ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে দুই দিনব্যাপী অগ্নিনিরাপত্তা প্রশিক্ষণ
Published: 26th, June 2025 GMT
বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং আকস্মিক বন্যা ছাড়া সমস্ত দুর্যোগের সাথে আগুন জড়িত। বাংলাদেশ সরকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নতসহ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সর্বদা কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে।
এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ ও শ্রম বিধী-২০১৫ (বিধী-৫৫, উপ-বিধী ১০ ও ১২) এর নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত আয়োজন হিসেবে ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেইফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে গত ২৫ ও ২৬ জুন দুই দিনব্যাপী ‘অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের প্রধান মো.
আরো পড়ুন:
আবারো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক
ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন স্বতন্ত্র পরিচালক আকতার মতিন চৌধুরী
প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন মো. রাশিদুল ইসলাম, ইন্সট্রাক্টর, মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়াও কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশনের অন্যান্য প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দেন।
কর্মক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে (যেমন: আগুনের ঝুঁকি হ্রাস করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি, সম্পদ রক্ষা, প্রবিধান মেনে চলা, নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, কর্মীদের মনোবল উন্নত করা ইত্যাদি) আলোকপাত করা হয়। সেই সাথে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলে তা মোকাবিলা করার জন্য মূল তিনটি অংশে (অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা) ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ শেখানো হয়।
আষাঢ় মাসে অগ্নিনিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময় বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং আর্দ্রতাজনিত কারণে বৈদ্যুতিক ও অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত ঝুঁকি বেড়ে যায়।বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে সতর্কতা আরো বেশি জরুরি। এই পরিবেশেই অগ্নি দুর্ঘটনা প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। আগুন লাগার ঝুঁকি বেশি থাকে এই সময়ে। ফায়ার সার্ভিস এবং এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আষাঢ়ের বর্ষায় জল যতই হোক, অসাবধানতায় আগুনের ভয় ততটাই বড়।’
প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকৃত সব পরীক্ষা ও গ্রুপ টাস্কে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র দেওয়া হয়।
অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয়ক ছিলেন ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম।
ঢাকা/সাইফ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
মাসসেরা হওয়ার রেকর্ডও এখন শুবমান গিলের
ইংল্যান্ড সফরটা কী দুর্দান্তই না কেটেছে শুবমান গিলের। এক সিরিজে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড ছোঁয়া গিল সেই সিরিজের পারফরম্যান্স দিয়ে আইসিসির জুলাই মাসের মাসসেরা ক্রিকেটার হয়েছেন। চতুর্থবারের মতো মাসসেরা হয়ে নতুন রেকর্ডও গড়লেন ভারত অধিনায়ক। গিলই পুরুষ ক্রিকেটে প্রথম খেলোয়াড়, যিনি চারবার জিতলেন আইসিসির মাসসেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার।
জুলাইয়ে ইংল্যান্ড সফরে তিন টেস্টে ৯৪.৫০ গড়ে ৫৬৭ রান করেছেন গিল। এর আগে তিনি ২০২৩ সালের জানুয়ারি ও সেপ্টেম্বর এবং ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে জিতেছিলেন এই পুরস্কার। নারী ক্রিকেটে অস্ট্রেলিয়ার অ্যাশ গার্ডনার ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথুসও সমান চারবার করে মাসসেরা হয়েছেন।
এজবাস্টনে দ্বিতীয় টেস্টে গিলের জোড়া সেঞ্চুরি (২৬৯ ও ১৬১) সিরিজে ভারতকে ১-১ সমতায় ফেরায়। ওই ম্যাচে গিলের ৪৩০ রান টেস্ট ইতিহাসে এক ম্যাচে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ওল্ড ট্রাফোর্ডে চতুর্থ টেস্টে তাঁর দ্বিতীয় ইনিংসের ১০৩ রান ম্যাচ বাঁচাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
অ্যান্ডারসন–টেন্ডুলকার সিরিজে চতুর্থ সেঞ্চুরির পর ভারত অধিনায়ক শুবমান গিল