রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করতে গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত নয় মাসে সাড়ে ১৬ হাজার অভিযান পরিচালনা করেছে। যার মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৯৯৪ কোটি টাকা। মঙ্গলবার এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।

সেখানে বলা হয়, সেপ্টেম্বর-মে সময়ে এনবিআরের দুই অনুবিভাগের (কাস্টমস ও আয়কর) মাঠ পর্যায়ের দপ্তর এবং গোয়েন্দা ইউনিটগুলো মোট ১৬ হাজার ৫৭২টি কর বা রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব ঘটনায় ৬ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে এনবিআর বলছে, এর মধ্যে ৯৯৪ কোটি টাকা আদায় করা গেছে।

এই সময়ে বিভিন্ন কাস্টম হাউজ মোট ২ হাজার ২১৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে; যাতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১৮৩ কোটি টাকা। এর পুরোটাই আদায় করার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

এছাড়া বিভিন্ন ভ্যাট কমিশনারেট মোট ৬ হাজার ৮০৩টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে, যাতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৫১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট ৮৯ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।

ভ্যাট গোয়েন্দা ২৩১টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান চালিয়েছে। এসব ঘটনায় ১ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল, আদায় হয়েছে মোট ২৪০ কোটি টাকা।

কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এ সময়ে রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করে মোট ৭৩ (তিয়াত্তর) কোটি টাকা আদায় করেছে।

সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ১৮১টি অভিযানে আদায় করেছে ১৯৪ কোটি টাকা।

আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট মোট ১৭০টি কর ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান চালায়। এসব অভিযানে ১১০ কোটি টাকা আদায় করা হয়।

এছাড়া বিভিন্ন কর অঞ্চল (৪১টি) মোট ৬ হাজার ৯৭২টি কর ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। আদায় হয়েছে ১০৫ কোটি টাকার রাজস্ব।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এনব আর অভ য ন

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ