অ্যাশেজের প্রথম টেস্টেই স্টার্ক ঝড়: অশ্বিনকে ছাড়িয়ে বুমরাহর পাশে
Published: 21st, November 2025 GMT
অস্ট্রেলিয়ার তারকা পেসার মিচেল স্টার্ক অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট শিকারের মহাপ্রলয় তুলে একের পর এক রেকর্ড ভেঙে দিলেন। এই পারফরম্যান্সের সুবাদে তিনি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (ডব্লিউটিসি) সর্বোচ্চ উইকেটশিকারিদের তালিকায় ভারতের সাবেক তারকা রবীচন্দ্রর অশ্বিনকে পেছনে ফেলেছেন।
অ্যাশেজ সিরিজের প্রথম ম্যাচে পার্থ স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু প্রথম বল থেকেই তারা পড়ে যায় স্টার্ক ঝড়ের মুখে। অসাধারণ ছন্দে বল করতে থাকা স্টার্ক প্রথম ইনিংস শেষ করেন তার ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং ফিগার ৫৮ রানে ৭ উইকেট নিয়ে।
আরো পড়ুন:
ভূমিকম্পে বন্ধ থাকল মিরপুরের খেলা
বেনেট-রাজা-ইভান্স ঝলকে শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিল জিম্বাবুয়ে
এই অর্জনের মধ্য দিয়ে ডব্লিউটিসি ইতিহাসে স্টার্কের মোট উইকেট হলো ১৯৬। যেখানে অশ্বিনের নামের পাশে রয়েছে ১৯৫। অর্থাৎ, তিনি এখন তালিকার তৃতীয় সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি। তার সামনে আছেন কেবল নাথান লায়ন ও প্যাট কামিন্স।
আরও একটি দারুণ মাইলফলক ছুঁয়ে ফেললেন স্টার্ক। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টেস্টে পাঁচ উইকেট নেওয়া বোলারদের তালিকায় তিনি জাসপ্রিত বুমরাহর পাশে এসে দাঁড়ালেন। দুজনেরই এখন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রয়েছে ৫টি করে পাঁচ উইকেট শিকারের রেকর্ড গড়েছেন।
শুধু তাই নয়, এই ৭ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে তিনি অ্যাশেজ সিরিজে ১০০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করেছেন। তার আগে ইংল্যান্ডের ৭ ও অস্ট্রেলিয়ার ১২ জন এই মাইলফলক ছুঁয়েছিলেন। অ্যাশেজ সিরিজে মাত্র ২৩ ম্যাচ খেলে ১০০ উইকেট পেরিয়ে গেলেন তিনি।
এছাড়া আজ ৭ উইকেট শিকারের মধ্য দিয়ে তার মোট উইকেট সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৪০৫টি। যা ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি কোর্টলি অ্যাব্রোসের সমান। ৪১৪ উইকেট নিয়ে তার সামনে আছেন কেবল পাকিস্তানের ওয়াসিম আকরাম। এই সিরিজেই হয়তো ওয়াসিমকে পেছনে ফেলে শীর্ষে উঠে যাবেন স্টার্ক।
স্টার্কের আগুনে স্পেলের দৌলতেই ইংল্যান্ড প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় মাত্র ১৭২ রানে। তাকে সহায়তা করেন ব্রেন্ডন ডগেট (২ উইকেট) ও ক্যামেরন গ্রিন (১ উইকেট)। ফলে ম্যাচের শুরুতেই কাঁপতে থাকে ইংলিশরা। আর অস্ট্রেলিয়া পেয়ে যায় শক্ত ভিত।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট শ ক র র ম চ উইক ট ৭ উইক ট র প রথম
এছাড়াও পড়ুন:
মুশফিকুরের শততম টেস্ট: শত রঙে ছড়িয়ে যাওয়ার প্রত্যাশা
মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পা রাখলেই এখন শোনা যাবে একটাই নাম, মুশফিকুর রহিম। যার সাফল্য মুকুটে বুধবার যুক্ত হতে যাচ্ছে নতুন এক পালক। বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে শততম টেস্ট খেলার অপেক্ষায় তিনি।
২০০৫ সালে যে যাত্রা শুরু হয়েছিল, ২০২৫ সালে সেই পথ মিশেছে মিরপুরে। নিজেদের হোম ভেন্যু মিরপুরের জন্য বাড়তি রঙে সেজেছে। স্টেডিয়ামের ভেতরে-বাইরে তুলির আঁচড়ে ছড়িয়ে পড়েছে ক্রিকেট আলপনা।
আরো পড়ুন:
মুশফিকুরের পর্দার আড়ালের পরিশ্রমের গল্প শোনালেন আয়ারল্যান্ডের কোচ
‘একশটা টেস্টই যেন শেষ না হয়’
তার সতীর্থরাও তাকে নিয়ে গর্বিত। শততম টেস্টের মাইলফলক ছোঁয়া ম্যাচটি মুশফিকুর নিজের মতো করে রাঙিয়ে তুলুক এমনটাই প্রত্যাশা তাদের।
তামিম বলেছেন, “তোকে নিয়ে বলার আছে অনেক কিছু্ই। সেই ছেলেবেলা থেকে একসঙ্গে খেলছি, বয়সভিত্তিক ক্রিকেটে, বিভিন্ন পর্যায়ে, রুমমেট ছিলাম অনেকবার। কাছ থেকে দেখেছি তোকে। কোনো এক সময় কোনো এক উপলক্ষে কোনো প্ল্যাটফর্মে নিশ্চয়ই বলব সবকিছু। তবে আজকের দিনের জন্য শুধু একটিই কথা, বাংলাদেশের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে ১০০ টেস্ট খেলার মাইলফলক তোর চেয়ে বেশি আর কেউ ডিজার্ভ করে না। আশা করি, ভবিষ্যতে এই অর্জনে তোর পাশে নাম লেখাবে আরো অনেকেই। কিন্তু তুই প্রথম, এটা তোরই প্রাপ্য।”
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শুধু মুশফিকুর রহিমের সতীর্থই নন, পরিবারের একজন। সম্পর্কে তারা ভায়েরা-ভাই। মুশফিকুরের অর্জনে মাহমুদউল্লাহ খুঁজে পেয়েছেন পরিবারের গর্ব, “আশা করি ভালো আছ। তোমার শততম টেস্টের জন্য আমি শুভকামনা জানাচ্ছি। আমি মনে করি একটা বিরাট অর্জন তোমার জন্য। একই সঙ্গে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য। এছাড়া আমাদের সবার বিশেষ করে আমাদের পরিবারের জন্য বিরাট একটি গর্বের মুহূর্ত। আমার জন্যও তা-ই। আমি তোমার সঙ্গে অনেক বছর ক্রিকেট খেলেছি। এটা অনেক অনেক বড় অর্জন। যেটা বলতে চাই শুধু, অনেক অনেক শুভকামনা। তোমার অনুপ্রেরণা, তাড়না, পরিশ্রম সবকিছু তোমার মাইলফলকের হয়ে কথা বলছে। তোমার জন্য অনেক অনেক খুশি। ভালো থেক। আশা করি ভালো যাবে সময়টা।”
উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন বলেছেন, “অনেক অনেক অভিনন্দন আপনার বিশাল অর্জনের জন্য। আমি নিজেকে ভাগ্যবান মনে করি। আমি অনেক দিন ধরে আপনার সঙ্গে ড্রেসিংরুম শেয়ার করি। আমি খুবই ভাগ্যবান যে আপনার সঙ্গে বাংলাদেশ দলকে প্রতিনিধিত্ব করতে পেরেছি। আপনার একশতম টেস্ট যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে এই দোয়া করি। শুভ কামনা।”
বাংলাদেশ দলের সাবেক অ্যানালিস্ট শ্রীনিবাস চন্দ্রশেখরন ২০১৮ থেকে ২০২৩ পর্যন্ত বাংলাদেশ দলে কাজ করেছেন। মুশফিকুরকে শুভেচ্ছা জানিয়ে এই ভারতীয় বলেছেন, “মুশি ভাই! ১০০ টেস্ট। অবিশ্বাস্য এক মাইলস্টোন। পরিশ্রম, কঠোরতা ও শৃঙ্খলা—এ সবকিছুর মধ্য দিয়ে এগিয়ে গর্বের সঙ্গে বয়ে চলছে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে। দেশের প্রথম হওয়ায় এটা আরো আইকনিক হয়ে উঠেছে। এগিয়ে যাও চ্যাম্প! তুমি চারপাশে সবার প্রেরণা। বিশেষ এই দিনে সেখানে থাকতে পারলে ভালো লাগত। অবিস্মরণীয় করে তোলো।”
ঢাকা/ইয়াসিন/সাইফ