ভারতের কারাগার থেকে ফিরলেন ৩২ জেলে, ভারতে গেলেন ৪৭ জন
Published: 10th, December 2025 GMT
তিন মাস ধরে ভারতের কারাগারে থাকা বাংলাদেশি ৩২ জেলেকে ফিরিয়ে এনে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের মোংলায় কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁদের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে বাংলাদেশের কারাগারে থাকা ভারতের ৪৭ জেলেকে দেশটির উপকূল রক্ষা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার বন্দিবিনিময় চুক্তির আওতায় দুই দেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতার পর ৩২ জেলেকে দেশে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি ভারতীয় ৪৭ জেলেকে ফেরত পাঠানো হয়।
কোস্টগার্ড জানায়, বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক সমুদ্র সীমারেখা-সংলগ্ন বাংলাদেশের জলসীমার মধ্যে অবৈধভাবে মৎস্য আহরণরত অবস্থায় বাংলাদেশ নৌবাহিনী গত ১২ জুলাই ও ২ আগস্ট এফবি মা মঙ্গলচণ্ডী-৩৮, এফবি ঝড়, এফবি পারমিতা-৪ নামের তিনটি ভারতীয় মাছ ধরার নৌকাসহ ৪৭ জেলেকে আটক করে। অন্যদিকে গত ১২ ও ১৭ সেপ্টেম্বর ভারতীয় জলসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে দুটি বাংলাদেশি মাছ ধরার নৌকাসহ ৩২ জন জেলেকে আটক করে ভারতীয় কোস্টগার্ড।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে দ্বিপক্ষীয় সমঝোতার মাধ্যমে আটক থাকা জেলেদের বন্দিবিনিময়ের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। যার অংশ হিসেবে ৯ ডিসেম্বর বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ-ভারত আন্তর্জাতিক মেরিটাইম বাউন্ডারি লাইনে বাংলাদেশে আটক ৪৭ জন ভারতীয় জেলেকে তিনটি মাছ ধরার নৌকাসহ ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করা হয়। একই সঙ্গে ভারতে আটক থাকা ৩২ বাংলাদেশি জেলেসহ এফবি মায়ের দোয়া নামের মাছ ধরার নৌকাকে ভারতীয় কোস্টগার্ড বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের কাছে হস্তান্তর করে। এ ছাড়া আরও একটি মাছ ধরার নৌকা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
কোস্টগার্ডের যুদ্ধজাহাজ বিসিজিএস কামরুজ্জামানের অধিনায়ক কমান্ডার শুয়াইব বখতিয়ার রানা বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সমঝোতায় দুই দেশে বন্দী থাকা জেলেদের হস্তান্তর করা হয়েছে।
দেশে ফেরা ৩২ জেলের বাড়ি ভোলা ও বাগেরহাট জেলার বিভিন্ন এলাকায়। তাঁরা বলছেন, ভারতের কারাগারে শতাধিক মৎস্যজীবীসহ বিভিন্ন অপরাধে আরও অনেকে আটক আছেন। সেখানে তাঁরা মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভারতের কারাগারে থাকতে তাঁদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে বলে তাঁরা অভিযোগ করেন। ভারত থেকে ফিরিয়ে আনায় কোস্টগার্ড ও বাংলাদেশ সরকারের প্রতি তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন।
ফিরে আসা জেলে মো.
আরেক জেলে মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ‘ভারতের জেলে প্রতিদিন আতঙ্কে ছিলাম। পরিবার কী অবস্থায় আছে, জানতাম না। দেশে ফিরে যেন নতুন জীবন পেলাম। কিন্তু সেখানে এখনো বহু বাংলাদেশি আছেন।’
এফবি মায়ের দোয়া ট্রলারের মালিক মাওলানা ফখরুল ইসলাম বলেন, তিন মাস সাত দিন আগে ১৯ জেলে নিয়ে ভোলা থেকে সাগরে মাছ ধরতে যায় ট্রলারটি। ঝড়ে পথ হারিয়ে ভারতীয় বিএসএফের কাছে আটক হয়। এরপর তাঁদের সঙ্গে সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। পরে জানতে পারেন, জেলখানায় আছে। দীর্ঘ অপেক্ষার পর কোস্টগার্ড তাঁদের উদ্ধার করেছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৩২ জ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ধামগড় ইউনিয়ন ৪টি ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন
বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন ৩, ৪, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন এবং ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার যৌথভাবে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এই চারটি ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেন।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন বলেন, আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পক্ষে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার লক্ষ্যে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১৫দিনের মধ্যে সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
আর ধামগড় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকায় আমি ও বন্দর উপজেলার সভাপতি এবং ধামগড় ইউনিয়নের সভাপতি যৌথভাবে স্বাক্ষর করে এই কমিটি অনুমোদন করে দিয়েছি