বগুড়া সদরের শাখারিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের দুই সদস্যকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। অভিযানে ২৬টি দেশীয় অস্ত্র, একটি ককটেল ও ছিনতাই করা ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে সেনাবাহিনীর একটি দল এই অভিযান চালায়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন বগুড়া সদর সেনা ক্যাম্পের লেফটেন্যান্ট ফাহাদ।

সেনাবাহিনীর বগুড়া সদর ক্যাম্প সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রাত ১টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত চালিতাবাড়ি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় আসিফ ও শাওন নামের কিশোর গ্যাংয়ের দুই সক্রিয় সদস্যকে আটক করা হয়।

এর আগে, ২৩ জুন ওই এলাকায় আরেকটি অভিযানে পাঁচটি দেশীয় অস্ত্র ও একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়েছিল।

আটক হওয়া দুজনকে এবং উদ্ধার করা অস্ত্র ও মোবাইল ফোনগুলো বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

এ বিষয়ে লেফটেন্যান্ট ফাহাদ বলেন, ‘এলাকায় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখতে সেনাবাহিনীর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে। অপরাধী যেই হোক, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এল ক য

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ