লরেন্স বিষ্ণোই বলিউড অভিনেতা সালমান খানকে একাধিকবার প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। কেবল তাই নয়, তার বাড়ি লক্ষ্য করে গুলিও ছুঁড়েছে। ফলে জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে কঠিন সময় পার করছেন সালমান খান ও তার পরিবার।

মুম্বাইয়ের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টে পরিবার নিয়ে বসবাস করেন বলিউড অভিনেতা সালমান খান। নিরাপত্তা ব্যবস্থার চোখ ফাঁকি দিয়ে সেখানে ঢুকে পড়েন এক যুবক ও যুবতী। শুধু তাই নয়, তারা আলাদা সময়ে লিফট পর্যন্ত পৌঁছে যান।     

পুলিশের একটি সূত্র ইন্ডিয়া টুডে-কে বলেন, “গত ২০ মে সালমান খানের বাড়িতে প্রবেশ করেন এক ব্যক্তি। ২৩ বছর বয়সি ওই যুবকের নাম জিতেন্দ্র সিং। ছত্রিশগড়ের ওই ব্যক্তি সালমানের সঙ্গে দেখা করতে বাড়িতে প্রবেশ করেন। তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।” 

আরো পড়ুন:

বোমা মেরে সালমানের গাড়ি উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি

সালমানের যত ফ্লপ-ব্লকবাস্টার সিনেমা

ইশা ছাবরা নামে এক নারীও সালমানের বাড়িতে প্রবেশ করেন। তা জানিয়ে পুলিশের সূত্রটি বলেন, “দ্বিতীয় মামলা দায়ের হয়েছে ছাবরা নামে এক যুবতীর বিরুদ্ধে। গত ২১ মে ৩৬ বছরের ওই নারী সালমানের ভবনে প্রবেশ করেন। তাদের দুজনকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এখন তদন্ত চলছে।” 

গত ২০ মে, রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে জিতেন্দ্রকে দেখে থামায় সালমান খানের গ্যালাক্সির বাড়িতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার। পুলিশ অফিসার জিতেন্দ্রকে ভবন থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন, তারপর তিনি তার ফোনটি মাটিতে ছুঁড়ে ভেঙে ফেলেন। একই ব্যক্তি সন্ধ্যার পর ভবনের একজন বাসিন্দার ব্যবহৃত গাড়িতে লুকিয়ে ফের প্রবেশ করেন। সন্ধ্যা ৭টা ১৫ মিনিটে জিতেন্দ্রকে ধরে ফেলেন পুলিশের এক কনস্টেবল। পরে বান্দ্রা থানা পুলিশের কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়। 

থানা পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে জিতেন্দ্র সিং বলেন, “আমি সালমান খানের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পুলিশ আমাকে দেখা করতে দেয়নি। যার কারণে আমি লুকিয়ে প্রবেশ করতে চেয়েছিলাম।” জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে ৩২৯ (১) ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে।

সালমানের বাড়িতে দুই ব্যক্তির প্রবেশের খবর প্রকাশ্যে আসার পর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন তার ভক্ত-অনুরাগীরা।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ