বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) এক কর্মকর্তাকে সরকারি কাজে বাধা ও গুলি করে হত্যার হুমকি দিয়েছেন আনিস নামের এক ব্যক্তি। মঙ্গলবার ঢাকার মতিঝিলের ওয়াপদা ভবনে পিডিবির ক্রয় পরিদপ্তরে এ ঘটনা ঘটে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে পিডিবি। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে।

বুধবার পাঠানো ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার আনিস নামের এক ব্যক্তি পিডিবির ক্রয় পরিদপ্তরের পরিচালক মো.

নান্নু মিয়ার কক্ষে জোরপূর্বক প্রবেশ করে তাকে সরকারি কাজে বাধা দেন। এ সময় এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজ নামের কোম্পানির বিপক্ষে পূর্বে গঠিত কমিটির সদস্য হিসেবে প্রতিবেদন না দিতে তাকে চাপ প্রয়োগ করেন। একপর্যায়ে পিস্তল বের করে পরিচালককে গুলি করে মেরে ফেলার হুমকি দেন।

এতে আরও বলা হয়, আনিস নামের ব্যক্তি পরিচালককে অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল করেন। তিনি এস কমার্শিয়াল এন্টারপ্রাইজের মো. সাইফুল ইসলামের পক্ষে এসেছেন বলেও উল্লেখ করেন। এ সময় মেসার্স টেকনোটেক কোম্পানির খালেদসহ মাস্ক পরা অবস্থায় অপর এক ব্যক্তি পরিচালকের কক্ষের বাইরে অবস্থান করছিলেন।

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ফিলিস্তিনি বন্দীকে নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস, ইসরায়েলে সেনাবাহিনীর সাবেক প্রসিকিউটর গ্রেপ্তার

ইসরায়েলি পুলিশ দেশটির সেনাবাহিনীর সাবেক একজন প্রসিকিউটরকে গ্রেপ্তার করেছে। একজন ফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর ইসরায়েলি সেনাদের নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস হওয়ার পর ওই নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মেজর জেনারেল পদমর্যাদার ওই সাবেক প্রসিকিউটরের নাম ইয়াফাত তোমের-ইয়েরুশালমি। গতকাল সোমবার রাতে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানান ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী।

জানা যায়, অনলাইনে ওই ভিডিওটি ফাঁস হওয়ার পর ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়েছিল। তখন তিনি তাঁর পদ থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর নিখোঁজ ছিলেন।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, সৈন্যরা এক বন্দীকে আলাদা স্থানে নিয়ে ঘিরে দাঁড়িয়ে আছেন। তাঁদের সঙ্গে একটি কুকুর রয়েছে। তাঁরা দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণের সরঞ্জাম ব্যবহার করে নিজেদের কার্যকলাপ এমনভাবে আড়াল করে রেখেছেন, যাতে কেউ দেখতে না পারে।

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ভিডিও ফাঁসের ঘটনাকে রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পর থেকে ‘জনসংযোগের ওপর সবচেয়ে তীব্র আক্রমণ’ বলে মন্তব্য করেছেন।

আরও পড়ুনফিলিস্তিনি বন্দীর ওপর নির্যাতনের ভিডিও ফাঁস ঘিরে ইসরায়েলের শীর্ষ আইনি কর্মকর্তার পদত্যাগ০১ নভেম্বর ২০২৫

অধিকৃত পশ্চিম তীরের রামাল্লা থেকে আল-জাজিরার নউর ওদেহ বলেন, ওই নারী প্রসিকিউটরের আটকের ঘটনা ইসরায়েলে ‘রাজনৈতিক ও আইনি ঝড়’ তৈরি করেছে। তবে আটক হওয়া ব্যক্তির ওপর বাড়তি মনোযোগ মূল ঘটনা থেকে নজর সরিয়ে দিচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত ইসরায়েলের কারাগারগুলোয় অন্তত ৭৫ জন ফিলিস্তিনি বন্দীর মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন‘স্বপ্ন ছিল বুকে জড়িয়ে ধরার, এখন আশা দাফনটা যদি অন্তত করতে পারি’২ ঘণ্টা আগে

সম্পর্কিত নিবন্ধ