রপ্তানিমুখী এফডিআই বাড়াতে কাজ করতে হবে: নাহিয়ান রহমান
Published: 10th, December 2025 GMT
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী সদস্য নাহিয়ান রহমান বলেছেন, বাংলাদেশের প্রতিযোগী দেশ ভিয়েতনামে যে বিপুল পরিমাণ প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ (এফডিআই) এসেছে, তার বেশির ভাগই রপ্তানিমুখী শিল্প খাতে গেছে। ফলে দেশটির রপ্তানি খাত বড় হয়েছে। বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের উন্নয়নেও ভিয়েতনামের এই এফডিআই মডেলের অভিজ্ঞতা কাজে লাগানো যেতে পারে।
নাহিয়ান রহমান বলেন, ভিয়েতনামে যাওয়া প্রযুক্তি কোম্পানি এনভিডিয়া, ইন্টেলসহ বড় এফডিআই প্রকল্পগুলো রপ্তানিনির্ভর। অর্থাৎ এসব প্রতিষ্ঠানের পণ্য ভিয়েতনামে উৎপাদিত হয়ে অন্যান্য দেশে রপ্তানি হচ্ছে। বিনিয়োগের পাশাপাশি দক্ষতা স্থানান্তর ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে দেশটির শিল্প খাতে সক্ষমতা বেড়েছে।
আজ বুধবার ঢাকার কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত ‘রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ: চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন নাহিয়ান রহমান। গোলটেবিল বৈঠকটির আয়োজন করে প্রথম আলো, সহযোগিতায় ছিল প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হাসান আরিফ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রূপালী চৌধুরী, রেনাটার এমডি সৈয়দ এস কায়সার কবির, প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের চেয়ারম্যান ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আহসান খান চৌধুরী, এইচএসবিসি বাংলাদেশের সিইও মাহবুব উর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য সায়েমা হক বিদিশা, এলএফএমইএবির সহসভাপতি মো.
বিডার নির্বাহী সদস্য নাহিয়ান রহমান বলেন, বাংলাদেশে ১৯৮০ সালের দিকে তৈরি পোশাক খাতে অংশীদারত্বের ভিত্তিতে কিছু রপ্তানিমুখী বিদেশি বিনিয়োগ এসেছিল। এর মাধ্যমে দক্ষতা ও সক্ষমতা বাড়ে, যা পরে দেশের প্রধান রপ্তানি খাতে পরিণত হয়। অন্যান্য খাতেও এভাবে রপ্তানিমুখী বিনিয়োগ অংশীদারত্ব তৈরি করা যেতে পারে।
নাহিয়ান রহমান বলেন, বর্তমান ‘ট্যারিফ ফোবিয়ার’ সময়ে রপ্তানি বৈচিত্র্যকরণ অপরিহার্য। রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করতে হলে তৈরি পোশাক ছাড়াও অন্যান্য খাত থেকে অন্তত ২০ বিলিয়ন ডলারের রপ্তানি আয় আসতে হবে। সে লক্ষ্য অর্জনে তৈরি পোশাকের বাইরের খাতগুলোতে প্রবৃদ্ধি আড়াই গুণ বাড়াতে হবে।
বিডার এই নির্বাহী সদস্য আরও বলেন, একটি ছোট অর্থনীতিতে প্রাথমিকভাবে এক-দুটি খাতে বেশি নজর দেওয়া স্বাভাবিক। যেমন ষাট–সত্তরের দশকে কোরিয়ার তৈরি পোশাক ছিল প্রধান রপ্তানি খাত। পরে তারা অন্যান্য খাতে বিস্তার ঘটিয়েছে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও সঠিক খাত চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী প্রাধান্য দেওয়াই মূল চ্যালেঞ্জ।
ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে বিডা নিয়মিত কাজ করছে জানিয়ে নাহিয়ান রহমান বলেন, দেশের রপ্তানি খাতের সম্ভাবনাময় শীর্ষ খাতগুলো চিহ্নিত করতে ব্যবসায়ীদের মতামত নিয়েছে বিডা। বিনিয়োগ, দক্ষতা স্থানান্তর ও রপ্তানি সম্ভাবনার আলোকে আটটি খাত নিয়ে একটি হিটম্যাপও তৈরি করা হয়েছে। বিডায় আটটি খাতের জন্য আলাদা ডেস্ক আছে। ব্যবসায়ীরা এসব খাতের বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও প্রয়োজনীয় তথ্য বিডা থেকে জানতে পারবেন। সরকারও এসব খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে নীতি নির্ধারণ করতে পারে।
নাহিয়ান রহমান আরও বলেন, ‘নন-ট্যারিফ ব্যারিয়ার’ (অশুল্ক বাধা) দূর করতে ব্যবসায়ীদের সরাসরি সহযোগিতা প্রয়োজন। বিডা নিয়মিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়-দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করছে। ব্যবসায়ীরা সুনির্দিষ্টভাবে সমস্যা, তথ্য ও উদাহরণ দিলে সরকার সহজেই প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে পারবে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ন হ য় ন রহম ন অন য ন য ব যবস য়
এছাড়াও পড়ুন:
ধামগড় ইউনিয়ন ৪টি ওয়ার্ড বিএনপির পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন
বন্দর উপজেলা বিএনপির আওতাধীন ধামগড় ইউনিয়ন ৩, ৪, ৭ ও ৯নং ওয়ার্ড বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন করা হয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ ও সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন এবং ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জাহিদ খন্দকার যৌথভাবে ১৭ সদস্যবিশিষ্ট এই চারটি ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেন।
বন্দর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হারুন উর রশিদ লিটন বলেন, আসন্ন এয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সামনে রেখে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী পক্ষে ঐক্যবদ্ধ কাজ করার লক্ষ্যে ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ড বিএনপি কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই কমিটির নেতৃবৃন্দ সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধানের শীষের প্রার্থীকে বিজয়ী করতে কাজ করবে।
তিনি আরও বলেন, মহানগর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল ১৫দিনের মধ্যে সকল ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কমিটি গঠন করার জন্য। সেই ধারাবাহিকতায় আমরা ধামগড় ইউনিয়ন বিএনপির চারটি ওয়ার্ডের কমিটি গঠন করে দিয়েছি।
আর ধামগড় ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনুপস্থিত থাকায় আমি ও বন্দর উপজেলার সভাপতি এবং ধামগড় ইউনিয়নের সভাপতি যৌথভাবে স্বাক্ষর করে এই কমিটি অনুমোদন করে দিয়েছি