উপকরণ
চালের গুঁড়া ২ কাপ
পানি প্রায় দেড় থেকে ২ কাপ
লবণ আধা চা-চামচ
গুঁড়া দুধ ৫০০ গ্রাম
খেজুরের গুড় ১ কাপ (স্বাদমতো)
এলাচি ২-৩টি
লবণ ১ চিমটি।
আরও পড়ুনকলাপাতা পুড়িয়ে এভাবে তালের পিঠা খেয়েছেন? দেখুন রেসিপি২০ আগস্ট ২০২৫প্রণালিচালের গুঁড়ার সঙ্গে লবণ মেশান।
পানি অল্প অল্প করে ঢেলে প্রথমে রুটি বানানোর কাইয়ের মতো করে নিন।
১০ মিনিট মথুন। এরপর কুসুম গরম পানি ঢেলে পাতলা মিশ্রণ বানান।
মিশ্রণটি এমন হবে যে চামচ দিয়ে বাটিতে ঢাললে চামচের গায়ে লেগে থাকবে না, তবে একটু ঘন তরল হবে। ২০ মিনিট ঢেকে রেখে দিন।
চিতই পিঠার তাওয়া বা ছোট কড়াই গরম করে তাতে আধা চা-চামচ তেল মাখিয়ে নিন অথবা লবণপানি দিয়ে মুছে নিন।
কড়াই গরম হলে ডালের চামচ দিয়ে মিশ্রণ ঢেলে দিন।
ঢাকনা দিয়ে ১-২ মিনিট ভাপান। এ সময় চাইলে ঢাকনার ওপর দিয়ে পানি ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতে পিঠা নরম ও ফুলকো হবে।
পিঠা সাদা-নরম হয়ে গেলে উঠিয়ে রাখুন। এভাবে সব কটি পিঠা তৈরি করুন।
গুড় কুচিয়ে, পানিতে জ্বাল দিয়ে শিরা করে নিন। আঁচ বাড়াবেন না। গুড় তেতো হয়ে যাবে।
অন্য একটি পাত্রে গুঁড়া দুধ গুলে চুলায় দিন। আন্দাজমতো লবণ দিন।
দুধ ফুটে উঠলে আঁচ কমিয়ে ৫ মিনিট জ্বাল দিন।
তৈরি করা পিঠাগুলো এবার দুধে দিয়ে মাঝারি আঁচে ফুটান।
বলক উঠলে চুলা বন্ধ করুন। পিঠায় সাবধানে গুড়ের শিরা মেশান।
আবার চুলা জ্বালিয়ে বলক তুলে বন্ধ করে দিন। চাইলে এ সময় একটু এলাচিগুঁড়া দিতে পারেন।
গুড় আর দুধের গন্ধ রাখতে চাইলে এলাচিগুঁড়া না–ও দিতে পারেন।
সারা রাত অথবা পাঁচ–ছয় ঘণ্টা পাতিলের ঢাকনা একটু ফাঁকা করে রেখে দিন।
লবণ চেখে লাগলে একচিমটি দিতে পারেন। ঠান্ডা করে পরিবেশন করুন।
টিপস: খেজুরের গুড় ভালো মানের না হলে রং চকচকে হবে না। পিঠা বানিয়ে সঙ্গে সঙ্গে দুধে দিলে নরম থাকবে।
আরও পড়ুনভাপা নাকি চিতই পিঠা, স্বাস্থ্যের জন্য কোনটি ভালো১৭ জানুয়ারি ২০২৫.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
সাপে কামড়ের পর জ্যান্ত রাসেলস ভাইপার নিয়ে হাসপাতালে কৃষক
কুষ্টিয়ায় সাপে কামড়ের পর সেই সাপ জ্যান্ত ধরে হাসপাতালে নিয়ে আসেন কৃষক কুদ্দুস আলী শেখ (৬৫)। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দৌলতপুর উপজেলার চিলমারী চরে যাওয়ার সময় সাপটি কৃষককে ছোবল দেয়।
চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন, কৃষককে কামড় দেওয়া সাপটি বিষধর ‘রাসেলস ভাইপার’ বা চন্দ্রবোড়া।
কৃষক কুদ্দুস আলী বলেন, ‘‘ছোবল দেওয়ার পরে কি সাপ বোঝার জন্য লাঠি দিয়ে আঘাত করি। বাড়িতে খবর দিলে সন্তানেরা এসে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন সাপটিও কৌটায় ভরে নিয়ে যাই।’’
এ বিষয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. ইকবাল হোসেন বলেন, ‘‘হাসপাতালে আসার পরই কৃষককে এন্টিভেনম দেওয়া হয়। চিকিৎসা নেওয়ার পর বর্তমানে তিনি সুস্থ আছেন। তবে, কামড়ের স্থানে এখনো ব্যথা অনুভব করছেন।’’
ঢাকা/কাঞ্চন/রাজীব