সোনারগাঁয়ে বেতনের দাবিতে মহাসড়ক অবরোধ, শ্রমিক বিক্ষোভ
Published: 24th, June 2025 GMT
সোনারগাঁয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পাটকলের শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকরা ‘বকেয়া বেতন চাই’, ‘শ্রমিক ছাঁটাই চলবে না’ এমন নানা স্লোগানে বিক্ষোভ করেন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টার দিকে মালেক জুট মিলেল শ্রমিকরা মহাসড়কের কাঁচপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিলটি করেন।
এতে মহাসড়কের মদনপুর থেকে শিমরাইল এলাকা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকা যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ গিয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করলে ১০টার দিকে তারা সরে যান। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রমিকদের অভিযোগ, মালেক জুট মিল কর্তৃপক্ষ গত চার সপ্তাহ ধরে বেতন বকেয়া রেখেছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়াই মিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারা জানান, এ ঘোষণার প্রতিবাদ ও বেতন পরিশোধের দাবিতেই তারা মহাসড়কে অবস্থান নেন।
বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আজকের মধ্যেই বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই ছাঁটাই কিংবা সন্ত্রাসী দিয়ে মিল বন্ধের চেষ্টা করলে আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন তারা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মালেক জুট মিলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিজিএম) মাকসুদুর রহমান ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।
কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক মাকসুদুর রহমান জানান, বকেয়া পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে।
কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, মালিকপক্ষ কথা বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করলে শ্রমিকরা তা মেনে নিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যায়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল