বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা ও গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আনিস নামের এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার ঢাকার মতিঝিলের ওয়াপদা ভবনে পিডিবির ক্রয় পরিদপ্তরে এ ঘটনা ঘটে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পিডিবি। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বুধবার পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার আনিস নামের এক ব্যক্তি পিডিবির ক্রয় পরিদপ্তরের পরিচালক মো.

নান্নু মিয়ার কক্ষে জোরপূর্বক প্রবেশ করে তাকে সরকারি কাজে বাধা দেন। এ সময় এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজ নামের কোম্পানির বিপক্ষে পূর্বে গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে প্রতিবেদন না দিতে তাকে চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে পিস্তল বের করে পরিচালককে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এতে আরও বলা হয়, আনিস নামের ব্যক্তি পরিচালককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের মো. সাইফুল ইসলামের পক্ষে এসেছেন বলেও উল্লেখ করেন। এ সময় মেসার্স টেকনোটেক কোম্পানির খালেদসহ মাস্ক পরা অবস্থায় অপর এক ব্যক্তি পরিচালকের কক্ষের বাইরে অবস্থান করছিলেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ