সাতক্ষীরায় চেক প্রতারণার মামলায় ইভ্যালির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে চেকে বর্ণিত টাকার সমপরিমাণ জরিমানা করা হয়েছে। আজ রোববার বিকেল চারটার দিকে সাতক্ষীরা যুগ্ম জেলা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. হাবিবুর রহমান এ আদেশ দেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান এলাকার শেখ তানজির আহমেদ ইভ্যালিতে একটি অ্যাপাসি ১৬০ সিসির সিঙ্গেল ডিস্ক মোটরসাইকেল অর্ডার ও ক্রয়মূল্য পরিশোধ করেন। মোটরসাইকেলটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরবরাহ করতে না পারায় ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ তাঁকে ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকার একটি চেক দেয়। চেকটি নগদায়নের সর্বশেষ তারিখ ছিল ২০২২ সালের ১১ জানুয়ারি। বাদী চেকটি তাঁর নিজ হিসাবে জমা দিলে চেকটি ডিজঅনার হয়। এ বিষয়ে ইভ্যালিকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়। ২০২২ সালের ৩০ জানুয়ারি ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ নোটিশটি গ্রহণ করে। কিন্তু তারা বাদীর পাওনা অর্থ পরিশোধের কোনো উদ্যোগ না নেওয়ায় বাদী সাতক্ষীরা আমলি ১ নম্বর আদালতে ইভ্যালির সিইও মো.

রাসেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

মামলায় আদালত আজ মো. রাসেলকে তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও চেকে বর্ণিত টাকার সমপরিমাণ জরিমানা করেন। তবে রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সাতক্ষীরা আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি এ বি এম ইমরান রায়ের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

পাঁচ বছরে ৩৯.৬১ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি

বাংলাদেশে ২০২০ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ৩৯ দশমিক ৬১ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে ২০ দশমিক ২৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এসব তুলা আমদানির মাধ্যমে তৈরী পোশাক শিল্পে কাঁচামালের চাহিদা পূরণ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

বাংলাদেশে তুলা সরবরাহকারী দেশগুলোর মধ্যে আছে— যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ব্রাজিল, চীন এবং কয়েকটি আফ্রিকান দেশ। এ দেশগুলোর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ৫ বছরে বাংলাদেশ ২ দশমিক ৮৪ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করেছে, যার দাম ১ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

আরো পড়ুন:

দেশে দেশে ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক কার্যকর

‘আলোকিত স্বার্থবোধের’ ভিত্তিতে পররাষ্ট্রনীতি নিয়েছি আমরা: তৌহিদ হোসেন

বছরওয়ারি তুলা আমদানির পরিসংখ্যান থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে বিভিন্ন দেশ থেকে বাংলাদেশে ৬ দশমিক ৫২ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করেছে, যার মূল্য ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলার। ২০২১ সালের আমদানি করেছে ১০ দশমিক শূন্য ৮ মিলিয়ন বেল, বাজারমূল্য ছিল ৪ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। ২০২২ সালে ৮ দশমিক ৩৭ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি করা হয়েছে বাংলাদেশে, যার দাম ৫ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার। ২০২৩ সালে তুলা আমদানির পরিমাণ ছিল ৬ দশমিক ২৬ মিলিয়ন বেল, যার দাম ৩ দশমিক ৩২ বিলিয়ন ডলার। ২০২৪ সালে তুলা আমদানির পরিমাণ ৮ দশমিক ৩৮ মিলিয়ন বেল, যার বাজারমূল্য ৩ দশমিক ৯২ বিলিয়ন ডলার।

গত পাঁচ বছরের মধ্যে ২০২২ সালে সর্বোচ্চ তুলা আমদানি করা হয়েছিল। সবচেয়ে কম আমদানি করা হয়েছিল ২০২৩ সালে। ২০২৪ সাল থেকে আবার তুলা আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে।

বিজিএমইএ জানিয়েছে, মার্কিন ‍যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানির প্রায় ৭৫ শতাংশ হচ্ছে তুলাভিত্তিক পোশাক। অপরদিকে, মার্কিন শুল্ক সংক্রান্ত নির্বাহী আদেশে বলা আছে, যদি ন্যূনতম ২০ শতাংশ যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল (যেমন: তুলা) ব্যবহার করা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামালের মূল্যের ওপর এই অতিরিক্ত ২০ শতাংশ শুল্ক বাংলাদেশের জন্য প্রযোজ্য হবে না। অর্থাৎ যুক্তরাষ্ট্রের কাঁচামাল ব্যবহার করলে আমরা বাড়তি কিছু শুল্ক ছাড় পাব। অর্থাৎ বাংলাদেশি পণ্যের ওপর আরোপিত বাড়তি শুল্কের হার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। আজ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্ক হার কার্যকর হয়েছে।  

ঢাকা/নাজমুল/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • পাঁচ বছরে ৩৯.৬১ মিলিয়ন বেল তুলা আমদানি
  • ঢাকায় বস্তির ৯৮ শতাংশের দেহে অতিমাত্রায় সিসা
  • জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রিলিমিনারি টু মাস্টার্স ভর্তি শুরু কাল থেকে
  • দেহব্যবসায় নামানোর চেষ্টার অভিযোগে স্বামীর বিরুদ্ধে সানাইয়ের মামলা
  • রাশিয়ার ওপর পরোক্ষ শুল্ক আরোপ করছেন ট্রাম্প, কী প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে
  • মাদক–বিতর্ক পেছনে ফেলে ফিরছেন লোহান