মেসির জন্মদিন ম্লান করে ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প লিখল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস
Published: 24th, June 2025 GMT
লিওনেল মেসির ৩৮তম জন্মদিনে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারল না ইন্টার মায়ামি। উল্টো ক্লাব বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে মায়ামির বিপক্ষে ঘুরে দাঁড়ানোর দারুণ এক গল্প লিখল ব্রাজিলিয়ান ক্লাব পালমেইরাস। ম্যাচে ৭৯ মিনিট পর্যন্ত মায়ামির তায়েদো আলেন্দে ও লুইস সুয়ারেজের গোলে ২–০ ব্যবধানে পিছিয়ে ছিল পালমেইরাস।
কিন্তু হাল না ছেড়ে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার ফল শেষ পর্যন্ত পেয়েছে তারা। ৮০ ও ৮৭ মিনিটে দুই গোল শোধ করে শেষ পর্যন্ত ২–২–এ ম্যাচ ড্র করেছে ব্রাজিলিয়ান ক্লাবটি। পালমেইরাসের হয়ে গোল দুটি করেন পাউলোনিও এবং মাউরিসিও।
এই ড্রয়ে গ্রুপ ‘এ’ থেকে শীর্ষ দল হিসেবে শেষ ষোলোয় উঠল পালমেইরাস। ৩ ম্যাচ শেষে পালমেইরাস ও মায়ামির পয়েন্ট সমান ৫। কিন্তু গোল ব্যবধানে মায়ামির (+১) চেয়ে এগিয়ে ছিল পালমেইরাস (+২)।
আরও পড়ুনলিওনেল মেসির আজ জন্মদিন: এমন মানবজনম আর কি হবে২ ঘণ্টা আগেএই গ্রুপের অন্য ম্যাচে রুদ্বশ্বাস এক লড়াই উপহার দিয়েছে পোর্তো ও আল আহলি। উত্থান–পতনের রোমাঞ্চ শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হয়েছে ৪–৪ গোলে। তবে দুই দলকেই গ্রুপ পর্ব শেষেই বিদায় নিতে হচ্ছে। শেষ ষোলোয় মেসির সাবেক ক্লাব পিএসজির মুখোমুখি হবে ইন্টার মায়ামি। পালমেইরাস মুখোমুখি হবে স্বদেশি ক্লাব বোতাফোগোর।
গোলের পর মাউরিসিউর উদ্যাপন.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল