চালক ছাড়াই কারখানা থেকে নিজে নিজে ক্রেতার বাসায় পৌঁছাল টেসলার গাড়ি
Published: 30th, June 2025 GMT
চালক, যাত্রী বা দূরবর্তী নিয়ন্ত্রণ—কোনো কিছুই ছিল না। তবু নির্ভুলভাবে নিজে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছেছে টেসলার তৈরি মডেল ওয়াই গাড়ি। যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে অবস্থিত টেসলার কারখানা থেকে রওনা দিয়ে সরাসরি ক্রেতার বাড়ির গেটে পৌঁছেছে গাড়িটি। সম্পূর্ণ সেলফ–ড্রাইভিং প্রযুক্তির গাড়িটি ডেলিভারির কথা নিশ্চিত করেছেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইলন মাস্ক। তিনি জানিয়েছেন, তাঁর জানামতে, এ ঘটনা এবারই প্রথম ঘটল, যেখানে কোনো গাড়িচালক বা দূরনিয়ন্ত্রক প্রযুক্তি ছাড়াই সাধারণ ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করে নিজে ক্রেতার কাছে পৌঁছেছে।
এক্সে (সাবেক টুইটার) দেওয়া এক পোস্টে ইলন মাস্ক লেখেন, ‘টেসলা মডেল ওয়াইয়ের প্রথম পূর্ণ সেলফ–ড্রাইভিং ডেলিভারি আজ সম্পন্ন হয়েছে। গিগাফ্যাক্টরি টেক্সাস থেকে শহরের এক প্রান্ত পেরিয়ে, মহাসড়ক ধরে গাড়িটি নিজেই গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছেছে। তা–ও নির্ধারিত সময়ের এক দিন আগেই! গাড়ির ভেতরে কোনো মানুষ ছিল না। এমনকি কেউ দূর থেকেও এটি নিয়ন্ত্রণ করেনি। এটি পুরোপুরি সেলফ–ড্রাইভিং ডেলিভারি।’
টেসলার প্রকাশ করা এক ভিডিওতে দেখা যায়, প্রায় ৩০ মিনিট ধরে গাড়িটি গিগাফ্যাক্টরি থেকে রওনা দিয়ে পার্কিং এলাকা, মহাসড়ক ও শহরের ভেতরের রাস্তা অতিক্রম করে নির্ধারিত ঠিকানায় পৌঁছেছে। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা ছিল, ‘বিশ্বের প্রথম সেলফ–ড্রাইভিং গাড়ি ডেলিভারি! টেসলার মডেল ওয়াই গাড়িটি নিজেই কারখানা থেকে নতুন মালিকের বাড়িতে পৌঁছেছে।’
এ ঘটনার মাত্র কয়েক দিন আগেই অস্টিন শহরের নির্দিষ্ট এলাকায় পরীক্ষামূলক রোবোট্যাক্সি–সেবা চালু করেছে টেসলা। ওই কর্মসূচির আওতায় নির্বাচিত কিছু ব্যক্তি মডেল ওয়াই গাড়িতে চালকহীন যাত্রার অভিজ্ঞতা নেন।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শহীদ সাজিদের শাহাদাতবার্ষিকীতে জবি শিবিরের আলোচনা সভা
জুলাই বিপ্লবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) একমাত্র শহীদ শিক্ষার্থী একরামুল হক সাজিদের প্রথম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া, কুরআন খতম ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে শাখা ছাত্রশিবির। একইসঙ্গে শহীদের বাবার সুস্থতা কামনায় বিশেষ মোনাজাত আয়োজন করে সংগঠনটি।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) মাগরিবের নামাজের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। এতে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা শিবিরের নেতাকর্মী ছাড়াও সাধারণ শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।
মাগরিবের নামাজ শেষে মসজিদের প্রধান খতিব হাফেজ মাওলানা সালাহ্ উদ্দিন ‘শাহাদাতের গুরুত্ব ও শহীদের মর্যাদা’ শীর্ষক আলোচনায় বলেন, “শহীদরা আল্লাহর পথে নিজেদের জীবন উৎসর্গ করেন। তাঁদের মর্যাদা আল্লাহর কাছে চিরস্থায়ী এবং জাতির ইতিহাসে অমর হয়ে থাকে।”
আরো পড়ুন:
বরিশালে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, স্বাস্থ্য উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি
নবাব স্যার সলিমুল্লাহ স্মৃতি সংসদের নেতৃত্বে জাহিন-রাফি
শাখা শিবিরের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. জাহেদ বলেন, “শহীদ সাজিদ আমাদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক। তার আদর্শ ও ত্যাগ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়াতে সাহস জোগাবে।”
আলোচনা শেষে শাখা শিবির সভাপতি মো. রিয়াজুল ইসলাম দোয়া ও মুনাজাত পরিচালনা করেন। মোনাজাতে শহীদ সাজিদের রুহের মাগফিরাত, পরিবারের জন্য ধৈর্য ও সাহস এবং তার বাবার সুস্থতা কামনা করা হয়।
একরামুল হক সাজিদ ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণআন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৪ আগস্ট তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
ঢাকা/লিমন/মেহেদী