খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবক নিহত, গুলিবিদ্ধ ২
Published: 27th, June 2025 GMT
খুলনায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে সাব্বির নামের যুবক নিহত এবং ২ জন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। বৃহস্পতিবার রাতে রূপসা উপজেলার রাজাপুর গ্রামের পপুলার এলাকার সোহাগের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সাদ্দাম হোসেন নামের এক যুবককে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়। অন্যদিকে মিরাজ নামে গুলিবিদ্ধ আরেক যুবক হাসপাতাল থেকে পালিয়ে গেছে।
পুলিশের দাবি, নিহত ও গুলিবিদ্ধ যুবকরা খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর অন্যতম সহযোগী। তাদের বিরুদ্ধে খুলনার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। যে বাড়িতে ঘটনাটি ঘটেছে সেই সোহাগও শীর্ষ মাদক বিক্রেতা। নিহত সাব্বির নগরীর শেখপাড়া এলাকার বাসিন্দা ফজলুল হকের ছেলে। গুলিবিদ্ধ সাদ্দাম নগরীর সোনাডাঙ্গা থানার সোনার বাংলা গলির বাসিন্দা নুর ইসলামের ছেলে। মিরাজের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। এলাকায় তিনি কাউয়া মিরাজ নামে পরিচিত।
এলাকাবাসী জানান, রাত ৯টার দিকে সোহাগের বাড়ির ভেতর গোলাগুলি হয়। পরে ওই বাড়ির মধ্যে একজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখে তারা পুলিশকে খবর দেন। পরে দু’জনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান।
রূপসা থানার ওসি মাহফুজুর রহমান জানান, নিহত এবং আহত তিনজনই খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবু গ্রুপের সদস্য। সাব্বির এবং সাদ্দামসহ আরও অনেক যুবক ওই বাড়িতে অবস্থান করছিল। রাতে ৫-৭ জন দুর্বৃত্ত সশস্ত্র অবস্থায় তাদের ওপর আক্রমণ করে। একটি গুলি সাব্বিরের মাথার পেছন থেকে ভেদ করে সামনের একটি চোখ দিয়ে বের হয়ে যায় এবং একটি গুলি সাদ্দামের মাথার পেছনে বিদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে ৬টি গুলির খোসা, ৪ রাউন্ড তাজা গুলি, কিছু ইয়াবা এবং গ্রেনেডের মতো দেখতে একটি বস্তু উদ্ধার করা হয়। রাতে সাব্বিরের মরদেহের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
খুলনা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) মো.
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন:
বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল
তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”
বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”
তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।
জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”
ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।
এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”
তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল