ডেঙ্গু সংক্রমণ: ৫২ শতাংশ রোগী উপকূলের ১৩ জেলার
Published: 22nd, June 2025 GMT
দেশের দক্ষিণ উপকূলের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের ৫২ শতাংশই উপকূলের ১৩টি জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।
এই জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলাতেই ডেঙ্গু বেশি দেখা যাচ্ছে।
আজ রোববার কন্ট্রোল রুমের দেওয়া সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা যাওয়ার তথ্যও দিয়েছে কন্ট্রোল রুম। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭ হাজার ৭৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৭ জনই দেশের উপকূলের জেলাগুলোর মানুষ।
উপকূলের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি কেন, তা নিয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো বিশ্লেষণ সরকারি বা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অথবা বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তবে কোনো কোনো কীটতত্ত্ববিদ মনে করেন, উপকূলের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর ভাইরাস আছে এবং পাশাপাশি ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ আছে। আবার জনস্বাস্থ্যবিদদের একটি অংশ মনে করে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে কীটপতঙ্গবাহী যেসব রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি আছে, তার মধ্যে ডেঙ্গু অন্যতম।
এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম। এর মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ৫ জন। তবে প্রথম আলোর অনুসন্ধান বলছে, বরিশাল বিভাগে মৃত্যু সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপক ল র জ ল গ ল বর শ ল
এছাড়াও পড়ুন:
কুড়িগ্রামে হয়ে গেল কলাগাছের ভেলার বাইচ প্রতিযোগিতা
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলায় হয়ে গেলো পাঁচ দিনব্যাপী নৌকা বাইচের আদলে কলাগাছের ভেলার বাইচ প্রতিযোগিতা। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের মাঠের পাড় ছড়ায় প্রতিযোগিতার ফাইনাল খেলার আয়োজন করেন স্থানীয়রা। ব্যতিক্রম এ খেলা উপভোগ করেছেন বিভিন্ন বয়সী হাজারো মানুষ।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর শুরু হওয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেয় ভোগডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী ইউনিয়নের ১৮টি দল। একটি ভেলায় চার থেকে পাঁচজন প্রতিযোগী ছিলেন। রবিবার বিকেলে ফাইনাল খেলায় সুযোগ পায় গরীবের বন্ধু, দশের দোয়া, বটতলী এক্সপ্রেসসহ পাঁচটি দল। ফাইনালে দশের দোয়া দলকে হারিয়ে বিজয়ী হয় গরীবের বন্ধু ভেলা দল।
আরো পড়ুন:
রাবিতে প্রযুক্তি প্রেমীদের নিয়ে ‘রোবটিড ২.০’
ঝালডাঙ্গা বিলে নৌকা বাইচ, দর্শকদের ঢল
আয়োজকরা জানান, প্রতিযোগিতার বিজয়ী দলের হাতে প্রথম পুরস্কার হিসেবে দুইটি খাসি তুলে দেওয়া হয়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় স্থানে থাকা দলগুলোর হাতে যথাক্রমে একটি খাসি ও একটি রাজহাঁস তুলে দেওয়া হয়েছে।
প্রতিযোগিতা দেখতে আসা রবিন বলেন, “প্রায় হারিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে গ্রামীণ জনপদের হাডুডু, গরুর মই দৌঁড়সহ অনেক ঐতিহ্যবাহী খেলা। নৌকা বাইচের মতো কলাগাছের ভেলা প্রতিযোগিতা দেখতে পেয়ে খুব আনন্দিত আমি। এবারই প্রথম গলাগাছের ভেলা প্রতিযোগিতা দেখলাম।”
ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সাঈদুর রহমান বলেন, “হাজারো মানুষ আনন্দ আর উল্লাস করে কলাগাছের ভেলা প্রতিযোগিতা উপভোগ করেছেন। গ্রামাঞ্চলের মানুষের বিনোদনে এমন ব্যতিক্রমী খেলা আরো বেশি বেশি আয়োজন করা প্রয়োজন।”
ঢাকা/বাদশাহ/মাসুদ