চট্টগ্রামে আ.লীগ নেত্রী জিনাত সোহানা গ্রেপ্তার
Published: 13th, May 2025 GMT
চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ এলাকার একটি বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বায়েজিদ থানার ওসি মো. আরিফুর রহমান জানিয়েছেন, জিনাত সোহানা গত বছরের ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় করা কোতোয়ালী থানা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।
ওই মামলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ ও ইসকনের ২৯ জন নেতার নাম রয়েছে। আরও ৪০–৫০ জন অজ্ঞাতনামাকেও আসামি করা হয়েছে।
জিনাত সোহানা সাবেক সিডিএ সদস্য, ফারমিন গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম চেম্বার ও বিজিএমইএ’রও সাবেক সদস্য। তার স্বামী মোহাম্মদ ইমরান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি।
গ্রেপ্তারের পর তাকে কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আইনগত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ঢাকা/এস
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল