‘ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি ঘোষণা না যাচাইযোগ্য, না স্থায়ী’
Published: 24th, June 2025 GMT
ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষিত যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে সমালোচনা করেছেন সাবেক মার্কিন কর্মকর্তা নেড প্রাইস। তিনি বলেছেন, ট্রাম্পের এই ঘোষণা ‘না যাচাইযোগ্য, না স্থায়ী’।
জো বাইডেন শাসনামলে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ছিলেন নেড প্রাইস। খবর আলজাজিরার।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একাধিক পোস্টে নেড প্রাইস লেখেন, “যদি সত্যিকারের সাফল্য চাই, তবে সেটা হতো— ইরানকে স্থায়ী ও যাচাইযোগ্যভাবে পরমাণু অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। অথচ ট্রাম্প ২০১৮ সালে যে পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেছিলেন, তাতে ঠিক এই ব্যবস্থাটিই ছিল।”
আরো পড়ুন:
আইএইএর সঙ্গে সহযোগিতা স্থগিতের চিন্তা করছে ইরান
হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা হবে অর্থনৈতিক আত্মহত্যা: যুক্তরাষ্ট্র
২০১৫ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার নেতৃত্বে ইরান ও ছয়টি বিশ্বশক্তির মধ্যে পরমানু চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। ট্রাম্প ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রকে সেই চুক্তি থেকে একতরফাভাবে সরিয়ে নেন। নেড প্রাইস তার পোস্টে ঐতিহাসিক ওই চুক্তির কথা উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, “এই মুহূর্তে ট্রাম্প প্রশাসনের উচিত কূটনৈতিকভাবে এগিয়ে গিয়ে একটি বাস্তব, দীর্ঘমেয়াদি সমাধান খোঁজা। না হলে, যুদ্ধের পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা ইরানকে পরমাণু অস্ত্র তৈরির পথে আরো এগিয়ে দিতে পারে।”
তিনি সতর্ক করেন যে, শুধু যুদ্ধবিরতি ঘোষণা যথেষ্ট নয়; একটি টেকসই, যাচাইযোগ্য ও আন্তর্জাতিকভাবে সমর্থিত কূটনৈতিক চুক্তিই হতে পারে ইরান সংকট নিরসনের একমাত্র কার্যকর পথ।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র
এছাড়াও পড়ুন:
আন্তর্জাতিক আদালতে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত হলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে
ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুতার্তেকে মানবতাবিরোধী অপরাধের তিনটি অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। অভিযোগে বলা হয়েছে, দুতার্তে ক্ষমতায় থাকার সময় দেশে পরিচালিত তথাকথিত ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধে’ অন্তত ৭৬ জনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
দুতার্তের বয়স এখন ৮০ বছর। গত মার্চ মাস থেকে তিনি নেদারল্যান্ডসে একটি আটককেন্দ্রে বন্দিজীবন কাটাচ্ছেন। গতকাল সোমবার আইসিসির প্রকাশিত নথিতে দুতার্তের বিরুদ্ধে ওই অভিযোগের বিষয়ে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুনআইসিসির পরোয়ানা: ফিলিপাইনের সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে গ্রেপ্তার১১ মার্চ ২০২৫দুতার্তের নেতৃত্বে ফিলিপাইনে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনা করা হয়েছিল। এতে সন্দেহভাজন হাজারো মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী নিহত হয়েছিলেন।
গত জুলাইয়ের শুরুর দিকে আইসিসির ডেপুটি প্রসিকিউটর মামে মান্দিয়ে নিয়াংয়ের সই করা অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে কয়েক ডজন মানুষের প্রাণহানির পেছনে দুতার্তের ব্যক্তিগত অপরাধমূলক দায় রয়েছে।
দুতার্তেকে গত ১১ মার্চ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে নেদারল্যান্ডসে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি আইসিসির তত্ত্বাবধানে বন্দী আছেন। দুতার্তে বরাবর তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ’ বলছেন।প্রথম অভিযোগটি দুতার্তে যখন দাভাও শহরের মেয়র ছিলেন, তখনকার। বলা হয়েছে, ২০১৩ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে ১৯ জনকে হত্যায় ‘পরোক্ষ সহ–অপরাধী’ (প্রত্যক্ষভাবে অপরাধে যুক্ত না হলেও অন্যকে প্রভাবিত বা সহায়তা করে অপরাধে জড়িত হওয়া ব্যক্তি) ছিলেন তিনি।
আইসিসির দ্বিতীয় ও তৃতীয় অভিযোগ দুটি দুতার্তের প্রেসিডেন্ট থাকার সময়ের। এগুলোর প্রথমটি ২০১৬ ও ২০১৭ সালে গুরুত্বপূর্ণ ১৪ জনকে হত্যার সঙ্গে সম্পর্কিত। শেষেরটি ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে নিম্ন স্তরের অভিযুক্ত ব্যক্তিদের (সাধারণ অপরাধী বা দায়ী ব্যক্তি) বিরুদ্ধে ‘ক্লিয়ারেন্স’ অভিযান চলাকালে ৪৩টি হত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।
আরও পড়ুনফিলিপাইনে মাদকবিরোধী যুদ্ধের সব দায় নিলেন দুতার্তে১৩ মার্চ ২০২৫এ ছাড়া নথিতে উল্লেখ আছে, মোট ৭৬টি হত্যাকাণ্ড পুলিশ ও কিছু অ-রাষ্ট্রীয় হত্যাকারী গ্রুপ বা গোষ্ঠীর হাতে সংঘটিত হয়েছে।
দুতার্তেকে গত ১১ মার্চ ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাঁকে নেদারল্যান্ডসে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেখানে তিনি আইসিসির তত্ত্বাবধানে বন্দী আছেন। দুতার্তে বরাবর তাঁর গ্রেপ্তারকে ‘অবৈধ’ বলছেন।
আরও পড়ুনএখন দুতার্তেকে কী করা হবে১১ মার্চ ২০২৫