সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার পর্যটনকেন্দ্র জাফলংয়ের পিয়াইন নদীর পানিতে ডুবে মো. মাহিম (১৬) নামে এক পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) দুপুর ৩টার দিকে জাফলং জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
মারা যাওয়া মাহিম চট্টগ্রামের বায়োজিদ থানার শহীদপাড়া এলাকার মো. জামিল মিয়ার ছেলে।
আরো পড়ুন:
বরগুনায় ডেঙ্গুতে বৃদ্ধের মৃত্যু
কুমার নদে স্কুলছাত্রীর মৃত্যু
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাহিমসহ ৪০ জনের একটি টিম বাসে করে বুধবার সকাল ১০টার দিকে জাফলংয়ে বেড়াতে আসে। দুপুরের দিকে মাহিমসহ বাসের কয়েকজন জাফলং জিরো পয়েন্টে পিয়াইন নদীতে গোসল করতে নামে। এসময় স্রোতের টানে মাহিম পানিতে তলিয়ে যায়। সঙ্গে থাকা লোকজন এবং স্থানীয় ডুবুরিরা ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টা চালিয়ে তাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে।
মারা যাওয়া মাহিমের দাদি সালমা বেগম বলেন, “মাহিম ও তার ছোটভাই ফাহিমকে নিয়ে বেড়াতে আসি। মাহিমকে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। পরে শুনি, মাহিম পানিতে পড়ে গেছে। আমার নাতিকে এখন হারিয়ে ফেলছি। আমি তার বাবা-মাকে কি জবাব দেব।”
জাফলং ট্যুরিস্ট পুলিশের ইনচার্জ মো.
ঢাকা/নূর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর যটক নদ
এছাড়াও পড়ুন:
বড় জয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ শুরু চ্যাম্পিয়ন পিএসজির
চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপাধারী প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি) শিরোপা রক্ষার অভিযানে নেমেই দেখাল নিজেদের শক্তি। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পার্ক দেস প্রিন্সের জমকালো রাতের ম্যাচে আতালান্তাকে ৪-০ গোলে উড়িয়ে দিল লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
মাঠে নেমে ম্যাচের মাত্র তৃতীয় মিনিটেই প্রথম গোল পায় পিএসজি। ব্র্যাডলি বারকোলার দারুণ পাস থেকে ফাবিয়ান রুইজ বল সাজিয়ে দেন মারকুইনহোসকে। পিএসজির অধিনায়ক নির্ভুল শটে দলকে এগিয়ে নেন ১-০ গোলে।
আরো পড়ুন:
জুভেন্টাস-বরুশিয়ার ৮ গোলের নাটকীয় ম্যাচে জয় পায়নি কেউ
এমবাপ্পের জোড়া গোলে চ্যাম্পিয়নস লিগে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়
এরপর আরও কয়েকটা গোল হতে পারত। কিন্তু একবার একেবারে সামনে থেকে শট উড়িয়ে ফেলেন নুনো মেন্ডেস। আরেকবার বারকোলার শট দুর্দান্ত সেভে রক্ষা করেন আতালান্তা গোলরক্ষক মার্কো কার্নেসেচ্চি।
তবুও প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগে আক্রমণের ঝড় থামেনি। ৩৯ মিনিটে জর্জিয়ার উইঙ্গার খভিচা কাভারাটস্কেলিয়া ডান দিক থেকে ভেতরে ঢুকে অসাধারণ এক বাঁকানো শটে বল জড়িয়ে দেন জালে। স্কোরলাইন দাঁড়ায় ২-০।
বিরতিতে যাওয়ার আগে ব্যবধান আরও বাড়াতে পারত পিএসজি। ৪১ মিনিটে মারকুইনহোসকে ফাউল করে পেনাল্টি উপহার দেন আতালান্তার মার্কিন মিডফিল্ডার ইউনুস মুসাহ। তবে বারকোলার নেওয়া দুর্বল শট ঠেকিয়ে দেন আতালান্তার গোলরক্ষক কার্নেসেচ্চি। তাতে ২-০ তে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় দুই দল।
বিরতির ছয় মিনিট পরই ব্যবধান বাড়ে। বারকোলার দারুণ থ্রু বল ধরে বাঁ দিক থেকে নুনো মেন্ডেস এগিয়ে গিয়ে কঠিন কোণ থেকেও ঠাণ্ডা মাথায় শট পাঠান জালে। স্কোর হয় ৩-০।
শেষ বাঁশি বাজার আগ মুহূর্তে আসে চতুর্থ গোল। আতালান্তার ক্লান্ত ডিফেন্ডারের ভুল পাস কুড়িয়ে নিয়ে পর্তুগিজ স্ট্রাইকার গনসালো রামোস নির্ভুল ফিনিশে শেষ করেন গোল উৎসব।
গেল মে মাসে ফাইনালে ইন্টার মিলানকে ৫-০ গোলে হারিয়ে প্রথমবার ইউরোপ সেরার মুকুট পরেছিল পিএসজি। সেই ধারাবাহিকতায় নতুন মৌসুমের শুরুতেও লিগে টানা চার ম্যাচ জিতে সবার ওপরে তারা। এবার ইউরোপের মাঠেও দেখাল নিজেদের ভয়ংকর রূপ। জানান দিলো এবারও তারা চ্যাম্পিয়ন হতে চায়।
ঢাকা/আমিনুল