‘পাঠালি’ গ্রুপের দুই শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ গ্রেপ্তার ১৬
Published: 24th, June 2025 GMT
রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে পাঠালি গ্রুপের শীর্ষ সন্ত্রাসী ইয়াসিন ও শরীফসহ বিভিন্ন অপরাধে জড়িত ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে এ অভিযান চালানো হয়। এ দিন পৃথক অভিযানে আরও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার অপর ১৪ জন হলেন- সাবিত ইবনে, রফিকুল ইসলাম, ফারুক, আরিফ, সাজ্জাদ, আলামিন, রাকিব মিয়া, মেহেদি হাসান বাপ্পি, সলেমান, আখতারুজ্জামান টিটপ, বায়োজিদ ওরফে রানা, রায়হান, রাজু ও সুজন।
মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানায়, গত ১৪ মে রাতে মোহাম্মদপুরের জাফরাবাদ এলাকায় বাগবিতণ্ডার জের ধরে পাঠালি গ্রুপের নেতা হাসান, ইয়াসিন, পিঁপড়া রাজিবসহ ১০-১২ জন নিজের দলের রাব্বি, সাব্বির, কাশেমসহ ছয়জনকে চাপাতি দিয়ে কোপায়। এ ঘটনার পর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা হলে পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালায়। এর আগে পাঠালি গ্রুপের সেকেন্ড ইন কমান্ড সাহিন ও পিঁপড়া রাজিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার রাতে রায়েরবাজারের বোটঘাট এলাকা থেকে চাপাতিসহ ইয়াসিনকে করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে কাদিরাবাদ থেকে শরীফকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর শরীফের তথ্যে বোটঘাট খালপাড় থেকে আরেকটি চাপাতি উদ্ধার করা হয়। একই রাতে পৃথক অভিযানে বিভিন্ন অপরাধে জড়িত আরও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম হ ম মদপ র থ গ র প ত র কর
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল