ফরিদপুরে তেলবাহী লরির সঙ্গে সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের দুই আরোহী নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ফরিদপুর পৌরসভার ব্রাহ্মণকান্দা এলাকায় ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের বাইপাস সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত দুজন হলেন ফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের সাচিয়া গ্রামের ক্ষিতিশ মজুমদারের ছেলে শ্রীবাস মজুমদার (৪০) ও জালাল মোল্লার ছেলে রাশেদ মোল্লা (২২)।

করিমপুর হাইওয়ে থানা-পুলিশ জানায়, গতকাল রাতে শ্রীবাস ও রাশেদ মোটরসাইকেলে করে রাজবাড়ী রাস্তার মোড় থেকে মুন্সিরবাজার মোড় এলাকায় যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি তেলের লরির সঙ্গে বাইপাস সড়কে বিসমিল্লাহ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপের সামনে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে শ্রীবাস ঘটনাস্থলেই মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় রাশেদকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। রাত ১১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

হাসপাতালের সার্জারি ওয়ার্ডের সিনিয়র নার্স শম্পা ইসলাম বলেন, রাত ১০টার দিকে রাশেদকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁর অবস্থা সংকটজনক ছিল। রাত ১১টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহ্উদ্দীন চৌধুরী বলেন, মরদেহ দুটি হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে আজ দুপুরের মধ্যে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। দুর্ঘটনাকবলিত মোটরসাইকেল ও লরি জব্দ করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে আটক করা যায়নি।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ