Samakal:
2025-06-05@13:12:35 GMT

পুরিয়া কল্যাণ

Published: 3rd, June 2025 GMT

পুরিয়া কল্যাণ

গোলাম মুস্তফা কমলা টি-শার্ট পরেছে। শিয়াল রঙের থ্রি কোয়ার্টার, নাইকির কেডস, রে ব্যান সানগ্লাস পরেছে। গোলাম মুস্তফার বয়স আটান্ন। দেহের বয়স। মনের বয়স আটাশের পর আর বাড়ে নাই।
পরিমলের ভাতের হোটেলে বসে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করছিল বিশু ভট্ট। গার্লস স্কুলের পয়েন্টে গোলাম মুস্তফাকে দেখে সে প্রীত হলো না। পরিমল হলো।
‘তোমারে সেই লেভেলের লাগতেসে কাকা!’
নিশ্চয় হককথা বলেছে পরিমল। গোলাম মুস্তফাকে সেই লেভেলের লাগছে। এল ই ভি ই এল। ওরে! লেভেল ওল্টালেও দেখি লেভেলই থাকে। তবে সদ্যলব্ধ এই জ্ঞান বগাপণ্ডিত বিশু ভট্টকে বিতরণ করতে থামল না স্টাইলিশ গোলাম মুস্তফা। হন্টন বজায় রাখল।
খ্রিষ্টান মিশন রোডে খায়রুল কবীর রোমেন আংশিক রঙিন গোলাম মুস্তফাকে দেখল। খায়রুল কবীর রোমেন রিকশায় যাচ্ছিল। রিকশা থামিয়ে মুস্তফার খায়খবর নিল।
‘তোর মাফলার নাই রে মুস্তফা?’
‘না। কেন? মাফলার দিয়া আমি কী করব?’
‘কী করবি? তুই ব্যাটা এই টাউনের দেবানন্দ্। মাফলার পরবি না? সন্ধ্যার পরে তুই কই থাকবি বল, সুজনরে বলে দিতেসি, মাফলার কিনে দিয়া যাবে তোরে।’
‘আরে নারে!’
খায়রুল কবীর রোমেন গ্রাহ্য করল না। বলল, ‘মাফলার আর ক্যাপ লাগবে। পরে ছবি তুলে ফেসবুকে ছাড়বি, প্রচুর মহিলা দেখবি দেবানন্দ্ মনে করে লাভ রিয়েক্ট দিব।’
‘মহিলা? কেমন বয়সের মহিলা হইতে পারে তারা?’
‘এই তো, চল্লিশ-পাঁচচল্লিশ।’
‘অ।’
‘বেজার হইলি নাকি? স্কুল-কলেজের মেয়েরা লাইক দিব না এই কথা কিন্তু বলি নাই।’
‘লাইক দিব? লাভ রিয়েক্ট দিব না?’
‘দিব না মানে? ব্যাটা তোর পেইজ ভর্তি হয়ে যাবে লাল রঙের লাভ রিয়েক্টে। কী বলে?’
বন্ধু হলেও টাউনের বিশিষ্ট ব্যক্তি। খায়রুল কবীর রোমেনের কথার দাম আছে। প্রফুল্ল বোধ করল গোলাম মুস্তফা। হন্টন দিল। রাস্তায় আরও অনেকে সদ্য টাউনের দেবানন্দ্ লেভেল প্রাপ্ত গোলাম মুস্তফাকে দেখল। আদাব-সালাম দিল পরিচিতরা। অপরিচিতরা যেভাবে দেখল গোলাম মুস্তফার মনে হলো সে মানুষ নাই আর, স্ট্যাচু অব লিবার্টির মশাল হয়ে গেছে।
বাসার সামনে ফার্মেসি সত্যশিব দাসের। সেন্ট পল ঔষধালয়। কাস্টমার কম থাকে এই বেলা। বেকার বসে সত্যশিব দাস ইউটিউবের কনটেন্ট দেখছিল। যত বয়স হচ্ছে তত দেব দ্বিজে ভক্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে তার। কথায় কথায় ‘ও দয়াল’ বলে। হরিনাম সংকীর্তনে গিয়ে বসে থাকে প্রায়শ। রেখা সরকার নামের এক ভক্তমতী মহিলার কনটেন্ট দেখছে এখন।
: জয় শ্রী কৃষ্ণ। রাধে রাধে। সুধী কৃষ্ণভক্ত গৌরভক্ত হরিভক্ত আমার বাবা সকল মা সকল আপনাদের প্রতি প্রত্যেকের চরণে আমার সশ্রদ্ধ প্রণাম। আপনারা কেমন আছেন? আশা করি, প্রাণ গোবিন্দ রাধারানীর কৃপায় সকলেই ভালো আছেন।
কী সুন্দর করে ধর্মকথা বলে। পুণ্যবতী নারী।
সত্যশিব দাসের পত্নী ইন্দুর মতো মুখের ডৌল রেখা সরকারের। ইন্দু বাপের বাড়ি গেছে নাইওরে। এই মাসটা থাকবে। সত্যশিব দাসের দিন কায়ক্লেশে যাচ্ছে।
‘কী রে দাদা?’
সত্যশিব দাস চমকে উঠে দেবানন্দ্ গোলাম মুস্তফাকে দেখল। মুহূর্তে খুশি হয়ে উঠল, ‘মুস্তফা!’
জগৎসংসারে ইন্দু ছাড়া সত্যশিব দাশের একমাত্র আপনের আপন ব্যক্তি হলো গোলাম মুস্তফা। মান্না তুষার অমিয় ফরিদ শামীম নাসের বাপি অঞ্জন রোমেন বন্ধু ঠিক আছে, তবে সত্যশিব দাশের বুকের ভেতরে তাদের নাম সিলভারের অক্ষরে লেখা, গোলাম মুস্তফার নাম লেখা বাইশ ক্যারেট গোল্ডের অক্ষরে। গোলাম মুস্তফা চেয়ারে বসল, ‘বিড়ি সিগারেট থাকলে দেও, টানি।’
সত্যশিব দাস বলল, ‘ধৈর্য ধরো, ময়না।’
‘আমি এখন একটা লেভেলে আছি, আশা করি তুই এইটা বুঝতে পারতেছিস?’
‘লেভেল? ও দয়াল! কীসের লেভেল রে? ফ্যানারগন সিরাপের?’
‘বাদ দে, বুঝবি না তুই। তোর ইন্টেলেকচুয়াল হাইট ব্যাটা মাইনাস আটশ তেইশ সেন্টিমিটার।’
‘দ-য়া-ল! এইসব কী কথা বলিস তুই? মুস্তফা! মড়ার টিল্লার দিকে গেসলি-নি? দোষী বাতাস লাগসে দেহে। নাইলে তোর লেভেল আমি বুঝব না?’ 
‘বুঝলে চুপ থাক। চা বুলা।’
‘কারে বুলাব? ঘরে কেউ আছে? তুই জানিস না ইন্দু নাইওরে? তোর বিবেচনা নাইরে মুস্তফা।’ 
‘বিবেচনা থাকলে কি চা মিলত? ট্যাকা দে। চা নিয়া আসি।’
প্রস্তাব মনঃপূত হলো। সত্যশিব দাস বিশ টাকা দিল। গোলাম মুস্তফা বলল, ‘বিশ ট্যাকা! পঞ্চাশ ট্যাকার একখান নোট দে ব্যাটা। বিড়ি সিগারেট কিনা লাগব।’
‘বললাম না ধৈর্য ধরো ময়না। চা আনো, যাও।’
‘আরও দশ ট্যাকা দে তাইলে। বিশ টাকার চায়ে কিছু হইবো? নাকি তুই চা খাবি না?’
‘ও দয়াল রে! ও দয়াল!’
আরও দশ টাকা দিল সত্যশিব দাস।
চায়ের দোকান আছে নিকটে। যাওয়ার আগে গোলাম মুস্তফা বলল, ‘তোর কি আমার দেখে কিছুই মনে হইলো না?’
‘কী মনে হইবো? তুই মুস্তফা।’
‘আমারে দেখ।’
‘দেখলাম।’
‘কী পরে আছি?
‘টি-শার্ট।’
‘কমলা টি-শার্ট। আর?’
‘থ্রি কোয়ার্টার।’
‘শিয়াল রঙা। আর এই দেখ নাইকির কেডস।’
‘দেখলাম।’
‘এই দেখ সানগ্লাসের ডাঁটিতে লেখা রে ব্যান।’
‘দেখলাম।’
‘এখন আমার লেভেল বুঝতে পারছিস তুই? বুঝতে পারিস নাই। এই দেখ, আমার আইফোন।’
‘ও দয়াল! আইফোন কই পাইলি তুই?’
‘হে হে। গার্লস ইস্কুলের পয়েন্টে পাইসি।’
‘গার্লস ইস্কুলের পয়েন্টে! ও দয়াল! ভাস্করদা পায় নাই? তোর আগে দেখে নাই? সারাদিন গার্লস ইস্কুলের পয়েন্টে দেখি খাপ ধরে বসে থাকে!’
‘ভাস্কর বাবু! তুই রে! আমি আইফোন পাইসি শুনে বরফঠান্ডা পানি দিয়া দুইবার গোসল করসে ভাস্কর বাবু। পরিমলের ভাতের হোটেলে বসে এখন সেকেন্ডে সেকেন্ডে হাঁচি দিতেসে।’
গার্লস স্কুলের পয়েন্টে পায় নাই, গোলাম মুস্তফার বড় আপা মাহমুদা ভাইকে ফোনটা দিয়েছেন। মাহমুদা লন্ডনে থাকেন। সত্যশিব দাস অবশ্য বিশ্বাস করল মুস্তফা গার্লস স্কুলের পয়েন্টেই পেয়েছে ফোনটা। মুস্তফা বলেছে। চিন্তা করল, কপাল! আর চিন্তা করতে পারল না। কাস্টমার ঢুকল ফার্মেসিতে। হারিসউদ্দিন ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন। আট পদের ওষুধ। বিল হলো আটশ নয় টাকা। নয় টাকা কম রাখল সত্যশিব দাশ। 
গোলাম মুস্তফা চা নিয়ে ফিরল। সত্যশিব দাস কাচের গ্লাস বের করে দিল। কনডেন্সড মিল্কের টিনের কৌটা থেকে কাচের গ্লাসে চা ঢালল গোলাম মুস্তফা।
বিস্ময়াভিভূত সত্যশিব দাস বলল, ‘মুস্তফা রে, টি-শার্টটা কমলা আছলো না তোর?’
‘কোন টি-শার্ট? আমি গোলাম মুস্তফা, আমার কি টি-শার্ট একটা মনে হয় তোর?’
‘নারে, কমলা টি-শার্ট পরে আছলি না তুই?’
‘হ্যাঁ-এ-এ।’
‘এখন তো নীল দেখতেসি।’
‘দেখ।’
‘ও দয়াল! তোর টি-শার্ট নীল হইল ক্যামনে?’
‘থ্রি কোয়ার্টার দেখ।’
সত্যশিব দাস দেখল। শিয়াল রঙের থ্রি কোয়ার্টার কমলা রঙের হয়ে বসে আছে। ক্যামনে?
‘কেডস দেখ।’
কেডস সাদা ছিল, এখন কালো। ক্যামনে কী?
গোলাম মুস্তফা বলল, ‘নাইকি না এইটা, অ্যাডিডাসের কেডস।’
মাথা চক্কর দিল সত্যশিব দাসের।
গোলাম মুস্তফা চায়ে চুমুক দিয়ে সানগ্লাস খুলে টেবিলে রাখল, ‘এই দেখ, সানগ্লাসের এই ব্র্যান্ডের নাম হইলো পোর্শে।’
সত্যশিব দাস আবেগে আপ্লুত হলো– ও দয়াল! আটান্ন বছর বয়স হয়ে গেল, মুস্তফারে নি আমি চিনলাম?
গোলাম মুস্তফার আইফোন বাজল। ডি কলিং। গোলাম মুস্তফা ধরে বলল, ‘কী রে দাদা?’
‘তুই কই রে?’
‘আমি একটা মিটিঙে রে দাদা। পশু ক্লেশ নিবারণী সংস্থার মিটিং।’ 
‘তোরে আবার ক্লেশ দিল কে?’
‘আমারে? আমারে এই টাউনে ক্লেশ দিব কে? আমি গোলাম মুস্তফা, লেভেল-টুয়েন্টি এইট। আচ্ছা তুই কি আমার কথা ভালোমতো শুনতে পাইতেছিস?’
‘পাইতেছি তো।’
‘স্পষ্ট শুনতে পাইতেছিস?’
‘হ্যাঁ। কেন?’
‘না, তুই তো বাটন ফোন ব্যবহার করিস, আমার তো আবার আইফোন, বুঝিস নাই? প্রো ম্যাক্স থারটিন। ভাবলাম সমস্যা হইতেও পারে। বাটন ফোন!’
‘রাখ শুয়োর!’
‘আইচ্ছা রাখ। মিটিং শেষ করে কল দিতেসি আমি।’
‘মিটিং কর। ভিত্রে মিটিং কর।’
‘আমি বাইরে মিটিং করি নারে দাদা।’
‘রাখ খবিশ।’
কে খবিশ?
গোলাম মুস্তফা দাঁত বের করে হাসল। সত্যশিব দাসকে বলল, ‘তোর ভাই ফোন করছিল।’
‘ভালো আছে সে? .

.. মুস্তফা!’
‘কী? কী হইসে?’
‘তোর টি-শার্ট!’
গোলাম মুস্তফার টি-শার্ট হলুদ হয়ে গেছে। থ্রি কোয়ার্টার জলপাই সবুজ। কেডস হাসপাপির শু হয়ে গেছে। সানগ্লাস পোলিশ।
জিনিস বানিয়ে ড্রয়ারে রেখেছে, সত্যশিব দাশ এখনও টানে নাই, বিভ্রম মনে করতে পারত তাহলে। বিভ্রম না। মুস্তফার টি-শার্ট সত্যি হলুদ হয়ে গেছে। দয়াল!
চা শেষ করে গোলাম মুস্তফা বলল, ‘বিড়ি-সিগারেট দে এ বেলা।’ সত্যশিব দাস বলল, ‘জিনিস বানাইসি।’
গোলাম মুস্তফা বলল, ‘শাবাশ।’
সত্যশিব দাস ফার্মেসি বন্ধ করে দিল। অল্প পরে নদীর পারে বসে জিনিস টেনে তারা উড়ল। এই বয়সেও ধরে। ভালোই ধরল। আগে যা দেখেছে ভুলভাল দেখেছে।– হলুদ টি-শার্ট না, নীল টি-শার্ট না, কমলা টি-শার্ট ও এই আসন্ন সন্ধ্যায় রে ব্যান সানগ্লাস পরা গোলাম মুস্তফাকে দেখে ধনেশ পাখি মনে হলো সত্যশিব দাসের। ধনেশ পাখি গোলাম মুস্তফা আস্তে করে ঠুকরে দিল সত্যশিব দাসকে। সত্যশিব দাসের ভাব আরও ঝুম হলো। গোলাম মুস্তফার ভাব আরও ঝুম হলো। গোলাম মুস্তফা দেড়-দুইবার তার বউ পোলাপানের কথা ভাবল। তারা কেমন আছে? বড় ছেলে অনার্স করছে ইংলিশে, ছোট ছেলে এসএসসি দিয়েছে। তাদের মা কিন্ডারগার্টেনের শিক্ষয়িত্রী আফরোজা আখতার বীথি। বীথি আর বিয়ে করে নাই। কেন? সত্যশিব দাস বলল, ‘মুস্তফারে আমার মনে হয় কি, ইন্দুরে নিয়া আমি উড়ে যাই।’
সত্যশিব দাসের সন্তানসন্ততি নাই। 
গোলাম মুস্তফা বলল, ‘তুই খালি বউদিরে নিয়া উড়বি? আমি একলা কই যাব এই বয়সে?’
‘আইচ্ছা তোরেও সাথে নিবো নে যা।’
আজকের আশ্চর্য সন্ধ্যা শুধু এই বালকদ্বয়ের জন্য নামল। v

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দ ব নন দ গ র লস এই দ খ ম ফল র র বয়স আইফ ন

এছাড়াও পড়ুন:

দেশে আবারো করোনায় ১ জনের মৃত্যু, শনাক্ত ৩

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আরো একজনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে আরো ৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুন) বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক এক সংবাদ বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২০ লাখ ৫১ হাজার ৭৩৯ জন।

আরো পড়ুন:

অনুমোদিত ভ্রমণকাল শেষে থাকলে ফেরত পাঠাবে যুক্তরাষ্ট্র

মূল্যস্ফীতি কমলে সেপ্টেম্বরের মধ্যে সুদহার কমানো হবে: গভর্নর 

২৪ ঘণ্টায় ৩ জন করোনারোগী সুস্থ হয়েছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৯ হাজার ৩৬০ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় মোট ২১টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এ পর্যন্ত এক কোটি ৫৭ লাখ ২৬ হাজার ২২৪ জনের করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন এবং এ পর্যন্ক দেশে মোট দুই হাজার ৫০০ জন মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় মৃত একজন পুরুষ, তার বয়স ৮১ থেকে ৯০ বছরের মধ্যে। তিনি ঢাকা বিভাগের একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের হার মোট ১৩ দশমিক শূন্য পাঁচ। সুস্থতার হার ৯৮ দশমিক ৪২ শতাংশ এবং মৃত্যুর হার এক দশমিক ৪৪ শতাংশ।

এর আগে ২০২৪ সালের ২৬ জুলাই করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যু হয়েছিল। এরপর থেকে করোনায় আক্রান্ত হলেও দীর্ঘ সময়ে আর কেউ মারা যায়নি।

২০২০ সালের ৮ মার্চ মাসে দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

ঢাকা/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ