একসময় ক্রীড়াপ্রেমীদের পদচারণায় মুখর ছিল মাদারীপুর জেলা স্টেডিয়াম। এখন তা রূপ নিয়েছে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলে। স্থানীয়রা অভিযোগ করছেন, প্রতিদিন সন্ধ্যার পর স্টেডিয়ামে বসে মাদকের আসর, চলে প্রকাশ্যেই মাদক বিক্রি ও সেবন। অথচ, এ স্টেডিয়ামের পাশেই মাদারীপুর সদর থানা। তবু, প্রশাসনের দৃষ্টি এড়িয়ে যাচ্ছে এ মারাত্মক পরিস্থিতি।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সন্ধ্যার পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত স্টেডিয়ামের বিভিন্ন কোণায় গাঁজা, ইয়াবা ও ফেনসিডিল সেবন এখন যেন নৈমিত্তিক ব্যাপার। মাদকের এই অবাধ বিস্তারের পেছনে পুলিশের নিরব ভূমিকাই প্রধান কারণ বলে অভিযোগ করছেন এলাকাবাসী।
এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন, “আমরা শিশুদের নিয়ে মাঠে যেতে পারি না। ভয় হয়, কখন কী হয়ে যায়। স্টেডিয়াম এখন আর খেলার মাঠ নেই, হয়ে উঠেছে মাদকের হাট।”
স্থানীয় রাজনীতিক ও আইনজীবী মাসুদ পারভেজ বলেছেন, “প্রশাসন যদি এখনই ব্যবস্থা না নেয়, তাহলে যুবসমাজ ধ্বংস হয়ে যাবে। আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি বারবার, কিন্তু কোনো কার্যকর পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।”
এ বিষয়ে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আদিল হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি দায় এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ওসি বলেন, মাদক প্রতিরোধের দায়িত্ব শুধু পুলিশের একার নয়।
স্থানীয়রা মনে করেন, অবিলম্বে স্টেডিয়াম এলাকায় পুলিশি টহল ও নিয়মিত নজরদারির ব্যবস্থা না করলে পরিস্থিতি আরো অবনতির দিকে যাবে।
তারা পুলিশসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দায়িত্বশীল ভূমিকা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
ঢাকা/বেলাল/রফিক
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ডাকাতির সময় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ, গ্রেপ্তার ২
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলায় ডাকাতির সময় এক গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার রাতে ওই ঘটনার পর রোববার সন্ধ্যায় মামলা করেন ভুক্তভোগীর স্বামী। এরপর অভিযান চালিয়ে সোমবার ভোরে দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে লক্ষ্মীপুর সদর থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তার দু’জন হলো মো. সোহেল ও নুর করিম। তারা একই এলাকার বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ঘটনার রাতে দেশি অস্ত্রসহ ছয়জনের একটি দল ভুক্তভোগীর বাড়িতে হানা দেয়। ঘরে ঢুকে তারা গৃহকর্তাকে বেঁধে ফেলে। পরে আলমারি ও অন্যান্য স্থান খুঁজে টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করে। একপর্যায়ে ডাকাতদের কয়েকজন গৃহকর্ত্রীকে ধর্ষণ করে।
এদিকে মুখোশ পরা থাকলেও ভুক্তভোগী পরিবার ডাকাত দলের দু’জনকে চিনে ফেলে। পরে ওই দু’জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতপরিচয় চারজনকে আসামি করে লক্ষ্মীপুর সদর থানায় মামলা করা হয়। এরপর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে সোহেল ও নুর করিমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ঝলক মোহন্ত বলেন, গ্রেপ্তার দুই আসামিকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর ভুক্তভোগী নারীকে চিকিৎসা ও মেডিকেল পরীক্ষার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পলাতক চার আসামিকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।