যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে: তারেক রহমান
Published: 10th, December 2025 GMT
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে।”
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনের মিলনায়তনে ‘দেশ গড়ার পরিকল্পনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন ঘিরে সরগরম কেরাণীগঞ্জের রাজনীতি
হেভিওয়েটদের বিপক্ষে এনসিপির প্রার্থী হচ্ছেন যারা
তারেক রহমান বলেন, “সামনের নির্বাচন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই নির্বাচনে যেকোনো মূল্যে ধানের শীষকে জেতাতে হবে। জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে বিএনপির পরিকল্পনা তুলে ধরতে হবে।”
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মানবাধিকার নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। এই দেশ কারো ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়-মানুষের অধিকার, মর্যাদা ও নিরাপত্তা রক্ষাই আজ সবচেয়ে বড় প্রতিশ্রুতি।”
তারেক রহমান বলেন, “দীর্ঘ সময় ধরে স্বৈরাচারী শাসনের অধীনে দেশের মানুষের মৌলিক অধিকার হরণের ঘটনা ঘটেছে।”
তিনি বলেন, “শত শত মানুষ হত্যা, গুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছে। সাদা পোশাকে তুলে নেওয়া হয়েছে বহু মানুষকে। অনেকে ফিরে আসেনি। যারা ফিরেছে, তাদের শরীরে নির্যাতনের নির্মমতা লেগে রয়েছে।”
বিগত সরকারের উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আইটি পার্ক ও অবকাঠামোর নামে যেসব প্রকল্প হয়েছে, তার অনেকগুলোই আজ অব্যবহৃত পড়ে আছে—সেখানে গরু-ছাগল চরে বেড়াচ্ছে।”
তিনি বলেন, “আমরা সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পেলে দুর্নীতির লাগাম টেনে ধরব। প্রয়োজনে এ দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধও করব।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা চাই না আর কোনো আবরার নির্মম হত্যার শিকার হোক। আমরা চাই না শহিদুল আলমের মতো কাউকে রাজনৈতিকভাবে নির্যাতনের মুখে পড়তে হোক। বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষের জীবন ও সম্মান রক্ষাই আমাদের প্রথম কাজ।”
তারেক রহমান জানান, জাতীয়তাবাদী দর্শনই মানুষের সম্মান, নিরাপত্তা ও সমতার অধিকার নিশ্চিত করে। মানুষের মর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার অধিকার প্রতিষ্ঠাই বিএনপির রাজনীতির মূল ভিত্তি।
নারীর ক্ষমতায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আগামী নির্বাচনে জনগণ আমাদের পক্ষে রায় দিলে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ চালুর মাধ্যমে নারীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করব। নারীসমাজকে শক্তিশালী না করলে দেশ এগোবে না।”
শিক্ষা ব্যবস্থা সংস্কারের পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি বলেন, “দ্বিতীয় ও তৃতীয় ভাষা শিক্ষাকে বাধ্যতামূলক করা হবে, যাতে শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে কর্মসংস্থানে সংকটে না পড়ে। দেশের ডাটাবেইস ধরে বিদেশে কর্মসংস্থানের পথও উন্মুক্ত করা হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের খাল খনন করতে হবে, পরিবেশ রক্ষায় ২৫ কোটি গাছ লাগাতে হবে।”
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সভাপতিত্বে এতে আরো উপস্থিত ছিলেন হাবিব উন নবী খান সোহেল, ড.
ঢাকা/আলী/সাইফ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এনপ ত র ক রহম ন ত র ক রহম ন ব এনপ র আম দ র
এছাড়াও পড়ুন:
মুছাপুরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দোয়া ও শীতবস্ত্র বিতরণ করলেন মাসুদুজ্জামান
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার বিএনপির উদ্যোগে বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় এবং এলাকার অসহায়, শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের বিএনপি মনোনীত এমপি প্রার্থী মাসুদুজ্জামান মাসুদ। দোয়া মাহফিলে বক্তারা বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সুস্থতা, দীর্ঘায়ু এবং দ্রুত আরোগ্য কামনা করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মাসুদুজ্জামান বলেন,"দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার দ্রুত আরোগ্য কামনায় এই দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেছি। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে অত্যন্ত সংকটময় সময় কাটাচ্ছেন। আমরা আপনাদের কাছে বিনীত অনুরোধ জানাই, আপনারা যে ধর্মেরই হোন না কেন, দেশনেত্রীর সুস্থতার জন্য দোয়া করবেন। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান মায়ের সেবায় প্রতিনিয়ত আছেন এবং প্রতিটি মুহূর্ত তাঁকে উৎকন্ঠায় কাটাতে হচ্ছে। আমরা আপনাদের কাছে তাঁর জন্যও দোয়া চাই, যাতে সকল ষড়যন্ত্রের অবসান ঘটে এবং তিনি নিরাপদে মায়ের পাশে ফিরে যেতে পারেন। একই সঙ্গে আমরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।"
তিনি আরও বলেন, "বন্দর ও মুছাপুর ইউনিয়নের প্রধান সমস্যা হলো গ্যাসের অভাব। প্রায় ৫০ বছর ধরে নারায়ণগঞ্জের মানুষ এই সুবিধা থেকে বঞ্চিত। ইনশা আল্লাহ, ভবিষ্যতে যদি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ক্ষমতায় আসে, আমরা এই সমস্যার সমাধান নিশ্চিত করব। এখানে মাদক একটি গুরুতর সমস্যা, যা সমাজকে অনেকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এছাড়া ইটভাটার কারণে জমির মূল্য অনেক কমে যাচ্ছে, যা এখানকার কৃষি জমি এবং অর্থনৈতিক নিরাপত্তার জন্য বড় চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি করছে। এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা হবে ৩১ দফার ভিত্তিতে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামত ও সংস্কার করে। আমি রাজনীতিতে কোনো সুবিধা নিতে আসিনি। আমি আপনাদের পাশে থাকতে এসেছি, আমার বাকি জীবন আপনার কল্যাণে উৎসর্গ করতে চাই। আমি জনাব তারেক রহমানের সঙ্গে অনেকবার আলোচনা করেছি এবং বুঝতে পেরেছি, তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গঠনের পরিকল্পনা ৩১ দফায় প্রতিফলিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য হলো জনগণের সমস্যা দূর করা এবং একটি উন্নত ও সুরক্ষিত ভবিষ্যত নিশ্চিত করা।"
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মো. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, মহানগর বিএনপি যুগ্ম আহ্বায়ক ফতেহ মো. রেজা রিপন, মহানগর বিএনপির সদস্য হাজী ফারুক হোসেন, যুবদল সভাপতি মনিরুল ইসলাম সজল, বন্দর থানা বিএনপির; সভাপতি শাহেন শাহ্। আজকের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বন্দর উপজেলা বিএনপি সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ, এবং সঞ্চালনায় ছিলেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ লিটন। এছাড়াও ওয়ার্ড বিএনপি, বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের স্থানীয় জনগণ এই সময় উপস্থিত ছিলেন।
এমন উদ্যোগ স্থানীয় জনগণের মধ্যে ঐক্য, সহমর্মিতা ও মানবিক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দোয়া ও শীতবস্ত্র বিতরণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠান শেষ হয়। শীতবস্ত্র হাতে পাওয়া অনেকেই স্বস্তি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আয়োজকরা জানান, শীতের তীব্রতা অনুযায়ী ভবিষ্যতে আরও কিছু স্থানে এই ধরনের সহায়তা কর্মসূচি নেওয়া হবে।