২০০৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রাখার কিছুদিনের মধ্যেই বল হাতে আলোড়ন তুলেছিলেন মোহাম্মদ আমির। তাঁকে পাকিস্তান ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ মহাতারকা ভাবা হচ্ছিল। কিন্তু ২০২৫ সালে এসে আমিরের ক্যারিয়ারের দিকে ফিরে তাকালে মনে হবে, প্রত্যাশার সিকিভাগও পূরণ করতে পারেননি তিনি।

এর কারণও অনেক। স্পট ফিক্সিংয়ে জড়ানো, নিষিদ্ধ হওয়া এবং জেল খাটা—এসবের জন্য আমির নিজেই দায়ী। কিন্তু ‘শাপমুক্ত’ হয়ে ফেরার পর দারুণ কিছুর আভাস দিলেও পাকিস্তান জাতীয় দলে তাঁর ক্যারিয়ার আর সেভাবে এগোয়নি। অবসরের ঘোষণা, অবসর ভেঙে ফেরা এবং আবারও অবসর—আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমিরের শেষ অধ্যায় এভাবেই মনে রাখবেন সবাই।

কিন্তু পাকিস্তানের জার্সি আগেভাগেই তুলে রাখার কারণ জানাতে গিয়ে আমির নির্দিষ্টভাবে একজনের দিকে আঙুল তুলেছেন।

ওয়াকার ইউনুস (ডানে) যখন পাকিস্তান জাতীয় দলের কোচ এবং মোহাম্মদ আমির যখন সেই দলের খেলোয়াড় ছিলেন.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন মুজিবুর রহমান

গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার জাংগালিয়া ইউনিয়নের বরাইয়া গ্রামে জন্ম। সেই গ্রামেরই শিশুদের হাতে ধরে ছড়িয়েছেন শিক্ষার আলো। দীর্ঘ তিন দশকের শিক্ষকতা জীবন শেষে অবসরে গেলেন বরাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ কে এম মুজিবুর রহমান (৫৯)।

শনিবার (১ নভেম্বর) সকালে অনুষ্ঠিত হয় বিদায়ী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) এ টি এম কামরুল ইসলাম। এ সময় সাবেক সভাপতি, শিক্ষকবৃন্দ ও এলাকাবাসী প্রধান শিক্ষক মুজিবুর রহমানের নিষ্ঠা, সততা ও মানবিক অবদানের কথা স্মরণ করে বক্তব্য রাখেন।

অনুষ্ঠান শেষে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, সহকর্মী ও অভিভাবকদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও উপহার প্রদান করা হয়। পরে সুসজ্জিত গাড়িতে তাকে গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমে দেওয়া হয় সম্মানজনক বিদায়।

মুজিবুর রহমান তার প্রাথমিক শিক্ষা বরাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই শুরু করেন। ১৯৮৯ সালে তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পরিসংখ্যান বিষয়ে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি এবং ১৯৯০ সালে একই বিষয়ে এমএসসি সম্পন্ন করেন। উচ্চ শিক্ষা শেষে তিনি সরকারি একাধিক চাকরির সুযোগ পেলেও তা গ্রহণ করেননি। কারণ, তার বাবার ইচ্ছা ছিল—শিক্ষক হয়েই জীবন শুরু এবং শেষ করতে হবে। বাবার সেই কথাকে আজীবন লালন করেছেন তিনি।

১৯৯৫ সালের ১২ জুন পুনসহি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মুজিবুর রহমান। এরপর দেওতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই বছর শিক্ষকতা শেষে ২০০৪ সালের ২৭ এপ্রিল নিজ গ্রাম বরাইয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। টানা ২২ বছর দায়িত্ব পালন শেষে সেখান থেকেই অবসরে গেলেন।

বিদায়ী শিক্ষক মুজিবুর রহমান বলেন, “আমি শিক্ষকতা পেশাকে কখনো চাকরি মনে করিনি। এটা ছিল আমার জীবনের ভালোবাসা ও দায়িত্ব। আজ বিদায় নিচ্ছি, কিন্তু হৃদয়ে এই বিদ্যালয় চিরদিন অমলিন থাকবে।”

ঢাকা/রফিক/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • টি-টোয়েন্টি থেকে উইলিয়ামসনের অবসরের ঘোষণা
  • ৩০ বছরের শিক্ষকতা জীবনের ইতি টানলেন মুজিবুর রহমান