বাজে একটি মৌসুম কাটানোর পর ক্লাব বিশ্বকাপকে নিজেদের ঘুরে দাঁড়ানোর মঞ্চ হিসেবে দেখছিল ম্যানচেস্টার সিটি। আগের দুই ম্যাচে জিতে প্রত্যাবর্তনের আভাসও দিয়ে রেখেছিল তারা। বিশেষ করে আল আইনের বিপক্ষে ৬-০ গোলের বড় জয়কে সিটির পক্ষ থেকে অন্যদের জন্য সতর্কবার্তা হিসেবেই দেখা হচ্ছিল।

কিন্তু সতর্কবার্তাটা যেন ঠিকঠাক পড়তে পারেনি জুভেন্টাস। গ্রুপ পর্বে শেষ ম্যাচে সিটির কাছে একরকম উড়ে গেছে ইতালিয়ান ক্লাবটি। গতকাল রাতে দুর্দান্ত নৈপুণ্য দেখিয়ে সিটি ম্যাচ জিতেছে ৫-২ গোলে। এ জয়ে শেষ ষোলোয় সিটি প্রতিপক্ষ হিসেবে পেল সৌদি ক্লাব আল হিলালকে। আর জুভদের প্রতিপক্ষ রিয়াল মাদ্রিদ।

গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচে জয় পেয়েছিল সিটি-জুভেন্টাস দুই দলই। শেষ ম্যাচটি ছিল মূলত গ্রুপ শীর্ষ হওয়ার লড়াই। কিন্তু সে লড়াইয়ে ‘তুরিনের বুড়ি’ জুভেন্টাসকে পাত্তাই দেয়নি পেপ গার্দিওলা সিটি। শুধু গোল করায় নয়, খেলার মানের দিক থেকেও যোজন দূরত্বে এগিয়ে ছিল সিটি।

আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপে ব্রাজিল যেখানে ১০০–তে ১০০ ২৩ জুন ২০২৫

ফ্লোরিডার ক্যাম্পিং ওয়ার্ল্ড স্টেডিয়ামে দাপুটে সিটির সামনে জুভেন্টাসকে ছোট দল বলেই মনে হচ্ছিল। ম্যাচে ৭৭ শতাংশ বলের দখল রেখে ২৪টি শট নিয়ে ১১ টি লক্ষ্যে রাখে সিটি। বিপরীতে ২৩ শতাংশ বলের দখল রাখা জুভেন্টাস ৫টি শট নিয়ে লক্ষ্যে রাখে ২টি। ম্যাচে জুভেন্টাস গোলরক্ষক মিকেল দি গ্রেগোরিও ৭টি সেভ করেছেন, নয়তো হারের ব্যবধান জুভেন্টাসের জন্য আরও বড় হতে পারত।

ফোডেন ও গার্দিওলা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ