বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশ এবং আকস্মিক বন্যা ছাড়া সমস্ত দুর্যোগের সাথে আগুন জড়িত। বাংলাদেশ সরকার অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা উন্নতসহ দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি সর্বদা কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে। 

এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬ ও শ্রম বিধী-২০১৫ (বিধী-৫৫, উপ-বিধী ১০ ও ১২) এর নির্দেশনা অনুযায়ী নিয়মিত আয়োজন হিসেবে ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের ফায়ার সেইফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের মাধ্যমে গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্সে গত ২৫ ও ২৬ জুন দুই দিনব্যাপী ‘অগ্নিনিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।

ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর মোহাম্মদ ইউসুফ আলী এবং ইনভায়রনমেন্ট, হেলথ অ্যান্ড সেইফটি (ইএইচএস) বিভাগের প্রধান মো.

মোস্তাফিজুর রহমান রাজুর শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হয়।

আরো পড়ুন:

আবারো ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড’ পেল ওয়ালটন হাই-টেক

ওয়ালটন হেডকোয়ার্টার্স পরিদর্শন করলেন স্বতন্ত্র পরিচালক আকতার মতিন চৌধুরী

প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন মো. রাশিদুল ইসলাম, ইন্সট্রাক্টর, মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এছাড়াও কালিয়াকৈর ফায়ার স্টেশনের অন্যান্য প্রশিক্ষকরা প্রশিক্ষণ দেন।  

কর্মক্ষেত্রে অগ্নিনিরাপত্তার গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে (যেমন: আগুনের ঝুঁকি হ্রাস করা, নিরাপত্তা ব্যবস্থার উন্নতি, সম্পদ রক্ষা, প্রবিধান মেনে চলা, নিরাপত্তার সংস্কৃতি গড়ে তোলা, কর্মীদের মনোবল উন্নত করা ইত্যাদি) আলোকপাত করা হয়। সেই সাথে উপস্থিত প্রশিক্ষণার্থীদের অগ্নিকাণ্ড ঘটে গেলে তা মোকাবিলা করার জন্য মূল তিনটি অংশে (অগ্নিনির্বাপণ, জরুরি উদ্ধার এবং প্রাথমিক চিকিৎসা) ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ ও প্রয়োগ শেখানো হয়।

আষাঢ় মাসে অগ্নিনিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এ সময় বৃষ্টি, বজ্রপাত এবং আর্দ্রতাজনিত কারণে বৈদ্যুতিক ও অগ্নিকাণ্ড সংক্রান্ত ঝুঁকি বেড়ে যায়।বিশেষ করে ইলেকট্রনিক্স পণ্য উৎপাদনকারী শিল্প প্রতিষ্ঠানে সতর্কতা আরো বেশি জরুরি। এই পরিবেশেই অগ্নি দুর্ঘটনা প্রবণতা বৃদ্ধি পায়। আগুন লাগার ঝুঁকি বেশি থাকে এই সময়ে। ফায়ার সার্ভিস এবং এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘আষাঢ়ের বর্ষায় জল যতই হোক, অসাবধানতায় আগুনের ভয় ততটাই বড়।’

প্রশিক্ষণ শেষে অংশগ্রহণকৃত সব পরীক্ষা ও গ্রুপ টাস্কে উত্তীর্ণ প্রশিক্ষণার্থীদের সনদপত্র দেওয়া হয়।

অনুষ্ঠানের সার্বিক সমন্বয়ক ছিলেন ওয়ালটন ইএইচএস বিভাগের ফায়ার সেফটি ম্যানেজমেন্ট সেকশনের ইনচার্জ ইঞ্জিনিয়ার মো. ইশাদুল ইসলাম।

ঢাকা/সাইফ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

যাত্রীবেশে উঠে অটোরিকশা ছিনতাইয়ের চেষ্টা, চালককে গলা কেটে খুন

ফেনীর সোনাগাজীতে গলা কেটে এক অটোরিকশাচালককে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল রোববার রাতে উপজেলার চরদরবেশ ইউনিয়নের পশ্চিম চরদরবেশ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তির নাম মনোরঞ্জন ভূঞা (৬৫)। তিনি চরচান্দিয়া ইউনিয়নের ভূঞা বাজার-সংলগ্ন কলাবাগান এলাকার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা।

পুলিশ ও নিহত মনোরঞ্জনের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রোববার রাত ৯টার দিকে সোনাগাজী পৌর শহর থেকে ছোট ফেনী নদীর সাহেবের ঘাট সেতুর ওপর যাওয়ার কথা বলে কয়েকজন যুবক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশাটি ভাড়া করেন। অটোরিকশা সাহেবের ঘাট সেতু পার হলে রিকশায় থাকা যুবকেরা গাড়ি থামিয়ে চালককে মারধর করে গাড়িটি ছিনতাইয়ের চেষ্টা করেন। এতে চালক মনোরঞ্জন ছিনতাইকারীদের বাধা দিলে তাঁকে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে খালের পাশে গাড়িসহ ফেলে পালিয়ে যান তাঁরা।

রাতে স্থানীয় লোকজন খালের পাশে রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহত ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত ব্যক্তির প্রতিবেশী মহিন উদ্দিন বলেন, মনোরঞ্জন দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। সপ্তাহখানেক আগে কিস্তিতে নতুন একটি অটোরিকশা কেনেন। ধারণা করা হচ্ছে, নতুন অটোরিকশাটি ছিনতাই করতে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, মরদেহটি ফেনীর সোনাগাজী-কোম্পানীগঞ্জ সীমান্তের খালের মধ্যে পাওয়া যাওয়ায় দুই থানার পুলিশ যৌথভাবে ঘটনাস্থলে কাজ করছে। হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশের একাধিক দল মাঠে কাজ করছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ