • এনইআইআর চালুতে ‘আপস করবে না’ সরকার, কমতে পারে আমদানি শুল্ক
  • ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে এনইআইআর বাস্তবায়ন ও কর–কাঠামোর দাবি এমআইওবির
  • মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের ২ দাবি