সোনারগাঁয়ে বকেয়া বেতনের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন পাটকলের শ্রমিকরা। এ সময় শ্রমিকরা ‘বকেয়া বেতন চাই’, ‘শ্রমিক ছাঁটাই চলবে না’ এমন নানা স্লোগানে বিক্ষোভ করেন।

মঙ্গলবার (২৪ জুন) সকাল ৮টার দিকে মালেক জুট মিলেল শ্রমিকরা মহাসড়কের কাঁচপুর এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিলটি করেন।

এতে মহাসড়কের মদনপুর থেকে শিমরাইল এলাকা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার এলাকা যানজটের সৃষ্টি হয়। চরম ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ ও কারখানা কর্তৃপক্ষ গিয়ে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করলে ১০টার দিকে তারা সরে যান। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

শ্রমিকদের অভিযোগ, মালেক জুট মিল কর্তৃপক্ষ গত চার সপ্তাহ ধরে বেতন বকেয়া রেখেছে। এর মধ্যে হঠাৎ করে কোনো নোটিশ ছাড়াই মিল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তারা জানান, এ ঘোষণার প্রতিবাদ ও বেতন পরিশোধের দাবিতেই তারা মহাসড়কে অবস্থান নেন।

বিক্ষোভকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আজকের মধ্যেই বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। কোনো ধরনের নোটিশ ছাড়াই ছাঁটাই কিংবা সন্ত্রাসী দিয়ে মিল বন্ধের চেষ্টা করলে আবারও রাস্তায় নামতে বাধ্য হবেন তারা।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান মালেক জুট মিলের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক (ডিজিএম) মাকসুদুর রহমান ও কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে আলোচনা করেন।

কারখানার উপমহাব্যবস্থাপক মাকসুদুর রহমান জানান, বকেয়া পরিশোধ করা হবে। শ্রমিকরা আন্দোলন প্রত্যাহার করেছে।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওয়াহিদ মোর্শেদ জানান, মালিকপক্ষ কথা বলে শ্রমিকদের আশ্বস্ত করলে শ্রমিকরা তা মেনে নিয়ে মহাসড়ক থেকে সরে যায়। বর্তমানে যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

সিলেটে মোটরসাইকেলে এসে অ্যাম্বুলেন্সে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

সিলেটে শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা একটি অ্যাম্বুলেন্স ও কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে রাখা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে গতকাল শনিবার রাতের দুটি ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।

শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিজানুর রহমান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, হাসপাতালের ক্লোজড সার্কিট ক্যামেরায় দেখা গেছে, শনিবার রাতে দুটি মোটরসাইকেলে করে দুর্বৃত্তরা আসে। তারা মোটরসাইকেল রাস্তায় রেখে হাসপাতালের ভেতরে ঢুকে। পরে হাসপাতালের পার্কিংয়ে থাকা অ্যাম্বুলেন্সে পেট্রল ছিটিয়ে আগুন ধরিয়ে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। তাদের মাথায় হেলমেট ও গায়ে হুডি পরা ছিল।

খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমে দায়িত্বে থাকা সদস্য জুনাইদ জানান, শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গতকাল রাত ৩টা ১৫ মিনিটে তাঁরা ঘটনাস্থলে যান। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে রাত ৩টা ৪৮ মিনিটে ফিরে আসেন। অন্যদিকে কুমারগাঁও বাসস্ট্যান্ডে অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে গতকাল রাত ৩টা ৫০ মিনিটে গিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে আজ রোববার ভোর ৪টা ৫০ মিনিটে ফিরে আসেন।

আজ সকালে সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনায় কারা জড়িত, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ