আগেও যেসব দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল
Published: 11th, May 2025 GMT
অন্তর্বর্তী সরকার গতকাল শনিবার আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক দল এবং সংগঠনকে নিষিদ্ধ করা হয়। তবে এবারই প্রথম কোনো দলকে নিষিদ্ধ না করে, তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করে দখলদার পাকিস্তান সরকার। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকার জামায়াতে ইসলামী, মুসলিম লীগের তিনটি অংশ, পিডিপিসহ স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী এবং সব ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে।
১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগসহ সব রাজনৈতিক দল বিলুপ্ত করে একদলীয় শাসন চালু করেন শেখ মুজিব। গঠন করেন বাকশাল।
পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের পর বাকশালের কার্যক্রমসহ সব রাজনৈতিক তৎপরতা বন্ধ করা হয় সামরিক আইনে।
রাষ্ট্রপতি আবু সাদাত মো.
এর আগে ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময় জামায়াতসহ নিষিদ্ধ সব দল রাজনীতিতে ফেরার সুযোগ পায়। তবে সে বছরই ভোটের রাজনীতিতে ফিরতে পারেনি। জামায়াত নেতারা ইসলামিক ডেমোক্রেটিক লীগ (আইডিএল) নামের একটি দলের প্রতীকে নির্বাচনে অংশ নেন।
২০১৩ সালে আওয়ামী লীগের শাসনামলে হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল করেন। গত বছর আওয়ামী লীগ সরকার জামায়াত ও ছাত্রশিবিরিকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর গঠিত ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার গত আগস্টে এ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।
১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে পূর্ববাংলার সর্বহারা পার্টি (পিবিএসপি) ও পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টি (পিবিসিপি) নিষিদ্ধ করা হয়। দুটি বামপন্থি মাওবাদী সংগঠন এখনও নিষিদ্ধ।
এ ছাড়া ২০০৫ সালে দেশজুড়ে বোমা হামলার পর জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশকে (জেএমবি) সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০০৯ সালে হিযবুত তাহ্রীর নিষিদ্ধ হয়। সবশেষ গত বছরের ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে নিষিদ্ধ করা হয়।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ন ষ দ ধ কর র জন ত ক সরক র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
বিশ্বের বড় ১০ লৌহখনির ৮টিই অস্ট্রেলিয়াতে
ছবি: বিএইচপির ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া