প্রাক্তন অভিনেত্রী সানা খানের মা মারা গেছেন
Published: 25th, June 2025 GMT
মা হারালেন ভারতীয় সিনেমার প্রাক্তন অভিনেত্রী সানা খান। মঙ্গলবার (২৪ জুন) মুম্বাইয়ে অসুস্থতাজনিত কারণে মারা যান সানার মা সাইদা (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
সানা তার ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে দেওয়া পোস্টে এই দুঃসংবাদ জানান। তিনি লেখেন, “ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। আমার প্রিয় মা মিসেস সাইদা অসুস্থতার সঙ্গে লড়াই করার পর আল্লাহর কাছে ফিরে গিয়েছেন। এশার নামাজের পর রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে ওশিওয়ারা কবরস্থানে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। আমার মায়ের জন্য আপনাদের দোয়া সহায়ক হবে।”
মডেলিংয়ের মাধ্যমে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখেন সানা খান। বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে টেলিভিশন রিয়েলিটি শোয়ে অংশ নিয়েছেন। জনপ্রিয় রিয়েলিটি শো ‘বিগ বস সিজন-সিক্স’-এ সেরা তিনে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
আরো পড়ুন:
কুবেরা: কে কত কোটি টাকা পারিশ্রমিক নিলেন?
দেশি লুকে রাশমিকা, শাড়ির মূল্য কত?
২০০৫ সালে ‘ইয়েহি হ্যায় হাই সোসাইটি’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন। ২০০৬ সালে ‘ই’ সিনেমার মাধ্যমে তামিল ভাষার সিনেমায় অভিষেক ঘটে সানার। ২০১০ সালে ‘কল্যাণরাম কাথি’ সিনেমার মাধ্যমে তেলেগু ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখেন সানা। ২০১৩ সালে ‘ক্ল্যাইমেক্স’ সিনেমার মাধ্যমে মালায়ালাম ভাষার সিনেমায় অভিষেক ঘটে। দীর্ঘ অভিনয় ক্যারিয়ারে বেশ কিছু জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেন এই অভিনেত্রী।
২০২০ সালে সানা অভিনয় থেকে নিজেকে সরিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দেন। মানবিক কাজ ও ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করে বাকি জীবন কাটানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান। একই বছর মুফতি আনাস সাঈদকে বিয়ে করেন সানা। এ সংসারে তাদের দুটো পুত্রসন্তান রয়েছে।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল