ছোট পর্দার জনপ্রিয় মুখ পারসা ইভানা এখন যুক্তরাষ্ট্রে। নিউ ইয়র্কের ‘দ্য ফ্রিম্যান স্টুডিও’ থেকে অভিনয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ছোট পর্দার প্রিয় এই মুখ ক্যামেরা থেকে কিছুটা দূরে থাকলেও, নাচের মঞ্চে ঠিকই আলো ছড়াচ্ছেন। মনোরম প্রবাসজীবনে পারসার প্রাণখোলা নৃত্য আর অভিব্যক্তি মুগ্ধ করছে সোশ্যাল মিডিয়ার দর্শকদের।

শুধু দর্শক নয়, অভিনয়ে অনুপস্থিতি পারসাকেও আলোড়িত করছে ভেতর থেকে। তাই তো এই দূরদেশে থেকেও নিজের গভীর উপলব্ধির কথা শেয়ার করলেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। গতকাল (২৪ জুন) নিজের ফেসবুকে পারসা লেখেন, “আপনারা যেমন আমায় মিস করেন, আমি তার থেকেও বেশি মিস করি আমার কাজকে। ভালো কিছু করতে গেলে মাঝেমধ্যে একটু বিরতি দরকার হয়। এই দূরদেশে এসেছি অভিনয়ের প্রশিক্ষণ নিতে, শুধু আপনাদের জন্য; যেন আরো ভালো কিছু উপহার দিতে পারি।”

নতুন রূপে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়ে পারসা লেখেন, “জীবন অনেক কিছু নিয়ে যায়, তবু হেরে গেলে চলবে না। ফিরে আসতেই হবে নতুন করে, নতুন রূপে! আমি আমার সকল দর্শককে ভালোবাসি। আমার জন্য দোয়া করবেন সবাই।”

আরো পড়ুন:

প্রেমিককে পরিচয় করালেও মাহি কেন বিয়ে করছেন না?

খুর মার্কা নিয়ে ভোটযুদ্ধে ব্যাচেলর পয়েন্টের শিমুল, পোস্টার ভাইরাল

জানা গেছে, ‘দ্য ফ্রিম্যান স্টুডিও’র প্রতিষ্ঠাতা ও প্রশিক্ষক স্কট দীর্ঘদিন ধরে বিশ্বজুড়ে অভিনেতাদের গাইড করছেন। অনলাইনে জুম প্ল্যাটফর্মে পারসা অডিশন দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে যান।

‘ব্যাচেলর পয়েন্ট’, ‘গুডবাজ’, ‘ব্যাডবাজ’— নাটকে অভিনয় করে যে পারসা দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন, সেই পারসা অভিনয়ের বাইরেও একজন দুর্দান্ত মডার্ন ড্যান্সার। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক শহরে তার নাচের পরিবেশনা ছড়িয়ে দিচ্ছে আনন্দের রং।

ঢাকা/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ