ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে ইরানের শীর্ষ কর্মকর্তাদের হত্যা করছে ইসরায়েলি বাহিনী। ইসরায়েল এই অভিযানের নাম দিয়েছে ‘অপারেশন রাইজিং লায়ন’। ইরানও পাল্টা জবাব দিতে শুরু করেছে। দেশটির বিপ্লবী গার্ড বাহিনী পরশু রাত থেকে ‘ট্রু প্রমিজ ৩’ অভিযান শুরু করেছে।

ইসরায়েল-ইরানের পাল্টাপাল্টি হামলা দীর্ঘমেয়াদি সংঘাতে রূপ নিতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই সংঘাতেই আটকা পড়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপে খেলা নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন ইন্টার মিলানের স্ট্রাইকার মেহদি তারেমি।

ক্লাব বিশ্বকাপে খেলতে দলের সবাই যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছালেও তারেমি এখনো ইরানের রাজধানী তেহরান থেকে বেরোতে পারেননি। ইতালিয়ান ক্লাবটি এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।

আন্তর্জাতিক বিরতির সময় ইরান জাতীয় দলের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচ খেলতে দেশে ফিরেছিলেন তারেমি। গত মঙ্গলবার বাছাইয়ে নিজেদের শেষ ম্যাচে উত্তর কোরিয়াকে ৩-০ গোলে হারায় ইরান। তারেমি দলের দ্বিতীয় গোলটি করেন।

এরপর গত শনিবারের একটি ফ্লাইটে তাঁর লস অ্যাঞ্জেলেসে ইন্টার মিলান সতীর্থদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ইসরায়েল তেহরানের মেহরাবাদ বিমানবন্দরে হামলা চালানোয় নিজেদের আকাশসীমা সাময়িক বন্ধ রেখেছে ইরান। ফলে ৩২ বছর বয়সী স্ট্রাইকারের নির্ধারিত ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়েছে।

বাংলাদেশ সময় আজ সকালে লিওনেল মেসির ইন্টার মায়ামি ও মিসরীয় ক্লাব আল আহলির ম্যাচ দিয়ে ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ শুরু হয়েছে। ইন্টার মিলানের প্রথম ম্যাচ মঙ্গলবার রাতে (বাংলাদেশ সময় বুধবার সকালে) মেক্সিকান ক্লাব মন্তেরেইয়ের বিপক্ষে। সেই ম্যাচে তারেমি খেলতে পারবেন না বলে নিশ্চিত করেছে ইন্টার মিলান।

এই ম্যাচ দিয়েই ইন্টারের প্রধান কোচ হিসেবে যাত্রা শুরু হবে ক্রিস্তিয়ান চিভুর। গত ৩১ মে উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনালে পিএসজির কাছে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার পর পদত্যাগ করেন সিমোন ইনজাগি। তাঁর জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন ৪৪ বছর বয়সী রোমানিয়ান চিভু।

শিগগিরই বিমান চলাচল স্বাভাবিক না হলে ইন্টারের পরের ম্যাচগুলোও মিস করতে পারেন তারেমি। ইন্টারের পরের দুই ম্যাচ ২১ ও ২৫ জুন। তিনি না থাকায় দলের অন্য দুই তারকা স্ট্রাইকার আর্জেন্টিনার লাওতারো মার্তিনেজ ও ফ্রান্সের মার্কাস থুরামকে বাড়তি দায়িত্ব সামলাতে হবে।

গত বছর পর্তুগিজ ক্লাব এফসি পোর্তো ছেড়ে ইন্টারে যোগ দেন তারেমি। ক্লাবটির হয়ে এখন পর্যন্ত তিনি ৩টি গোল করেছেন, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছেন ৯ গোল। সাবেক কোচ ইনজাগি বেশির ভাগ ম্যাচেই তাঁকে বদলি নামিয়েছেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ইন ট র ম ল ন ব শ বক প ইসর য় ল

এছাড়াও পড়ুন:

প্রতিষ্ঠার দেড় যুগ পর ইতিহাসের সাক্ষী হতে যাচ্ছে বেরোবি

‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নিয়ে অপেক্ষার প্রহর শেষ হতে চলেছে শিক্ষার্থীদের। গত ২৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের মাধ্যমে ‎বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের গেজেট প্রকাশ হয়ছে গঠনতন্ত্র।

এরই মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ১৭ বছর পর হতে যাচ্ছে কাঙিক্ষত কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ব্যাকসু নির্বাচন। তবে এর জন্য আমরণ অনশন থেকে শুরু করে সব ধরনের কর্মসুচিই পালন করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

আরো পড়ুন:

‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’

‎বেরোবিতে শহীদ আবু সাঈদ স্মৃতিস্তম্ভের মডেল প্রদর্শন

‎জুলাই অভ্যুত্থান পর গণরুম ও গেস্ট রুমের যে সাংস্কৃতি ছিল, তা এখন বন্ধ হয়েছে। কোনো রাজনৈতিক দলের কমকাণ্ডে সামিল হওয়াও বাধ্যতামুলক নয়।

‎তাই শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক দাবির পরিপ্রেক্ষিতে এ ছাত্র সংসদ। যাতে শিক্ষার্থীদের অধিকার ও স্বার্থ সুরক্ষিত হবে।

‎কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বেরোবির বিধিমালা অনুযায়ী, ১৩টি পদে সরাসরি নির্বাচন ও হল সংসদে নয়টি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যাতে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিনিধির মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে সব ধরনের কথা তুলে ধরতে পারবেন।

‎পরিসংখ্যান বিভাগের শিক্ষার্থী শেখর রায় বলেন, “সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও লেজুরবিত্তিক রাজনীতি ব্যতীত একটি নির্বাচন হোক। যোগ্য, আদর্শ, উত্তম চরিত্র ও মনের প্রার্থী বিজয়ী হোক। নির্বাচিত হয়ে তারা হয়ে উঠুক বেরোবির একেকজন যোগ্য প্রতিনিধি। তারা ন্যায়ের পক্ষে থাকুক । তাদের হাত ধরেই এগিয়ে যাক বেরোবি।”

‎গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী জাওয়াদ সাজিদ বলেন, “ছাত্র সংসদ শিক্ষার্থীদের দাবি, অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার প্রধান মঞ্চ। এটি প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে, যাতে প্রতিটি শিক্ষার্থীর কণ্ঠ পৌঁছে যায় সিদ্ধান্ত গ্রহণের টেবিলে। কিন্তু এজন্য সংসদকে দলীয় প্রভাবমুক্ত, স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক হতে হবে। প্রকৃত অর্থে ছাত্র সংসদ তখনই সফল, যখন তা শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধি হয়ে তাদের সমস্যার সমাধান ও কল্যাণে কাজ করে।”

‎অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “আমরা এমন ছাত্র সংসদ চাই, ‎যেখানে যোগ্য নেতৃত্ব আসবে এবং সব শিক্ষার্থীর সমস্যা সমাধানের হাতিয়ার হয়ে কাজ করবে। সবমিলিয়ে সবার বিশ্বস্ত জায়গা হবে এই ছাত্র সংসদ।”

ঢাকা/সাজ্জাদ/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ