সুনামগঞ্জে গাছের মগডালে ঝুলছিল যুবকের মরদেহ
Published: 22nd, November 2025 GMT
সুনামগঞ্জের পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় একটি গাছের মগডাল থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস।
শনিবার (২২ নভেম্বর) সকালে পৌর শহরের ষোলঘর এলাকায় অবস্থিত জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভবন প্রাঙ্গণে একটি গাছের মগডাল থেকে ওই যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরো পড়ুন:
রাজশাহীতে বন্ধ ঘরে মিলল ব্যক্তির মরদেহ
ঝালকাঠিতে খালে ভাসছিল সবজি বিক্রেতার মরদেহ
নিহত সুজন মিয়া নেত্রকোণার কলমাকান্দার বাসিন্দা সনজু মিয়ার ছেলে। তিনি সুনামগঞ্জের ষোলঘর এলাকায় বোনের বাড়িতে থাকতেন।
নিহতের বোন আছমা খাতুন জানান, সুজন মিয়া সুনামগঞ্জের ষোলঘর এলাকায় তার বাড়িতে থাকতেন। গতকাল রাতে একটি জ্যাকেট কিনে এনে সবাইকে দেখান সুজন মিয়া। এরপর সেই জ্যাকেট পড়েই ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরেননি। আজ সকালে জেলা পশু হাসপাতাল প্রাঙ্গণের একটি গাছের মগডালে ঝুলন্ত অবস্থায় একজন পথচারী দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।
এদিকে, প্রায় ৩০ ফুট গাছের উপরের একটি মগডালে যুবকের লাশ দেখে স্থানীয়দের মধ্যে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাস্থল থেকে সুনামগঞ্জ সদর থানার উপ-পরিদর্শক (সাব-ইন্সপেক্টর) মোহাম্মদ মাহমুদুল বলেন, “আমরা সকালে খবর পেয়ে এখানে এসেছি। পরিবারের সূত্রে জেনেছি, ওই যুবক রিকশা চালাতেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস যৌথভাবে মরদেহ উদ্ধার করেছে। ময়নাতদন্তের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ঢাকা/মনোয়ার/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ গ ছ র মগড ল স ন মগঞ জ র মরদ হ য বক র
এছাড়াও পড়ুন:
রাজশাহীতে স্ত্রীর শরীরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ, যুবক গ্রেপ্তার
রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় স্ত্রীর শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগে মো. সুরুজ (৩২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে রাজধানীর পল্লবী থানার মিরপুর-১২ লালডেগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আজ শনিবার সকালে র্যাব-৫-এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। গ্রেপ্তার মো. সুরুজ রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের শহিদুল মাঝির ছেলে।
র্যাব জানায়, প্রায় ১০ বছর আগে অনন্যা খাতুনের (২৫) সঙ্গে সুরুজের বিয়ে হয়। সংসারজীবনে তাঁদের দুই সন্তান আছে। বিয়ের পর আড়াই লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন সুরুজ। অনন্যার পরিবার ২০১৮ সালের মে মাসে ১ লাখ টাকা যৌতুক দেয়। এরপর আরও দেড় লাখ টাকা দাবি করে আসছিলেন সুরুজ। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে বিভিন্ন সময় অনন্যাকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতেন তিনি।
গত ৩১ অক্টোবর সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে সুরুজ আবার যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে মারধর করেন। পরদিন ভোর পৌনে চারটার দিকে সুরুজ স্ত্রীকে বাড়ির উঠানে নিয়ে যান। এরপর পুড়িয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে শরীরে ডিজেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। অনন্যার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। ওই দিন বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি হাসপাতালে মারা যান।
র্যাব জানায়, এ ঘটনার পর নিহত অনন্যার ভাই বাদী হয়ে বাঘা থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি র্যাব-৫ ছায়া তদন্ত শুরু করে। ঘটনার পর থেকেই সুরুজ পলাতক ছিলেন। গতকাল রাতে মিরপুর-১২ লালডেগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানায় সোপর্দ করা হয়।