কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবি
Published: 17th, May 2025 GMT
কোরবানির পশুর চামড়ার ন্যায্যমূল্য নির্ধারণের দাবি জানিয়েছে চামড়া শিল্প রক্ষা কমিটি। শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে মতবিনিময় সভায় এ দাবি জানানো হয়।
সভায় মাওলানা আফজাল হোসেন বলেন, কোরবানির চামড়া ব্যবসা খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। কিন্তু চামড়ার ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় চামড়ার শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ন্যায্যমূল্য নির্ধারণ করে এ শিল্পকে বাঁচিতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
চামড়া শিল্প রক্ষা কমিটির সদস্য আ ফ ম আকরাম হোসেন বলেন, কোরবানির পশুর চামড়া বাংলাদেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আগে প্রতিটি কোরবানির চামড়া ছিল সাড়ে তিন থেকে চার হাজার টাকা। ধীরে ধীরে বিশেষ করে ১৫ থেকে ১৬ বছরে পরিকল্পিতভাবে চামড়ার দাম কমিয়ে আনা হয়েছে। যে চামড়া ২০০০ সালে ছিল পাঁচ হাজার টাকা, তার মূল্য এখন আড়াইশ’ থেকে তিনশ’ টাকা। যেকোনো মূল্যে এই জায়গা থেকে উত্তরণ ঘটাতে হবে।
সভায় বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তি চামড়া শিল্পকে উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারকে আন্তরিক ভূমিকা পালন করতে হবে। অন্যথায় চামড়া শিল্প রক্ষা কমিটি কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে।
কমিটির সভাপতি মুফতি আব্দুল্লাহ ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুফতি আব্দুল কাইয়ুম সুবহানী, মাওলানা মহিউদ্দীন রব্বানী, আতিকুর রহমান আতিকী, মুফতি সুলতান মাহমুদ, ড.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক রব ন র
এছাড়াও পড়ুন:
রায়েদ সাদকে হত্যা যুদ্ধবিরতির স্পষ্ট লঙ্ঘন: হামাস
গাজা নগরীতে ইসরায়েলের হামলায় দলের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদ নিহত হওয়ার খবর নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস। এর আগে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী এক বিবৃতিতে গতকাল শনিবার হামাসের এই নেতাকে হত্যার দাবি করেছিল।
শনিবারের ওই হামলায় ৫ জন নিহত এবং অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।
হামাস এ হামলার বিষয়ে বিবৃতি দিলেও প্রথমে রায়েদ সাদ নিহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তখন হামাস বলেছিল, গাজা নগরের বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে হামলা হয়েছে। এই হামলা অক্টোবর থেকে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
পরে আজ রোববার এক ভিডিও বার্তায় হামাসের গাজাপ্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, গাজায় ইসরায়েলের হামলায় নিহত পাঁচজনের মধ্যে রায়েদ সাদও রয়েছেন।
খলিল আল-হাইয়া বলেন, ‘ইসরায়েল বারবার যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে যাচ্ছে, যার সর্বশেষ সংযোজন হামাস কমান্ডারকে (রায়েদ সাদ) হত্যা। গতকালই এ ঘটনা ঘটেছে। এই প্রেক্ষাপটে আমরা সব মধ্যস্থতাকারী এবং বিশেষ করে চুক্তির প্রধান নিশ্চয়তাদাতা হিসেবে মার্কিন প্রশাসন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানাই, তাঁরা যেন ইসরায়েলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি সম্মান করতে ও তা মেনে চলতে বাধ্য করেন।’
রায়েদ সাদ হত্যাকাণ্ড অক্টোবরে গাজায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতাকে হত্যার প্রথম ঘটনা।এর আগে টেলিগ্রামে এক পোস্টে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছিল, ওই কমান্ডার (রায়েদ সাদ) হামাসের সক্ষমতা পুনর্গঠনে কাজ করছিলেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজা থেকে ইসরায়েলে হামাসের হামলা পরিকল্পনাকারীদের একজন ছিলেন তিনি।
আরও পড়ুনজ্যেষ্ঠ হামাস নেতা রায়েদ সাদকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের১৭ ঘণ্টা আগেরায়েদ সাদ হত্যাকাণ্ড অক্টোবরে গাজায় একটি ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর হামাসের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতাকে হত্যার প্রথম ঘটনা।
একজন ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, রায়েদ সাদকে লক্ষ্য করেই এ হামলা চালানো হয়েছিল। তিনি রায়েদ সাদকে হামাসের অস্ত্র তৈরি শাখার প্রধান বলে দাবি করেন।
হামাস সূত্র রায়েদ সাদকে হামাসের সশস্ত্র শাখা কাসাম ব্রিগেডের সেকেন্ড ইন কমান্ড তথা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কর্মকর্তা বলে জানিয়েছে। এই সূত্রগুলো বলেছে, সাদ আগে হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন। হামাসের সবচেয়ে বড় ও অস্ত্রসজ্জিত ব্যাটালিয়নের একটি এটি।
অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামেনি। অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর ইসরায়েলের প্রায় ৮০০ বার গাজায় হামলা চালিয়ে কমপক্ষে ৩৮৬ ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে
আরও পড়ুনগাজার ‘হলুদ রেখা’ থেকে সরবে না সেনা, এটিই নতুন সীমান্ত: ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান০৯ ডিসেম্বর ২০২৫