রাজধানীর রমনা পার্কে ‘ভালোবাসি রমনা: প্রাণ ও প্রকৃতির গল্প’ শিরোনামে আলোকচিত্রী ও শ্রমিক-নারী আন্দোলনের সংগঠক তাসলিমা আখতারের আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। গতকাল বুধবার সকাল আটটায় পার্কের শকুন্তলা চত্বরের সামনে ৫৫টি ছবির এই প্রদর্শনীর উদ্বোধন করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক তানজিম ওয়াহাব, দৃক পিকচার লাইব্রেরির ব্যবস্থাপক ও কিউরেটর এ এস এম রেজাউর রহমান, আন্তর্জাতিক দৌড়বিদ খবীর উদ্দীন খান, পার্কের মহিলাঙ্গনের সংগঠক ও শরীরচর্চা পরিচালক কোহিনূর হক এবং পার্কে নিয়মিত আসা মানুষেরা।

তাসলিমা আখতার প্রথম আলোকে বলেন, ‘প্রায় ১০ বছর ধরে আমি পার্কে হাঁটছি। রমনা পার্কে বহু মানুষের মিলনমেলা হয়। শুধু মানুষ নয়, গাছপালা, পশুপাখি, কাঠবিড়ালি, শালিক, কদম ফুল সমস্ত কিছুর একটা সংমিশ্রণ আমরা এখানে পাই। একই সঙ্গে এখানে নারীদের অংশগ্রহণ আমাকে বিশেষভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।’

রমনা পার্কের গাছের ফাঁকে রাখা হয়েছে প্রদর্শনীর ছবিগুলো.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দর বিদেশিদের হাতে দেওয়ার উদ্যোগের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা মিছিল

চট্টগ্রাম বন্দরে বিদেশিদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পতাকা মিছিল করেছে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামের একটি সংগঠন। বুধবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশ করে সংগঠনটি। পরে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে মিছিল নিয়ে রাজু ভাস্কর্য থেকে শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে যান সংগঠনের নেতা–কর্মীরা।

প্রতিবাদ সমাবেশে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টির’ আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, বাংলাদেশে এমন কোনো সেক্টর নেই, যেটা দুর্নীতিমুক্ত। তাহলে শুধু চট্টগ্রাম বন্দরের কথা কেন বলা হবে? চট্টগ্রাম বন্দরে যদি দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও সিন্ডিকেট থাকে, সেটা বন্ধে সরকারকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্নীতির কথা বলে চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশিদের হাতে দেওয়ার মানে হলো বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া।

জিয়াউল হক আরও বলেন, আজকে যদি কোনো ভারতীয় বা ইসরায়েলি পরিচালনা প্রতিষ্ঠানকে এ বন্দর দেওয়া হতো, তবে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতেন। কিন্তু যে ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে চুক্তি করা হয়েছে, তার সঙ্গে ভারত ও ইসরায়েলের একাধিক চুক্তি আছে।

এ সময় তিনি সরকারের কাছে তিনটি দাবি তুলে ধরেন। এগুলো হলো ডিপি ওয়ার্ল্ডের সঙ্গে নিউ মুরিং টার্মিনালের ইজারাপ্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে, এপিএম টার্মিনালস ও মেডলগের সঙ্গে লালদিয়া চর ও পানগাঁও টার্মিনাল চুক্তি বাতিল করতে হবে এবং বন্দর বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে। অর্থাৎ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক সমুদ্রবন্দরের পাশাপাশি প্রচুর নদীবন্দর তৈরির উদ্যোগ নিতে হবে।

সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক মহিউদ্দিন রাহাত, দপ্তর সম্পাদক সাইফুল ইসলামসহ অন্য নেত–কর্মীরা।

সম্পর্কিত নিবন্ধ