বড় শোডাউন করবে ইসলামী আন্দোলন, টার্গেট দশ লাখ লোকের জমায়েত
Published: 26th, June 2025 GMT
আগামী ২৮ জুন ঢাকায় ইসলামী আন্দোলনের মহাসমাবেশ। রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিত হবে এই মহাসমাবেশ।সমাবেশে রাজনৈতিক নেতাদের মিলন ঘটানোর পাশাপাশি দশ লাখ লোকের জমায়েত করে বড় ধরনের শোডাউন করার প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি।
মহাসমাবেশ প্রস্তুতি নিয়ে দলটির মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ বলেন, “এই মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সারা দেশের প্রতিটি ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে আমরা গেছি। সংস্কার, বিচার ও পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জনমানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রতিটি এলাকায় পোস্টার, লিফলেট, ফেস্টুন, ব্যানার টানানো হয়েছে। এলাকায় এলাকায় গণমিছিল, মোটরসাইকেল শোডাউন হয়েছে।”
তিনি বলেন, “সমাবেশে প্রতিটি ইউনিয়ন থেকেই যানবাহন ভাড়া করা হয়েছে। দশ লাখ জনতা ২৮ তারিখে ঢাকায় জমায়েত হবে ইনশাআল্লাহ।”
মহাসমাবেশের সর্বশেষ প্রস্তুতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজধানীর পুরানা পল্টনস্থ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইসলামী আন্দোলন।
ব্রিফিংয়ে আন্দোলন বাংলাদেশ এর মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ মহাসমাবেশের প্রস্তুতি সম্পর্কে নানাদিক তুলে ধরেন।
তিনি জানান, মহাসমাবেশ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে দলের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীমকে আহ্বায়ক করে ২৪ সদস্যের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। ১২টি উপ-কমিটি গঠন করা হয়েছে। মহাসমাবেশের মাঠ তথা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রশাসনিক অনুমতি সম্পন্ন হয়েছে। স্টেজ নির্মাণসহ সব প্রস্তুতি শেষ পর্যায়ের রয়েছে।মহাসমাবেশ এলাকার নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা রক্ষায় নিজস্ব বিশাল স্বেচ্ছাসেবক দল ইতিমধ্যে প্রস্তুত রয়েছে।
তিনি বলেন, “আমাদের মহাসমাবেশের প্রচারণায় দেশব্যাপী মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া পেয়েছি তাতে আমরা আপ্লুত। তবে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল আমাদের প্রচারকার্য ব্যবত করার জন্য মুন্সীগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মহাসমাবেশের ব্যানার বিলবোর্ড ছিড়ে ফেলেছে বলে আমরা অভিযোগ পেয়েছি। যা অত্যন্ত দুঃখজনক এবং নব্য ফ্যাসিবাদী আচরণের বহিঃপ্রকাশ। আমরা এসব কর্মকাণ্ডের নিন্দা জানাই।”
এ সময় দলের যুগ্ম মহাসচিব এবং দলের মুখপাত্র মাওলানা গাজী আতাউর রহমান বলেন, “আমরা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া প্রায় সব রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানাচ্ছি। তারা আমাদের আমন্ত্রণ উৎসাহের সাথে গ্রহণ করছেন। ইনশাআল্লাহ জাতীয় নেতাদের একটি মিলনমেলা হতে যাচ্ছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ২৮ জুনের মহাসমাবেশ।”
তিনি বলেন, “গণহত্যার বিচার ও প্রয়োজনীয় সংস্কারের পরে আমরা সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চাই।”
গাজী আতাউর রহমান জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে ঢাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি পুলিশের হাইওয়ে ও ট্রাফিক বিভাগের প্রতি আহ্বান রেখে বলেন, “সারা দেশ থেকে কয়েক হাজার গাড়ি শুক্রবার রাতে ঢাকায় প্রবেশে করে শনিবার রাতে বের হবে। ফলে হাইওয়েগুলোতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নেতাকর্মীদের আসা-যাওয়া নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আহ্বান করছি।”
লাইভ সম্প্রচারসহ মহাসমাবেশের ছবি ও সংবাদ প্রচারে মিডিয়া কর্মীদের সহায়তা কামনা করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব।
তিনি মিডিয়া কর্মীদের জন্য গোছানো ও নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করা হবে বলেও আশ্বাস দেন।
উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এর যুগ্ম মহাসচিব ইঞ্জিনিয়ার আশরাফুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব এবং ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা শেখ ফজলে বারী মাসউদ, সহকারী মহাসচিব কেএম আতিকুর রহমান, সহকারী মহাসচিব মাওলানা আহমাদ আবদুল কাইয়ুম, উপদেষ্টা কৃষিবিদ আফতাব উদ্দীন, দফতর সম্পাদক মাওলানা লোকমান হোসেন জাফরী, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আবুল কাশেম, সাংগঠনিক সম্পাদক (ফরিদপুর বিভাগ) মাওলনা আরিফুল ইসলাম, সহ-প্রচার ও দাওয়াহ সম্পাদক কেএম শরীয়াতুল্লাহ, কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতি মোস্তফা কামাল।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর এল ক য় প রস ত ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল