দেশের দক্ষিণ উপকূলের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি দেখা যাচ্ছে। ডেঙ্গু আক্রান্তের ৫২ শতাংশই উপকূলের ১৩টি জেলার বাসিন্দা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সর্বশেষ পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে।

এই জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা, পিরোজপুর, বরগুনা, ঝালকাঠি, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার। এর মধ্যে বরিশাল বিভাগের ছয়টি জেলাতেই ডেঙ্গু বেশি দেখা যাচ্ছে।

আজ রোববার কন্ট্রোল রুমের দেওয়া সর্বশেষ হিসাবে দেখা গেছে, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৩২৯ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এ ছাড়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন মারা যাওয়ার তথ্যও দিয়েছে কন্ট্রোল রুম। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৭ হাজার ৭৫৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ৪ হাজার ২৭ জনই দেশের উপকূলের জেলাগুলোর মানুষ।

উপকূলের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেশি কেন, তা নিয়ে এখনো উল্লেখযোগ্য কোনো বিশ্লেষণ সরকারি বা বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অথবা বিজ্ঞানীদের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি। তবে কোনো কোনো কীটতত্ত্ববিদ মনে করেন, উপকূলের জেলাগুলোতে ডেঙ্গুর ভাইরাস আছে এবং পাশাপাশি ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার বংশবিস্তারের উপযুক্ত পরিবেশ আছে। আবার জনস্বাস্থ্যবিদদের একটি অংশ মনে করে, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের কারণে কীটপতঙ্গবাহী যেসব রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ার ঝুঁকি আছে, তার মধ্যে ডেঙ্গু অন্যতম।

এ বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ৩২ জনের মৃত্যুর তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোল রুম। এর মধ্যে অর্ধেক অর্থাৎ ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে। বরিশাল বিভাগে মারা গেছেন ৫ জন। তবে প্রথম আলোর অনুসন্ধান বলছে, বরিশাল বিভাগে মৃত্যু সরকারি হিসাবের চেয়ে বেশি।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপক ল র জ ল গ ল বর শ ল

এছাড়াও পড়ুন:

এমবিই খেতাবে ভূষিত এমজেএফ নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম

যুক্তরাজ্যের সম্মানসূচক এমবিই (মেম্বার অব দ্য মোস্ট এক্সিলেন্ট অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার) উপাধিতে ভূষিত হয়েছেন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম।

আজ বুধবার ঢাকায় ব্রিটিশ হাইকমিশনে একটি অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক আনুষ্ঠানিকভাবে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের (এমজেএফ) নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনামের হাতে এমবিই খেতাবের স্মারক তুলে দেন।

বাংলাদেশে সামাজিক ন্যায়বিচার, অন্তর্ভুক্তি ও লিঙ্গ সমতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাজা তৃতীয় চার্লস শাহীন আনামকে অনারারি এমবিই খেতাবের জন্য মনোনীত করেছিলেন।

বাংলাদেশে মানবাধিকার উন্নয়ন ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে যৌথভাবে কাজ করতে যুক্তরাজ্য দুই দশকের বেশি সময় ধরে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী অংশীদারত্ব বজায় রেখেছে। এই অংশীদারত্বের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য সরকার ৪৬০টির বেশি তৃণমূল সংগঠনকে সহায়তা দিয়েছে। এর ফলে সবার জন্য মর্যাদা, অন্তর্ভুক্তি ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার পরিবর্তনশীল কর্মসূচি বাস্তবায়িত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে সারাহ কুক বলেন, ‘আমি রাজা তৃতীয় চার্লসের পক্ষ থেকে শাহীন আনামকে এই পুরস্কার প্রদান করতে পেরে আনন্দিত। মানবাধিকার, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং লিঙ্গ সমতার প্রতি তাঁর অক্লান্ত নিষ্ঠা ও প্রতিশ্রুতি বাংলাদেশে দীর্ঘস্থায়ী প্রভাব ফেলেছে—যা আমাদের দুই দেশের মধ্যকার মূল্যবোধ ও টেকসই অংশীদারত্বের প্রতিফলন।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ