Risingbd:
2025-06-30@18:21:10 GMT

মরি নাই রে ভাই: মাহি

Published: 30th, June 2025 GMT

মরি নাই রে ভাই: মাহি

তারকাদের নিয়ে গুজব যেন থামছেই না। কখনো বিচ্ছেদ, কখনো গ্রেপ্তার, কখনো বা ছড়ায় মৃত্যুর বিভ্রান্তিকর খবর। কিছুদিন আগেই অভিনেত্রী পরীমণির মৃত্যুর গুজব ছড়িয়েছিল, এবার সেই তালিকায় যুক্ত হলেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি।

সম্প্রতি কিছু ভুয়া ফেসবুক গ্রুপ ও পেজে ছড়ানো হয়— ‘বাংলাদেশি অভিনেত্রী মাহিয়া মাহির ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার’। খবরটি চোখে পড়তেই হতবাক মাহি। জীবিত থাকার তথ্য নিজে নিশ্চিত করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরব হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন এই অভিনেত্রী।

সোমবার (৩০ জুন) নিজের ফেসবুক পেজে সোজাসাপ্টা ভাষায় মাহি লেখেন, “আমি আছি, মরি নাই রে ভাই।”

আরো পড়ুন:

দেশ ছাড়লেন মাহিয়া মাহি!

আমি এভাবেই নেচে নেচে ফটোশুট করি: মাহি

মাহিয়া মাহি অবস্থান করছেন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। বেশ কিছুদিন ধরেই তাকে নতুন কোনো সিনেমা বা শুটিংয়ে দেখা যাচ্ছে না। তবে ব্যক্তিগত জীবন ও রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার কারণে আলোচনায় রয়েছেন।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

ইমিউনিটি বাড়াবেন যেভাবে

মৌসুম সামান্য রদবদলেই হাঁচি-কাশি শুরু হয়ে যায়? সম্ভবত দুর্বল ইমিউনিটিই এর কারণ। অনেকেই ভাবেন, ভালো ইমিউনিটি জিনগত ব্যাপার। জিন ছাড়াও এমন অনেক ফ্যাক্টর রয়েছে, যেগুলো ইমিউনিটির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত। স্ট্রেস, পুষ্টি, এক্সারসাইজ় এবং মেডিটেশন তার মধ্যে অন্যতম। ইমিউনিটি আসলে শরীরের ডিফেন্স সিস্টেম; যা বিভিন্ন ধরনের বাহ্যিক টক্সিন, কেমিক্যালস, ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস থেকে শরীরকে সুরক্ষা দেয়। তবে অসুস্থ হওয়া মানে এই নয় যে, আপনার লাইফস্টাইলে কোনো ত্রুটি রয়ে গেছে। চূড়ান্ত স্বাস্থ্যসচেতন মানুষও অসুস্থ হতে পারেন। তবে ঘন ঘন অসুস্থ হওয়া অপুষ্টি এবং দুর্বল ইমিউনিটির পরিচায়ক। ইমিউনিটি বাড়াতে তাই নজর দিন বিশেষ কিছু দিকে।
পুষ্টি হোক শরীরের অস্ত্র
আমাদের শরীরে যে ইমিউন বডিস রয়েছে, তারা মূলত প্রোটিন দিয়ে তৈরি। সুতরাং, ভালো ইমিউনিটির জন্য শরীরে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন থাকা জরুরি। ডেয়ারি প্রডাক্ট, লিন মিট, মাছ এবং ডাল প্রোটিনের অন্যতম উৎস। ডেয়ারি প্রডাক্টের মধ্যেও টকদই এবং ইয়োগার্ট ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে ভালো। এছাড়া প্লান্ট ফুডসও ইমিউনিটি বাড়াতে সাহায্য করে। গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে, ক্যান্সার প্রতিরোধে নিরামিষাশীদের শরীরের শ্বেতরক্তকণিকা আমিষাশীদের চেয়ে বেশি কার্যকরী। নানা ধরনের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসও এক্ষেত্রে জরুরি ভূমিকা পালন করে। ভিটামিন সি, ই, ক্যারোটিনয়েডস, জিঙ্ক, আয়রন, কপার এবং সেলেনিয়াম তার মধ্যে অন্যতম। ভিটামিন সি-এর জন্য কাঁচালঙ্কা, পেয়ারা, টোম্যাটো, খরমুজ; ভিটামিন ই-এর জন্য চিনাবাদাম, ভেজিটেবল অয়েল, কাজু ইত্যাদি খেতে পারেন। এই দুই প্রকার ভিটামিনের সঙ্গে ক্যারোটিনয়েডস খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো। তরমুজ, সবুজ শাকসবজি, টোম্যাটো, আম ইত্যাদি শরীরে ন্যাচারাল কিলার সেল এবং টি-লিম্ফোসাইটের পরিমাণ বাড়িয়ে ইমিউনিটি আরও শক্তিশালী করে তোলে। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমাণে হুইট ব্র্যান, জোয়ার, বাজরা, শেলফিশ, বাদাম, বাদামের তেল খেলে সর্দি-কাশি থেকেও সুরক্ষা পাবেন। তবে অনেক সময়ই খাবারের গুণগত মানের জন্য শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায় না। এর সঙ্গে কোনো মাল্টিভিটামিন সাপ্লিমেন্ট নিতে পারলে ভালো।
ন্যাচারাল ইমিউন বুস্টার
‘সুপারফুডস’ প্রতিদিন ডায়েটে রাখলে সুস্থ থাকাও সহজ হবে। আমাদের চারপাশে যে সমস্ত সুপারফুডস রয়েছে, রসুন তার মধ্যে অন্যতম। এছাড়া মৌরি, হলুদ, আদা, লবঙ্গ এবং দারচিনিও ইনফেকশনের বিরুদ্ধে ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ঘন ঘন চা-কফির অভ্যাস কমিয়ে গ্রিন-টি বেছে নিতে পারেন। এতে থাকা ক্যাটেকিনসের অ্যান্টি-কারসিনোজেন হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। মনে রাখবেন, মজবুত ইমিউনিটি গড়ে তুলতে অনবরত শরীরের খেয়াল রাখা প্রয়োজন। 
জীবনযাপনের রদবদল
শরীরকে আপনি যেভাবে ট্রিট করবেন, তার ওপর নির্ভর করবে আপনার সুস্থতা। বিশ্রামের অভাব, অনিয়মিত বা অপর্যাপ্ত শরীরচর্চা, ঘুমের সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করলে তার সরাসরি প্রভাব পড়বে ইমিউনিটিতেও। জীবনধারার এই দিকগুলোয় তাই একটু নজর দিন। পরিমিত ঘুম এবং বিশ্রাম শরীরের একান্ত প্রয়োজন। দিনে অন্তত আট ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করুন। স্ট্রেস কমাতে মেডিটেশন ট্রাই করতে পারেন। 
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ