জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ‘ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস (আইপিআর): ফস্টারিং ইনোভেশন অ্যান্ড ক্রিয়েটিভিটি’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

সোমবার (১৬ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের অফিস কনফারেন্স রুমে এ সেমিনারের আয়োজন করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।

আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড.

মো. আবু লায়েকের সভাপতিত্বে এবং রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান ও আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক মেজবাহ-উল-আজম সওদাগরের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (রুটিন দায়িত্ব) ও কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন।

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করতে গিয়ে অধ্যাপক ড. মো. আবু লায়েক বলেন, “আইপিআর উদ্ভাবন ও সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করার একটি গুরুত্বপূর্ণ কাঠামো হিসেবে কাজ করে। এটি উদ্ভাবকদের পেটেন্ট, কপিরাইট এবং ট্রেডমার্কের মতো মেধাসম্পদের ওপর আইনি অধিকার নিশ্চিত করে। যার ফলে গবেষণা ও উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়ে।”

তিনি আরো বলেন, “ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস জ্ঞানভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করে তোলে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।”

সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন এবং বিষয়বস্তুর ওপর মতামত বিনিময় করেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

‘ফিরিয়ে দাও’ থেকে ‘ধূসর সময়’: সিডনিতে একই মঞ্চে মাইলস ও আর্টসেল

সিডনির বসন্তের সন্ধ্যা। লিভারপুলের হুইটল্যাম লেজার সেন্টারের বাইরে তখন লম্বা লাইন—হাতে পতাকা, কাঁধে ব্যাগ, চোখে প্রত্যাশা। সাউন্ডচেকের শব্দ ভেসে আসছে বাইরে। ভেতরে যেন উন্মুখ এক ‘সাগর’, যেখানে মিশে আছে দুই প্রজন্মের মুখ, কণ্ঠ আর স্মৃতি। শনিবার রাতটি হয়ে উঠেছিল প্রবাসী বাঙালিদের জন্য এক ব্যতিক্রমী উৎসব—বাংলাদেশের ব্যান্ড সংগীতের দুই যুগের দুই প্রতীক, মাইলস ও আর্টসেল; প্রথমবারের মতো একই মঞ্চে গান করল সিডনিতে।
‘গ্রিনফিল্ড এন্টারটেইনমেন্ট’ আয়োজিত এই ‘মিউজিক ফেস্ট’ ঘিরে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মধ্যে যে উচ্ছ্বাস তৈরি হয়েছিল, তা যেন উপচে পড়ল সেই রাতে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার পরপরই সব শেষ। অনুষ্ঠান শুরুর ঘণ্টাখানেক আগে থেকেই সিডনির দক্ষিণ-পশ্চিম উপশহর লিভারপুলের রাস্তাগুলো ভরে গেল গানের ভক্তে।

আয়োজনের আগে ভিডিও বার্তায় মাইলস জানায় তাদের উচ্ছ্বাস। ব্যান্ডের অন্যতম সদস্য হামিন আহমেদ বলেন, ‘সিডনি বরাবরই আমাদের কাছে বিশেষ কিছু। সম্ভবত ১৯৯৬ সালে আমরাই প্রথম বাংলাদেশি ব্যান্ড হিসেবে অস্ট্রেলিয়ায় পারফর্ম করি। এরপর এ নিয়ে অন্তত পঞ্চমবারের মতো সিডনিতে এলাম। এখানকার দর্শকদের ভালোবাসা সব সময়ই অবিশ্বাস্য।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানতাম এটি স্মরণীয় একটি আয়োজন হতে যাচ্ছে। আমরা চেয়েছি সবাই একসঙ্গে গাইবে, চিৎকার করবে—ভক্তরা সেটাই করেছেন।’ গিটারিস্ট তুজো যোগ করেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি শহরে ট্যুর করছি, কিন্তু সিডনির আবহ একেবারেই আলাদা। দর্শকেরা আমাদের রাতটিকে স্মরণীয় করে দিয়েছেন।’

মঞ্চে আর্টসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ