৯ মাসে এনবিআরের সাড়ে ১৬ হাজার অভিযান, আদায় ৯৯৪ কোটি টাকা
Published: 24th, June 2025 GMT
রাজস্ব ফাঁকির ঘটনা উদঘাটন করতে গিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড গত নয় মাসে সাড়ে ১৬ হাজার অভিযান পরিচালনা করেছে। যার মাধ্যমে আদায় হয়েছে ৯৯৪ কোটি টাকা। মঙ্গলবার এনবিআরের জনসংযোগ দপ্তর থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য দেওয়া হয়।
সেখানে বলা হয়, সেপ্টেম্বর-মে সময়ে এনবিআরের দুই অনুবিভাগের (কাস্টমস ও আয়কর) মাঠ পর্যায়ের দপ্তর এবং গোয়েন্দা ইউনিটগুলো মোট ১৬ হাজার ৫৭২টি কর বা রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। এসব ঘটনায় ৬ হাজার ২৪৬ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল জানিয়ে এনবিআর বলছে, এর মধ্যে ৯৯৪ কোটি টাকা আদায় করা গেছে।
এই সময়ে বিভিন্ন কাস্টম হাউজ মোট ২ হাজার ২১৫টি অভিযান পরিচালনা করেছে; যাতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ১৮৩ কোটি টাকা। এর পুরোটাই আদায় করার কথা বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
এছাড়া বিভিন্ন ভ্যাট কমিশনারেট মোট ৬ হাজার ৮০৩টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে, যাতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ ছিল ৫১৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে মোট ৮৯ কোটি টাকা আদায় হয়েছে।
ভ্যাট গোয়েন্দা ২৩১টি রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান চালিয়েছে। এসব ঘটনায় ১ হাজার ৬৩৯ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া হয়েছিল, আদায় হয়েছে মোট ২৪০ কোটি টাকা।
কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর এ সময়ে রাজস্ব ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করে মোট ৭৩ (তিয়াত্তর) কোটি টাকা আদায় করেছে।
সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) ১৮১টি অভিযানে আদায় করেছে ১৯৪ কোটি টাকা।
আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট মোট ১৭০টি কর ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান চালায়। এসব অভিযানে ১১০ কোটি টাকা আদায় করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন কর অঞ্চল (৪১টি) মোট ৬ হাজার ৯৭২টি কর ফাঁকি উদঘাটনের অভিযান পরিচালনা করেছে। আদায় হয়েছে ১০৫ কোটি টাকার রাজস্ব।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন থেকে আয়কর কাটার নির্দেশ
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্দিষ্ট বেতনসীমা অতিক্রম করলেই মাসিক বেতন থেকে উৎসে আয়কর কর্তন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। চলতি আয় বছর থেকেই বেতন বিল থেকে উৎস আয়কর কর্তনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সোমবার (১০ নভেম্বর) হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের (সিজিএ) কার্যালয় থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
হিসাব মহানিয়ন্ত্রকের অতিরিক্ত হিসাব ও পদ্ধতি শাখা থেকে জারি করা পত্রে বলা হয়েছে, আয়কর আইন ২০২৩ অনুযায়ী চলতি আয় বছরে যেসব পুরুষ কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাসিক মূল বেতন ২৬ হাজার ৭৮৫ টাকা এবং নারী কর্মকর্তা-কর্মচারীর মাসিক মূল বেতন ৩০ হাজার ৩৫৭ টাকা বা তার বেশি, তাদের আয়ের পরিমাণ করমুক্ত সীমা অতিক্রম করেছে। ফলে তাদের বেতন বিল প্রস্তুতের সময় উৎসে আয়কর কর্তন করতে হবে।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন বিল হতে আয়করসহ অন্যান্য কর্তনের দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ট্রেজারি রুলস এসআর ১২৫ অনুযায়ী উত্তোলনকারীর ওপর বর্তাবে।
এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য দেশের সব চিফ অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড ফাইন্যান্স অফিসার, বিভাগীয় ও জেলা হিসাব নিয়ন্ত্রক, উপজেলা হিসাব কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নির্দেশনাটি অর্থ বিভাগে পাঠানো হয়েছে সচিবের মাধ্যমে, যার দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে বাজেট-১ অনুচ্ছেদে কর্মরত যুগ্ম-সচিবের প্রতি।
এ নির্দেশনায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) থেকে গত ৭ অক্টোবর জারি করা আধা-সরকারি চিঠির উল্লেখ রয়েছে, যেখানে সরকারি বেতনভোগীদের উৎসে কর কর্তনের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল।
ঢাকা/নাজমুল/মেহেদী