বাংলাদেশ বিমানের সিঙ্গাপুরগামী একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের পর পর পাখির সঙ্গে ধাক্কার (বার্ড হিট) ঘটনায় মাঝ আকাশ থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমাবন্দরে ফেরত এসেছে। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার এ ঘটনায় ফ্লাইটটির ইঞ্জিনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের জনসংযোগ কর্মকর্তা এবিএম রওশন কবীর এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রওশন কবীর জানান, আজ শুক্রবার সকাল ৮টা ২৬ মিনিটে ফ্লাইট বিজি ৫৮৪ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ১৫৪ জন যাত্রী ও ৭ জন ক্রু নিয়ে উড্ডয়ন করে। উড্ডয়নের পরপরই ৮টা ৩৭ মিনিটে ফ্লাইটটি পাখির সঙ্গে ধাক্কা খায়। এতে ফ্লাইটটির ইঞ্জিন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় মাঝ আকাশ থেকে পাইলট ফ্লাইটটিকে আবার শাহজালাল বিমানবন্দরেই নিরাপদে অবতরণ করান।

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ১৪ নম্বর বে-তে বাংলাদেশ বিমানের প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে সেটির মেরামতের চেষ্টা চলছে। যাত্রীরা বিমানবন্দরেই রয়েছে। দুপুরের দিকে অন্য একটি ফ্লাইটে করে তাদের সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফ ল ইটট

এছাড়াও পড়ুন:

জুলাই অভ্যুত্থানকে নস্যাতের ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা–৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলাকে জুলাই অভ্যুত্থান নস্যাৎ করার ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে উল্লেখ করে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা বলেছেন, এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে তারা ঐক্যবদ্ধ অবস্থানে রয়েছেন।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার করেন বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর নেতারা। বৈঠকে বিএনপি, জামায়াত, এনসিপি, ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা এবং আইন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন।

আরো পড়ুন:

বিএনপির প্রতিবাদ কর্মসূচি: নয়াপল্টনে এসে মিলছে সব পথের মিছিল

তারেক রহমান দেশে ফিরছেন ২৫ ডিসেম্বর: মির্জা ফখরুল

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “ওসমান হাদির ওপর হামলা ছিল পূর্বপরিকল্পিত এবং গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ। এর পেছনে বড় শক্তি কাজ করছে, যাদের লক্ষ্য নির্বাচন বানচাল করা। তিনি বলেন, হামলাটি ছিল প্রতীকী শক্তি প্রদর্শন এবং প্রাপ্ত তথ্যে প্রশিক্ষিত শুটার ব্যবহারের ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। এসব মোকাবিলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।”

বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “এই পরিস্থিতিতে পরস্পরের দোষারোপ বন্ধ করে ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একযোগে আওয়াজ তুলতে হবে।”

তিনি অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান জোরদার করার পরামর্শ দেন।

জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, “নিজেদের মধ্যে দোষারোপের প্রবণতায় বিরোধীরা সুযোগ নিচ্ছে।”

ক্ষুদ্র দলীয় স্বার্থে জাতিকে বিভক্ত করা থেকে সরে আসার আহ্বান জানান তিনি।

এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, “জুলাই অভ্যুত্থানকে খাটো করতে সুসংগঠিত অপতৎপরতা চলছে। মিডিয়া, প্রশাসন ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর ন্যারেটিভ তৈরি করা হচ্ছে।”

তিনি বলেন, “অনৈক্যই ষড়যন্ত্রকারীদের সবচেয়ে বড় শক্তি।”

তিন দলের নেতারা জুলাই অভ্যুত্থানের স্পিরিট ধরে রাখতে ঐক্যবদ্ধ থাকার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। 

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল

সম্পর্কিত নিবন্ধ