চালক, যাত্রী বা দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ—কোনো কিছুই ছিল না। তবু নির্ভুলভাবে নিজে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছেছে টেসলার তৈরি মডেল ওয়াই গাড়ি। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত টেসলার কারখানা থেকে রওনা দিয়ে সরাসরি ক্রেতার বাড়ির গেটে পৌঁছেছে গাড়িটি। সম্পূর্ণ সেলফ–ড্রাইভিং প্রযুক্তির গাড়িটি ডেলিভারির কথা নিশ্চিত করেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর জানামতে, এ ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল, যেখানে কোনো গাড়িচালক বা দূরনিয়ন্ত্রক প্রযুক্তি ছাড়াই সাধারণ ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করে নিজে ক্রেতার কাছে পৌঁছেছে।

এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘টেসলা মডেল ওয়াইয়ের প্রথম পূর্ণ সেলফ–ড্রাইভিং ডেলিভারি আজ সম্পন্ন হয়েছে। গিগাফ্যাক্টরি টেক্সাস থেকে শহরের এক প্রান্ত পেরিয়ে, মহাসড়ক ধরে গাড়িটি নিজেই গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছেছে। তা–ও নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই! গাড়ির ভেতরে কোনো মানুষ ছিল না। এমনকি কেউ দূর থেকেও এটি নিয়ন্ত্রণ করেনি। এটি পুরোপুরি সেলফ–ড্রাইভিং ডেলিভারি।’

টেসলার প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে গাড়িটি গিগাফ্যাক্টরি থেকে রওনা দিয়ে পার্কিং এলাকা, মহাসড়ক ও শহরের ভেতরের রাস্তা অতিক্রম করে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছেছে। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘বিশ্বের প্রথম সেলফ–ড্রাইভিং গাড়ি ডেলিভারি! টেসলার মডেল ওয়াই গাড়িটি নিজেই কারখানা থেকে নতুন মালিকের বাড়িতে পৌঁছেছে।’

এ ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগেই অস্টিন শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় পরীক্ষামূলক রোবোট্যাক্সি–সেবা চালু করেছে টেসলা। ওই কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত কিছু ব্যক্তি মডেল ওয়াই গাড়িতে চালকহীন যাত্রার অভিজ্ঞতা নেন।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

রাজঘাটে গান্ধীকে শ্রদ্ধা বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহর

দিল্লির রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধা জানালেন বাংলাদেশের হাইকমিশনার রিয়াজ হামিদুল্লাহ।

অনাড়ম্বর ও মর্যাদাপূর্ণ অনুষ্ঠানে আয়োজিত এই শ্রদ্ধার্ঘ্য কেবল ভারতের জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়, এটি সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ার মূল্যবোধের প্রতিই এক বিশেষ অঙ্গীকার।

রিয়াজ হামিদুল্লাহ বার্তা দেন, বাংলাদেশে ধর্ম বা বিশ্বাস নির্বিশেষে বহু প্রজন্ম ধরে মহাত্মা গান্ধীর আদর্শকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন সাধারণ মানুষ। তাঁর জীবন সংগ্রামে বারবার উঠে এসেছে যেসব মূল্যবোধ, যেমন সহমর্মিতা, সহনশীলতা এবং বহুত্ববাদ— সেগুলো এখনও বাংলাদেশি সমাজের নানা স্তরে প্রাসঙ্গিক।

তিনি উল্লেখ করেন, বিশেষ করে কঠিন সময়েও গান্ধীজি যেভাবে এই মূল্যবোধগুলো বাস্তব জীবনে প্রয়োগ করেছেন, তা আজও অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে রয়েছে। উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের এই অনন্য ব্যক্তিত্বের জীবন ও দর্শন শুধু রাজনৈতিক নয়, সামাজিক ও নৈতিক স্তরেও এক শক্তিশালী বার্তাও বহন করে বলে জানান তিনি।

ঢাকা/সুচরিতা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ