Prothomalo:
2025-06-07@14:22:40 GMT

আজ ঈদের দিন, খুশির দিন

Published: 7th, June 2025 GMT

‘ঈদজ্জোহার চাঁদ হাসে ঐ এলো আবার দুস্‌রা ঈদ

কোরবানি দে কোরবানি দে শোন্ খোদার ফর্মান তাকিদ।।

এমনি দিনে কোরবানি দেন পুত্রে হজরত ইব্রাহীম,

তেমনি তোরা খোদার রাহে আয় রে হবি কে শহীদ্।।’

এই পঙ্‌ক্তিমালা কবি কাজী নজরুল ইসলামের। ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদকে জড়িয়ে থাকা বা উদ্‌যাপনের এমন অনেক গান ও কবিতা আছে এই কবির। সাম্য, মানবতা ও ত্যাগের তাকিদ নিয়ে এসেছে পবিত্র ঈদুল আজহা। ঘরে ঘরে আঁচ লেগেছে সেই উৎসবের, সমস্ত পশুত্বকে আরও একবার বিসর্জনের উপলক্ষ এসেছে দেশে।

আজ ৭ জুন, ১০ জিলহজ শনিবার সারা দেশে আনন্দ-উচ্ছ্বাসে উদ্‌যাপিত হচ্ছে কোরবানির ঈদ। পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়স্বজনের মেলবন্ধনে আরও একবার মুখর হয়ে উঠেছে বাঙালির চিরায়ত পারিবারিক, সামাজিক শিকড়-বাকড়। চারদিকেই উৎসবের ঘ্রাণ। এরই মধ্যে পবিত্র হজের আয়োজন, আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়েছে। সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরে অনেক দেশেই গতকাল শুক্রবার ঈদ উদ্‌যাপিত হয়েছে।

ঈদ মানে খুশি, ঈদ মানে আনন্দ। মুসলমানদের জীবনে বছরে দুটি খুশির দিনের একটি এই ঈদুল আজহা। এই দিনে কি ধনী কি নির্ধন—সবাই যার যার সাধ্যমতো নতুন, নয়তো পরিষ্কার কাপড় পরে, গায়ে আতর-সুগন্ধি মেখে মসজিদ কিংবা ঈদগাহে এক কাতারে দাঁড়াবেন—এটাই রেওয়াজ।

নামাজ শেষে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টিলাভের আশায় সামর্থ্য অনুযায়ী দেওয়া হবে পছন্দের পশু কোরবানি। বাংলাদেশে সাধারণত গরু বা ছাগল কোরবানি দেওয়া হয়। তবে মধ্যপ্রাচ্যসহ অন্যান্য দেশে দুম্বা, ভেড়া ও উট কোরবানি দেওয়া হয়ে থাকে। আমাদের এ অঞ্চলে শতবছর বা তারও আগে সাধারণত বকরি বা ছাগল কোরবানি দেওয়া হতো। এ জন্য এই ঈদের পরিচিতি ছিল ‘বকরি ঈদ’ বা ‘বকরিদ’। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর এ অঞ্চলে গরু কোরবানি দেওয়া বাড়তে থাকে।

আল্লাহর প্রতি গভীর আনুগত্য ও সর্বোচ্চ ত্যাগের মহিমায় ভাস্বর ঈদুল আজহা। এ উৎসবের সঙ্গে মিশে আছে চরম ত্যাগের দৃষ্টান্ত। আল্লাহর নির্দেশে নিজ পুত্র হজরত ইসমাইল (আ.

)–কে কোরবানি দিতে উদ্যত হয়েছিলেন হজরত ইব্রাহিম (আ.)। আল্লাহর প্রতি অগাধ ভালোবাসা, অবিচল আনুগত্য ও অসীম আত্মত্যাগের যে সুমহান দৃষ্টান্ত তিনি স্থাপন করেছেন, তা ইতিহাসে অতুলনীয়।

পবিত্র ঈদুল আজহা তাই আত্মত্যাগে ডুব দেওয়ার এবং মনের ভেতরের সুপ্ত পশুত্বকে বিসর্জনের দিন। এর শিক্ষা হলো মনের পশুকে জবেহ করে নিজেকে খোদায়ি রঙে সাজিয়ে তোলা। কাজী নজরুল ইসলামের ভাষায়, ‘মনের মাঝে পশু যে তোর আজকে তারে কর্ জবেহ,/ পুল্‌সেরাতের পুল হতে পার নিয়ে রাখ্ আগাম রসিদ্।’

ঈদুল আজহা মনে করিয়ে দেয় সব ধরনের অন্যায়, জুলুম, অবিচার, মিথ্যা ও অধর্মের বিরুদ্ধে সাহসের সঙ্গে গর্জে ওঠার, মানবিকতার। কবির ভাষায়, ‘গলায় গলায় মিল্ রে সবে ভুলে যা ঘরোয়া বিবাদ,/ মিলনের ঈদগাহ্ গড়ে তোল্ প্রাণ দিয়ে তার তোল্ বুনিয়াদ।’

সুরা হজের ৩৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহ্‌ বলেছেন, তোমাদের জবাই করা পশুর রক্ত-মাংস আল্লাহর কাছে পৌঁছায় না। তিনি দেখেন তোমাদের তাকওয়া। আর এই তাকওয়া হচ্ছে আত্মশুদ্ধি, নিষ্কৃতি লাভ করা, ভয় করা। অর্থাৎ আল্লাহকে ভয় এবং তাঁর সন্তুষ্টি লাভের আশায় অন্যায় ও আল্লাহর অপছন্দের কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা।

একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লির ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দান। রাজধানীর এই বড় ঈদ জামাতের ব্যবস্থাপনায় রয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। সকাল সাড়ে সাতটায় জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে বৈরী আবহাওয়ার কারণে জামাত আয়োজনের অনুপযুক্ত হলে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল আটটায় প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। ঢাকার বাইরে কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক শোলাকিয়া ময়দান ও দিনাজপুরের গোর-এ-শহীদ ময়দানে দেশের বড় জামাতগুলো হয়ে থাকে। দূরদূরান্ত থেকে, ভিন্ন জেলা থেকেও মুসল্লিরা শরিক হন এসব ঈদের জামাতের মহামিলনে।

আরও পড়ুনজাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়৭ ঘণ্টা আগে

আজ ঈদের দিন রাজধানীতে এক পশলা বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। ঢাকা বিভাগের কিছু স্থানেও সামান্য বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ জানালেন, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ময়মনসিংহ বিভাগের কিছু স্থানে বৃষ্টি হতে পারে। তবে এর পরিমাণ খুব বেশি হবে না। রাজশাহী, খুলনা ও রংপুর বিভাগে বৃষ্টির সম্ভাবনা অনেকটাই কম।

প্রিয় পাঠক, এ লেখা যখন পড়ছেন, ততক্ষণে অনেকেরই কোরবানি দেওয়া হয়ে গেছে। ধর্মীয় বিধানমতে, যিনি কোরবানি করবেন, তিনি পাবেন এক ভাগ মাংস। বাকি দুই ভাগ আত্মীয়স্বজন ও গরিব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দেওয়াই নিয়ম। সমাজে ন্যায় ও সাম্য প্রতিষ্ঠার জন্যই এমন বিধান।

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। গতকাল সন্ধ্যা সাতটায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে ঈদুল আজহার শিক্ষা গ্রহণ করে ত্যাগের মহিমায় উজ্জীবিত হয়ে দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

আরও পড়ুনঈদের প্রধান জামাত সকাল সাড়ে ৭টায়, বায়তুল মোকাররমে হবে ৫টি জামাত০৩ জুন ২০২৫

ঈদুল আজহা উপলক্ষে টেলিভিশন ও রেডিওতে সম্প্রচারিত হচ্ছে বিশেষ অনুষ্ঠানমালা। সংবাদপত্র আয়োজন করেছে বিশেষ সংখ্যার। ঈদের ছুটিতে পাঠক যেন তথ্য ও বিশ্লেষণ থেকে বঞ্চিত না হন, এ জন্য ছাপা সংবাদপত্র বন্ধ থাকলেও চালু থাকছে অনলাইনগুলো। এই ঈদে ছুটির পাঁচ দিন প্রথম আলো প্রকাশিত হচ্ছে ই-পেপারে।

ঈদ এলে যেভাবে ধনী–গরিব, বাদশা–ফকির ভেদাভেদ ভুলে যাই, সারা বছরই সেই ভেদাভেদের দেয়ালকে উপড়ে ফেলতে হবে। কবি গোলাম মোস্তফার কাছে ঈদ যেন মানবতার সমাবেশস্থল। ‘ঈদ উৎসব’ কবিতায় তিনি লিখেছেন, ‘কণ্ঠে মিলনের ধ্বনিছে প্রেম বাণী/ বক্ষে ভরা তার শান্তি/ চক্ষে করুণার স্নিগ্ধ জ্যোতিভার/ বিশ্ব–বিমোহন কান্তি/ প্রীতি ও মিলনের মধুর দৃশ্যে/ এসেছে নামিয়া যে নিখিল বিশ্বে/ দরশে সবাকার মুছেছে হাহাকার বিয়োগ–বেদনার শ্রান্তি।’

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র ঈদ ল আজহ আল ল হ ক রব ন ময়দ ন ঈদগ হ

এছাড়াও পড়ুন:

মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক

হজ ইসলামের অন্যতম স্তম্ভই নয়; মুসলিম উম্মার সবচেয়ে বড় সম্মিলনও বটে। সারাবিশ্বের মুসলমান পবিত্র জিলহজ মাসে বায়তুল্লাহ জিয়ারতের জন্য মক্কায় মিলিত হন। হজের মাধ্যমে উপস্থিত হাজিরা বিশ্ববাসীকে এই বার্তা দেন– বিশ্বের সব মুসলমান এক জাতি। তাই তারা সাদা হোক বা কালো, ধনী কিংবা গরিব; তাদের মধ্যে কোনো ভেদাভেদ নেই। তারা সবাই মহান আল্লাহর বান্দা। 

৯ জিলহজ পবিত্র মক্কা নগরীর আরাফার ময়দান সারাবিশ্ব থেকে আসা মুসলমানের লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক, লাব্বাইকা লা শারিকা লাকা লাব্বাইক। অর্থাৎ হাজিরা বলছেন– হে আল্লাহ, আমি হাজির, হে আল্লাহ আমি হাজির; তোমার কোনো শরিক নেই। এদিন আরাফার ময়দানে অবস্থান এবং খুতবা হজের প্রধান আয়োজন।  

হজ ঐতিহাসিক স্মৃতিবিজড়িত ও তাৎপর্যপূর্ণ। আল্লাহপাকের নির্দেশে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে পাঠানোর পর হজরত আদম (আ.) ও হজরত হাওয়া (আ.) পরস্পর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েন। অত্যন্ত ব্যাকুল হয়ে তারা একে অন্যকে খুঁজতে থাকেন। অবশেষে আল্লাহর রহমতে তারা সুদীর্ঘকাল পর আরাফার ময়দানে মিলিত হন। আদম (আ.)-এর পর হজরত নুহ (আ.)সহ অন্য নবী-রাসুলরাও বায়তুল্লাহ জিয়ারত ও তাওয়াফ করেছেন। হাদিস শরিফে বর্ণিত আছে, বায়তুল্লাহ শরিফ পুনর্নির্মাণ কাজ সমাধা করার পর হজরত জিবরাইল (আ.) হজরত ইবরাহিম (আ.)-কে এই পবিত্র গৃহ তাওয়াফ ও হজ করার জন্য বললেন। এ নির্দেশ পেয়ে হজরত ইবরাহিম (আ.) ও ইসমাইল (আ.) উভয়েই তাওয়াফসহ হজের যাবতীয় কর্মকাণ্ড সমাধা করলেন। এর পর আল্লাহতায়ালা হুকুম করলেন, হে ইবরাহিম, তুমি সমগ্র পৃথিবীর মানুষের মধ্যে হজের ঘোষণা ছড়িয়ে দাও। এই মর্মে কোরআন মজিদের সুরা হজের ২৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক বলেন, ‘আর মানুষের কাছে হজের ঘোষণা করে দিন; তারা আপনার কাছে আসবে পদব্রজে ও সর্বপ্রকার ক্ষীণকায় উষ্ট্রের পিঠে। তারা আসবে দূরদূরান্তের পথ অতিক্রম করে।’ তখন হজরত ইবরাহিম (আ.) একটি উঁচু স্থানে আরোহণ করলেন এবং ডানে-বামে পূর্ব-পশ্চিমে ফিরে হজের ঘোষণা করে বললেন– ‘হে লোক সকল! বায়তুল্লাহ শরিফের হজ তোমাদের ওপর ফরজ করা হয়েছে। তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের আহ্বানে সাড়া দাও।’ এ আহ্বান শুনে পূর্ব দিগন্ত থেকে পশ্চিম দিগন্ত পর্যন্ত যাদের হজ নসিব হবে তারা সবাই লাব্বাইক বলেছে। কেউ সাড়া দিয়েছে একবার; কেউ সাড়া দিয়েছে একাধিকবার।

হজ একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরজ ইবাদত। প্রত্যেক সুস্থ, প্রাপ্তবয়স্ক এবং শারীরিক, মানসিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিম নর-নারীর ওপর জীবনে একবার হজ করা ফরজ। এর পর যতবার হজ পালন করবে তা নফল হিসেবে গণ্য হবে। নফল হজেও অনেক সওয়াব রয়েছে। 

হজ সম্পর্কে পবিত্র কোরআনের সুরা আল ইমরানের ৯৭ নম্বর আয়াতে আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, ‘আল্লাহর উদ্দেশে বায়তুল্লাহ শরিফে হজ পালন করা মানুষের ওপর অবশ্য কর্তব্য, যার সেখানে যাওয়ার সামর্থ্য আছে।’ 

হজ এমন একটি মিলনমেলা, যা প্রত্যেক হাজিকে লাখো মুসলিমের সঙ্গে পরিচয়ের বিরাট সুযোগ করে দেয়। ইসলামের ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় করতে হজের ভূমিকা অপরিসীম। হজ মানুষের অতীত জীবনের গুনাহ ধুয়ে-মুছে সাফ করে দেয়। 

হাদিস শরিফে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘পানি যেমন ময়লা ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়, হজও তেমনি গুনাহগুলোকে ধুয়ে পরিষ্কার করে দেয়’ (সহিহ বুখারি)। রাসুলুল্লাহ (সা.) আরও বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর উদ্দেশে হজ আদায় করল, তারপর কোনো অশ্লীল কাজ করল না, পাপ কাজ করল না, সে নবজাত শিশুর মতো নিষ্পাপ হয়ে ফিরল’ (বুখারি ও মুসলিম)।

সবার প্রভু এক। এক নবীর উম্মত। সবার জীবন বিধান কোরআন এক। সবার কেবলা, সবার ইমাম, সবার রুকু-সেজদা, সবার লক্ষ্য-উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। এভাবেই আগত লাখ লাখ জনতার দেশীয় ভাষা, আঞ্চলিক জাতিসত্তা, দেশ, বংশগোত্র ও বর্ণের কৃত্রিম বৈষম্যচূর্ণ-বিচূর্ণ করে একাকার হয়ে যাওয়ার মাধ্যমে বিশ্বমুসলিম উম্মাহর এক অপ্রতিরোধ্য সিসা ঢালা প্রাচীর নির্মিত হয় হজে। তাই এই সময়ে বিশ্বশান্তি স্থাপনে পারস্পরিক দ্বন্দ্ব-কলহ মিটিয়ে; লড়াই-সংগ্রামের পরিবর্তে ভালোবাসা, বন্ধুত্ব গ্রহণ করা যায়। বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় রাখা যায় বলিষ্ঠ অবদান। মহান আল্লাহ সব হাজির হজ কবুল করে বিশ্বমুসলিমের ঐক্য সুদৃঢ় করার তৌফিক দান করুন। 

ড. মো. শাহজাহান কবীর: বিভাগীয় প্রধান, ইসলামিক স্টাডিজ, ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ঢাকা

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ভারত জুড়ে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন
  • পবিত্র ঈদুল আজহা আজ
  • রাত পোহালেই ঈদুল আযহা
  • পবিত্র ঈদুল আযহা আগামীকাল 
  • এই ঈদে বাড়ির বয়স্কদের যেভাবে যত্নে রাখবেন
  • নিঃস্ব ও দরিদ্রের হক প্রতিষ্ঠা পাক
  • আজ পবিত্র হজ, ত্যাগের ঈদের অপেক্ষা
  • ত্যাগ ও আনন্দের অনন্য উপলক্ষ
  • মুসলিম উম্মাহর ঐক্য ও ভ্রাতৃত্বের প্রতীক