আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার ব্যবস্থাপনায় যুক্ত বেসরকারি কনটেইনার ডিপোর ধর্মঘট কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে বন্দর ও কাস্টমস কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেওয়া হয়। আগামীকাল বৃহস্পতিবার এ ধর্মঘট কর্মসূচি পালনের কথা ছিল।

গত সেপ্টেম্বর থেকে কনটেইনার ডিপো রপ্তানি ও খালি কনটেইনারের সেবা বাবদ বাড়তি মাশুল আদায়ের ঘোষণা দিয়েছিল কনটেইনার ডিপো সমিতি। তবে একজন ব্যবহারকারী বিষয়টি নিয়ে আদালতে রিট করেন। আদালত বাড়তি মাশুল আদায়ে স্থগিতাদেশ দেন। বাড়তি মাশুল আদায় করতে না পেরে বৃহস্পতিবার থেকে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ বা ধর্মঘট কর্মসূচি পালনের প্রস্তুতি নিয়েছিল ডিপো পরিচালনাকারীরা। পোর্টলিংক লজিস্টিকস ছাড়া বাকি সব ডিপোর রপ্তানি বন্ধের কথা ছিল।

এ পরিস্থিতিতে বুধবার বিকেলে বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে কনটেইনার ডিপো সমিতির বৈঠক হয়। বৈঠকে বন্দরের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কমোডর আহমেদ আমিন আবদুল্লাহ, কনটেইনার ডিপো অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি খলিলুর রহমানসহ ডিপো পরিচালনাকারী উদ্যোক্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠক শেষে বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মো.

ওমর ফারুক জানান, বন্দর ও কাস্টমস কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর আগামীকালের কর্মসূচি এক মাসের জন্য স্থগিত করতে সম্মত হয়েছে কনটেইনার ডিপো সমিতি।

জানতে চাইলে কনটেইনার ডিপো সমিতির মহাসচিব রুহুল আমিন সিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ১৩ বছর ধরে একই মাশুল থাকায় ডিপো পরিচালনায় লোকসান গুনছেন উদ্যোক্তারা। আদালতের স্থগিতাদেশের কারণে নতুন যে মাশুল নির্ধারণ করা হয়েছিল, তা বাস্তবায়ন করা যায়নি। এ কারণে লোকসান ঠেকাতে রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য ডিপোগুলো আলাদাভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এ পরিস্থিতিতে বন্দর কর্তৃপক্ষের কর্মকর্তারা এক মাসের মধ্যে বিষয়গুলো সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন। এই আশ্বাসে কর্মসূচি এক মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে রপ্তানি হওয়া কনটেইনারের ৯০ শতাংশ ডিপোতে ব্যবস্থাপনা হয়। ডিপোতে কনটেইনারে ভরে ডিপোর গাড়িতে বন্দরে নিয়ে জাহাজে তুলে দেওয়া হয়। ফলে ডিপোর কার্যক্রম ব্যাহত হলে রপ্তানি কার্যক্রমও সিংহভাগ অচল হয়ে যায়।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ধামগড় ইউনিয়ন ৪টি ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন

বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন ৩, ৪, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে। ‎‎

বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন এবং ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার যৌথভাবে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এই চারটি ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেন।

‎‎বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন বলেন, আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পক্ষে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার লক্ষ্যে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।

‎‎তিনি আরও বলেন, মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১৫দিনের মধ্যে সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে দিয়েছি।

আর ধামগড় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকায় আমি ও বন্দর উপজেলার সভাপতি এবং ধামগড় ইউনিয়নের সভাপতি যৌথভাবে স্বাক্ষর করে এই কমিটি অনুমোদন করে দিয়েছি
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ