বাংলাদেশের সাইবার নিরাপত্তায় নতুন দিগন্ত ‘ফিনিক্স সামিট’
Published: 4th, June 2025 GMT
এনসিসি ব্যাংক আয়োজিত ফিনিক্স সামিট-২০২৫ পাওয়ার্ড বাই ঢাকা ব্যাংক ২৪মে সফলভাবে সমাপ্ত হয়েছে। তিন দিনের এই সম্মেলনে সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে মতবিনিময়, কৌশলগত আলোচনা এবং সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা জোরদার করার লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) এক্সপার্ট শোজি আকিহিরো ও এনসিসি ব্যাংকের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম খুরশেদ আলম।
সামিটের আগে তিন দিনের ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া ও হংকং থেকে আগত এপনি প্রশিক্ষকরা ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থীকে পেশাদার প্রশিক্ষণ দেন।
‘এক্সপেরিয়েন্স দ্য নিউ ডাইমেনশন। এলিভেট। ট্রান্সফর্ম। অ্যাসেন্ড’ থিমের অধীনে, সামিট একটি সহযোগিতামূলক পরিবেশ গড়ে তুলেছে, যার লক্ষ্য বাংলাদেশের জন্য একটি নিরাপদ ডিজিটাল ইকোসিস্টেম তৈরি করা। সামিটে ১০টি দেশের ৪৫ জন বক্তা ২৫টিরও বেশি বিষয়ে আলোচনা করেন।
টিম ফিনিক্সের অপারেশনস ডিরেক্টর দিহান ইসলাম বলেন, ফিনিক্স সামিটে অংশগ্রহণ ও আলোচনা অত্যন্ত উৎসাহব্যঞ্জক। এখানে শেয়ার করা জ্ঞান ও সংযোগ আমাদের দেশের ডিজিটাল যুগের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সহায়তা করবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানে টিম ফিনিক্সের কমিউনিকেশনস ডিরেক্টর ফাসবীর এসকান্দার বলেন, ফিনিক্স সামিট আমাকে বাংলাদেশের উন্নয়ন ও সাইবার নিরাপত্তায় অবদান রাখার সুযোগ দিয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, ফিনিক্স সামিট ২০২৫ এই লক্ষ্য অর্জনে সফল হয়েছে।
ফিনিক্সের প্রতিষ্ঠাতা শামীম রেজা বলেন, আমরা এখানে শুধু প্রচার বা অর্থ উপার্জনের জন্য আসিনি; আমরা বাস্তব পরিবর্তন আনতে এসেছি। আমাদের লক্ষ্য একটি টেকসই সাইবার নিরাপত্তা ইকোসিস্টেম গড়ে তোলা এবং বাংলাদেশকে বৈশ্বিক সাইবার নিরাপত্তা অঙ্গনে পরিচিত করা।
সামিটে রুয়েট সাইবার সিকিউরিটি ক্লাব ‘বাংলাদেশের সেরা সাইবার সিকিউরিটি ক্লাব’ পুরস্কার পায় এবং তাসনিমা আক্তার আনিকা ‘উইমেন ইন সাইবারসিকিউরিটি’ পুরস্কার লাভ করেন। সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: লক ষ য
এছাড়াও পড়ুন:
আইন বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা
‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাতিল না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
মঙ্গলবার (৩ জুন) সচিবালয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতারা এ ঘোষণা দেন।
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী ঐক্য ফোরামের নেতৃত্বে কর্মচারীরা সকাল ১১টার দিকে সচিবালয়ের চার নম্বর ভবনের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করেন। মিছিল নিয়ে তারা সচিবালয় চত্বর প্রদক্ষিণ করে ৬ নম্বর ভবনের সামনে বাদাম তলায় বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
আরো পড়ুন:
সচিবালয়ে আন্দোলন
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা, ১ জুন থেকে কর্মবিরতি থাকছে না
বুধবার সচিবালয় চলবে স্বাভাবিক নিয়মে
ঐক্য ফোরামের কো-চেয়ারম্যান মো. নুরুল ইসলাম বলেন, “গতকাল সোমবার দেওয়া বাজেটে মহার্ঘ ভাতার কোনো ঘোষণা নেই। সেটা না করে উল্টো আমাদের ওপর কালো আইন চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। আপনারা যদি মনে করেন আন্দোলন থেমে গেছে, বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন। আমরা এমন কর্মসূচি দেব আপনারা কল্পনাও করতে পারবেন না।”
তিনি বলেন, “অধ্যাদেশ বাতিল বা আমাদের সঙ্গে যদি কোনো আপস না করা হয়, আমরা শুধু কর্মবিরতি না অবস্থান কর্মসূচিও দিতে পারি। আমরা সারাদেশে এ কর্মসূচি ছড়িয়ে দেব। আমরা সব সরকারি সেক্টর স্তব্ধ করে দেওয়ার মতো ক্ষমতা রাখি। সরকারের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সহযোগিতার জন্য এমন কর্মসূচি দিচ্ছি না। আপনারা আমাদের সঙ্গে বিমাতাসুলভ আচরণ করছেন।”
“আমরা আগামী ১৫ জুনের মধ্যে যদি কোনো ভালো সংবাদ না পাই তা হলে ওইদিন বসে কঠোর কর্মসূচি দেব। আমরা বলতে বাধ্য হব- আপস নয়, সংগ্রাম”, যোগ করেন ফোরামের এই কো চেয়ারম্যান।
ঐক্য ফোরামে কো-চেয়ারম্যান মো. বাদিউল কবীর বলেন, “বুধবার (৪ জুন) যেহেতু ঈদের আগে শেষ কর্মদিবস, তাই আমাদের কোনো কর্মসূচি থাকবে না। আগামী ১৬ জুন আপনারা সবাই আন্দোলনের প্রস্তুতি নিয়ে আসবেন। ওই দিন সকাল ১১টায় কেউ যাতে কর্মস্থলে না থাকেন। আমরা সবাই একত্রিত হয়ে সমস্বরে বলব- অবৈধ কালো আইন, মানি না মানবো না।”
বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের মহাসচিব মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, আপনারা মনে কইরেন না কর্মচারীরা বোকা। আপনাদের কাছে আমাদের যে প্রত্যাশা ছিল, সেটা আর পূরণ হলো না। আপনারা চাচ্ছেন, আপনাদের সঙ্গে সংঘর্ষ। ইনশাআল্লাহ যদি বেঁচে থাকি, ঈদের পরে সংঘর্ষ করেও যদি হয়, তারপরও কালো আইন বাতিল করব।”
বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ শেষে কর্মচারীরা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সামনে কিছুক্ষণ অবস্থান করেন। এরপর অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
চার ধরনের শৃঙ্খলা ভঙ্গের অপরাধের জন্য বিভাগীয় মামলা ছাড়াই শুধু কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়ে চাকরিচ্যুত করা যাবে; এমন বিধান রেখে গত ২৫ মে ‘সরকারি চাকরি (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৫’ জারি করা হয়।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/মাসুদ