ভালোবাসা দিয়ে পথ দেখালে তরুণেরা পথ হারাবে না
Published: 10th, December 2025 GMT
দৃঢ় মনোবল আর প্রচেষ্টা থাকলে কোনো বাধা পেরোনোই কঠিন নয়। দরকার ইচ্ছাশক্তি, আত্মবিশ্বাস আর কঠোর পরিশ্রম। আমাদের আশপাশে এমন অনেকেই আছেন, যাঁরা বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও নিজেদের জীবনগাথায় লিখে চলেছেন অদম্য জয়ের গল্প। তাঁদের সেই সাফল্য ব্যক্তিগত অর্জনের সীমানা পেরিয়ে সমাজের নানাবিধ প্রতিবন্ধকতাকেও চ্যালেঞ্জ করেছে। তেমনই কয়েকজনের গল্প নিয়ে ধারাবাহিক এ আয়োজন। আজ জানব রংপুর সদরের খলেয়া ইউনিয়নের দেওরা গ্রামের বানিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা শাজিম ইসলামের জীবন-গল্প। (শুরুতেই একসার্পট আকারে যাবে)
রংপুর সদরের খলেয়া ইউনিয়নের অন্তর্গত গ্রাম দেওরা। এই গ্রামের বানিয়াপাড়ায় এক সাধারণ পরিবারে আমার জন্ম। আমি শাজিম ইসলাম। আমার তারুণ্য ছিল অন্ধকারে ঢাকা। ২০ বছর বয়সে সঙ্গদোষে নেশার কবলে পড়ি। নেশার ঘোরে চারপাশের সবাইকে তুচ্ছ ভাবতাম, অবহেলা করতাম। বিশেষ করে আমার বয়সী কারও সঙ্গে বনিবনা হতো না। সব সময় মেজাজ খিটখিটে থাকত। সবার সঙ্গে ঝগড়া-বিবাদ করতাম। রগচটা আর বদমেজাজের কারণে সবাই আমাকে ভয় পেত। পরিচিতরা এড়িয়ে চলায় নিজেকে খুব বদ্ধ জগতের মানুষ মনে হতো। এই জগৎ থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজে পাচ্ছিলাম না।
নেশায় আসক্ত থাকায় লেখাপড়াও বেশি দূর এগোতে পারিনি। পরিবারের কেউ আমার ওপর ভরসা করতে পারত না। ঘরে-বাইরে মানুষের এত অসম্মান আমাকে অনেক পীড়া দিচ্ছিল। তখন লক্ষ করলাম, আমার স্বভাবের কারণে অনেকেই কটু কথা বললেও অন্ধকার থেকে আলোতে আনার পথ দেখাত না। আর নেশার ঘোরে আমার রাত-দিন পার হতে থাকে।
এর মধ্যে আমার ছোট বোনের বিয়ে হয়, যদিও তার বয়স কম ছিল। পরিবারের সবাই ভেবেছিল বোন অনেক সুখী হবে। কিন্তু তা হলো না। তার কষ্ট দেখে আমার উপলব্ধি হয়, অধিকাংশ পুরুষ নারীদের মর্যাদা দেয় না। নারীর জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলে। বোনের সংসারজীবনের কষ্ট আমাকে ভাবনায় ফেলে।
নিজেকে বদলানোর সুযোগ খুঁজি। একদিন খবর পাই আমাদের গ্রামে ব্র্যাকের একটি প্রকল্প আছে, যেখানে আমার বয়সী ছেলেমেয়েরা যায়। নিয়মিত বৈঠক করে। ‘অধিকার এখানে, এখনই’ (আরএইচআরএন) নামে তরুণদের গ্রুপে লিঙ্গসমতা, অধিকার আর আবেগ বা রাগ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কথা বলা হয়।
প্রথমে এ ধরনের প্রকল্পের কথা শুনে হাসতাম। বন্ধুদের সঙ্গে হাসি-তামাশাও করেছি। তবে একদিন কৌতূহলবশত আরএইচআরএনের ওই সেশনে যাই। এরপর মনে হলো, অন্ধকারে বসবাস করা আমি আলোর দেখা পেয়েছি। বৈঠকগুলোতে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করলাম। বুঝলাম, আমি ভালোবাসা আর সম্মানের কাঙাল ছিলাম। তাদের কথা শুনে ভেতরে ভেতরে পরিবর্তন আসতে শুরু করে। নতুন করে অন্ধকার থেকে আলোর পথের দিশা পাই।
সেই প্রকল্প থেকে ইলেকট্রিক্যাল আর হাউস ওয়্যারিংবিষয়ক প্রশিক্ষণ নিই। এরপর আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিভিন্ন বাসাবাড়ি এবং নির্মাণাধীন ভবনে কাজ শুরু করি। যেকোনো ইলেকট্রিক্যাল কাজের সমাধান করতে শিখি। ফ্যান, মোটর, রাইস কুকার মেরামত কিংবা ওয়্যারিং কাজে আমার দক্ষতার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। আমার ব্যবহারেও অনেক পরিবর্তন আসে। মানুষকে সম্মান আর সমীহ করে কথা বলতে শিখি। বিনিময়ে হারানো ভালোবাসা আর সম্মান ফিরে পাই।
বৈদ্যুতিক কাজের প্রশিক্ষণ নিয়ে মূলধারায় ফেরেন শাজিম। ধীরে ধীরে হারানো সম্মান ও ভালোবাসার দেখা পান.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: র বয়স
এছাড়াও পড়ুন:
দীর্ঘ বিরতির পর কেন এই জরিপ
রাষ্ট্র, সরকার ও দেশের রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে প্রথম আলোর জনমত জরিপ আবার ফিরে এল। প্রথম আলোর উদ্যোগে এ ধরনের সর্বশেষ জনমত জরিপটি পরিচালনা করা হয়েছিল ২০১৩ সালে। মাঝখানের ১২ বছরে পদ্মা দিয়ে বিপুল পানি প্রবাহিত হয়েছে। এ সময়টাতে দেশ কী অবস্থার মধ্যে ছিল, গত বছরের জুলাই গণ–অভ্যুত্থান তার রোমহর্ষক ছবি আমাদের দেখিয়ে দিয়ে গেছে। দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতিতে জনমত জরিপের এই দীর্ঘ বিরতির কারণ নিয়ে আমরা কিছুটা পরে আবার ফিরে আসছি।
দেশের মানুষই গণমাধ্যমের শেষ গন্তব্য। সে কারণে জনমতকে বোঝার চেষ্টা করা এবং পাঠকের কাছে মানুষের মনোভাব তুলে ধরার কাজটি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই প্রথম আলো গুরুত্বের সঙ্গে গ্রহণ করেছিল। প্রথম আলো প্রথম প্রকাশিত হয়েছিল ১৯৯৮ সালের নভেম্বর মাসে। ঠিক পরের বছর, অর্থাৎ ১৯৯৯ সাল থেকেই আমরা নিয়মিত পাঠকের জনমত জরিপ প্রকাশ করতে শুরু করি। জরিপের বিষয় হতো সাম্প্রতিক রাজনীতি বা জীবনযাত্রা। তাতে অংশ নিতেন পাঠকেরা। জরিপে তাঁরা বেশ ভালো সাড়া দিতেন। কোনো মেথডোলজি বা গবেষণাপ্রক্রিয়া মেনে কিংবা তৃতীয় কোনো বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে যে সেসব জরিপ পরিচালনা করা হতো, তা নয়। তবে স্বতঃস্ফূর্ত সেসব জরিপ থেকে চারপাশের পরিস্থিতি নিয়ে জনমনের সাধারণ ধারণার প্রতিফলন পাওয়া যেত। মাঝেমধ্যে ছেদ পড়লেও ২০০৭ সাল পর্যন্ত এ ধরনের পাঠকমত জরিপ অব্যাহত থাকে।
২০০৮ সাল থেকে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে আমরা আরও ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণে, যথাযথ প্রক্রিয়া মেনে এবং অভিজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে জনমত পরিচালনার পরিকল্পনা করি। দেশের মানুষ কেমন আছেন, রাজনীতি–অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে তাঁরা কী ভাবছেন, সরকারের কাছে কোন বিষয়ে কী প্রত্যাশা করছেন—ওই বছর থেকে পাঠকের সামনে সেসব বিস্তৃতভাবে তুলে ধরার যাত্রা শুরু হলো। সেই থেকে সূচনা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে প্রতিবছর এ জরিপ চলেছে। ২০১৩ সাল পর্যন্ত আর কোনো বিরতি পড়েনি। সেগুলো পরিচালনা করেছিল পেশাদার জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ওআরজি কোয়েস্ট।
এরপর দীর্ঘ বিরতির ইতিহাস। এ বিরতির রাজনৈতিক কারণ পাঠক আন্দাজ করছেন নিশ্চয়ই। তবু সে প্রসঙ্গে আসার আগে কিংবা তাতে প্রবেশের জন্য প্রথম আলোর সেসব জরিপের কিছু তথ্য প্রথমে ভাগ করে নেওয়া যাক।
কোন কোন বিষয়ে দেশের মানুষের মনোভাব কী রকমভাবে পাল্টে যাচ্ছে, সেটা বোঝার জন্য প্রতিবছরের জরিপে বেশ কিছু একই ধরনের প্রশ্ন রাখা হতো। তার একটি ছিল—দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর কোনটিকে মানুষ কী রকম সমর্থন দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি (এরশাদ) ইত্যাদি রাজনৈতিক দলকে সামনে রেখে উত্তরদাতাদের কাছে জানতে চাওয়া হতো, এখনই যদি নির্বাচন হয়, তাহলে তাঁরা কাকে ভোট দেবেন। প্রথম আলোর জরিপ থেকে দেখা যাচ্ছে ২০০৯, ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালে আওয়ামী লীগের প্রতি মানুষের সমর্থন যথাক্রমে ৫৬, ৪৬, ৩৮ ও ৩৫ শতাংশ। অর্থাৎ দলটির জনপ্রিয়তার রেখা ক্রমশ নিম্নগামী হচ্ছে। বিপরীতে বিএনপির ক্ষেত্রে এই রেখা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী—যথাক্রমে ২৫, ৩৯, ৪৩ ও ৪৪ শতাংশ। শেষ দিকের বছরগুলোয় এসে যে বিএনপির জনপ্রিয়তা আওয়ামী লীগকে ছাপিয়ে গেছে, সেটাও লক্ষ করার মতো।
আগের বছরের নভেম্বরে পরিচালিত সর্বশেষ জরিপের ভিত্তিতে ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি যে প্রধান প্রতিবেদনটি প্রথম আলোয় প্রকাশিত হয়, তার শিরোনাম ছিল ‘সরকারের জনপ্রিয়তা কমেছে’। বলা বাহুল্য, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তখন সরকারে ছিল আওয়ামী লীগ।
সেই জরিপ নিয়ে প্রথম আলোয় লিখেছিলাম, ‘সরকার কোনো কোনো সূচকে গত চার বছরে ক্রমাগত খারাপ করেছে। এ ক্ষেত্রে বিশেষ করে বলতে হয় রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর কথা। মানুষ মনে করেছে, এ সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিচার বিভাগ বা দুর্নীতি দমন কমিশনের মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিস্থিতি উন্নত হয়নি। দেশ ভুল পথে চলেছে, এ ধারণা ক্রমশ বেড়েছে। মানুষের মনে এমন ধারণাও ধীরে ধীরে বেড়েছে যে দুর্নীতিরও আরও বিস্তার ঘটেছে। তারা মনে করেছে, আওয়ামী লীগ ও তার বিভিন্ন সংগঠন বছরে বছরে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে, তাদের নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। পদ্মা সেতু ও মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে সরকার মানুষের সমর্থন পায়নি।’
কিন্তু পরিস্থিতি আরও দুর্বিষহ হয়ে পড়তে লাগল। ১৯৯০ সালের গণ–আন্দোলন দেশে গণতন্ত্রের যে পুনরুদ্ধার ঘটিয়েছিল, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সে পাশা পুরোপুরি উল্টে দেয়। শেখ হাসিনা একটি বিতর্কিত নির্বাচনের আয়োজন করেন। বিএনপি বর্জন করে সেই নির্বাচন। ১৫৩টি আসনেই নির্বাচন হয় কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়া, আওয়ামী লীগ যার বিপুল অংশ হস্তগত করে। শেখ হাসিনার হাতে সেদিন বাংলাদেশের গণতন্ত্র আবার শোচনীয়ভাবে অস্তমিত হলো।
এরপর শুরু হলো শেখ হাসিনার ক্রমাগত নিজের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত করার পালা। সেই পথে প্রথম কুঠারাঘাত পড়ল বাক্স্বাধীনতার ওপর। আইনি ও বেআইনি নানা উপায়ে স্বাধীন মত বা ভিন্নমতকে নিষ্ঠুরভাবে দমন করা শুরু হলো। গুম ও বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড দেশজুড়ে এক আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করল। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমগুলোকে নানাভাবে হেনস্তা করা হলো, রাখা হলো তীব্র চাপে। বাংলাদেশ হয়ে উঠল ত্রাসের রাজ্য। কোনো প্রতিষ্ঠানের পক্ষে আর রাজনৈতিক জরিপ করার সাহস হয়নি। এ রকম স্বৈরতান্ত্রিক পরিবেশে রাজনৈতিক বিষয়ে জরিপ পরিচালনা করা অত্যন্ত দুরূহ হয়ে পড়ে।
তবে রাজনৈতিক বিষয়ের বাইরে প্রথম আলো জরিপ অব্যাহত রাখল অন্য নানা বিষয়ে। এর মধ্যে বিশেষ করে উল্লেখ করতে হয় প্রথম আলোর তারুণ্য জরিপের কথা। তরুণদের সমস্যা ও সংকট বা প্রত্যাশা ও প্রবণতা বুঝতে ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয় সেই জরিপ। কোভিডের প্রাদুর্ভাবে ২০২০ সালে জরিপটি বাধাগ্রস্ত হয়। আয়রোজগার নিয়ে হতাশা, ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা ইত্যাদি দেশের বাস্তব নানা পরিস্থিতি নিয়ে তারুণ্য জরিপগুলোয়ও তরুণ–তরুণীদের মধ্যে তীব্র হতাশার প্রতিফলন লক্ষ করা গেছে। সরকার সেসব বিষয়ে ভ্রুক্ষেপ করেছে সামান্যই। তরুণদের সেই পুঞ্জীভূত হতাশার বিস্ফোরণ আমরা গত বছর দেখতে পেলাম।
২০২৪ সালের ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর এখন নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। দেশ একটি নতুন সংযোগস্থলে। অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে অভিষিক্ত অন্তর্বর্তী সরকার প্রায় দেড় বছরের কাছাকাছি সময় ধরে রাষ্ট্র পরিচালনা করেছে। সামনের সম্ভাব্য নির্বাচনের পর নতুন রাজনৈতিক সরকার শাসনভার গ্রহণ করবে। দেশবাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য। তাঁদের রাজনৈতিক–অর্থনৈতিক পর্যালোচনা ও অভিপ্রায় বোঝার জন্য সম্ভবত এটিই উত্তম একটি পরিস্থিতি। আমাদের এবারের জনমত জরিপটি পরিচালনা করেছে পেশাদার জরিপ পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান কি–মেকারস।
প্রথম আলোর এ জরিপের বিষয় অন্তর্বর্তী সরকারের কাজের মূল্যায়ন, বর্তমান জনজীবনের পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন এবং সামনের নির্বাচিত সরকারের কাছে মানুষের প্রত্যাশা।
যুক্তরাজ্যের একসময়কার প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন ডিজরায়েলির সেই উক্তি তো এখন প্রবচনে পরিণত হয়েছে, ‘মিথ্যা তিন প্রকার: মিথ্যা, ডাহা মিথ্যা আর পরিসংখ্যান।’ কোনো বিষয়ে গণভোটের মাধ্যমেই কেবল চূড়ান্ত সত্য জানা সম্ভব, এ কথা সত্য; কিন্তু সব বিষয়ে গণভোট করা অসম্ভব। সেটি ব্যাপক ব্যয় ও সময়সাপেক্ষ। তাই বিশ্বব্যাপী সবাই পরিসংখ্যানের ওপরই নির্ভর করেন। কারণ, পরিসংখ্যান সত্যের আভাস দেয়। যথাযথ জরিপ দেয় সত্যের জোরালো আভাস। নোবেলজয়ী আইরিশ লেখক জর্জ বার্নার্ড শ বলেছিলেন, ‘পরিসংখ্যান দেখে বিচলিত হওয়া প্রকৃত বুদ্ধিমান ব্যক্তির লক্ষণ।’
আমরা আশা করব, আমাদের বর্তমান ও আসন্ন সরকার দেশবাসীর মতামতের প্রতি সাড়া দিয়ে সে লক্ষণ দেখাবে।