কক্সবাজারের উখিয়ায় বাসের ধাক্কায় ইফাত রিমু (১৩) নামের এক মাদ্রাসাছাত্রী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো একজন। রবিবার (২৯ জুন) দুপুরে কক্সবাজার-টেকনাফ মহাসড়কে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত ইফাত উপজেলার পালংখালী ইউনিয়নের গয়ালমারা এলাকার মৃত সাইফুল ইসলামের মেয়ে ও স্থানীয় খাদিজাতুল কোবরা বালিকা মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।

উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ আরিফ হোসাইন বলেন, ‘‘মাদ্রাসা ছুটি শেষে ইফাত তার এক সহপাঠীর সঙ্গে বাড়ি ফিরছিল। পথে রাস্তা পার হওয়ার সময় টেকনাফগামী সীমান্ত স্পেশাল সার্ভিস পরিবহনের একটি বাস তাদের ধাক্কা দেয়। এতে দুজনই আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন একটি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে চিকিৎসক ইফাতকে মৃত ঘোষণা করেন।’’

আরো পড়ুন:

মাগুরায় প্রাইভেটকারের ধাক্কায় প্রাণ গেল বৃদ্ধের

তারাকান্দা-ধোবাউড়া সড়ক খানাখন্দে ভরা, মানুষের দুর্ভোগ 

ঢাকা/তারেকুর/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন ন হত

এছাড়াও পড়ুন:

শহীদ সাজিদের শাহাদাতবার্ষিকীতে জবি শিবিরের আলোচনা সভা

জুলাই বিপ্লবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র শহীদ শিক্ষার্থী একরামুল হক সাজিদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, কুরআন খতম ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। একইসঙ্গে শহীদের বাবার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত আয়োজন করে সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) মাগরিবের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

মাগরিবের নামাজ শেষে মসজিদের প্রধান খতিব হাফেজ মাওলানা সালাহ্ উদ্দিন ‘শাহাদাতের গুরুত্ব ও শহীদের মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনায় বলেন, “শহীদরা আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে চিরস্থায়ী এবং জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে।”

আরো পড়ুন:

বরিশালে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি

নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি সংসদের নেতৃত্বে জাহিন-রাফি

শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহেদ বলেন, “শহীদ সাজিদ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার আদর্শ ও ত্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে সাহস জোগাবে।”

আলোচনা শেষে শাখা শিবির সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে শহীদ সাজিদের রুহের মাগফিরাত, পরিবারের জন্য ধৈর্য ও সাহস এবং তার বাবার সুস্থতা কামনা করা হয়।

একরামুল হক সাজিদ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণআন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

সম্পর্কিত নিবন্ধ